ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ছোট লক্ষণদিয়া গ্রামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে (১৪) ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের ফজলেম শেখ এর ছেলে দুই সন্তানের বাবা বাকপ্রতিবন্ধী জাহিদ শেখ। এ ঘটনায় ধর্ষক জাহিদ শেখকে সালথা থানার পুলিশ আটক করেছে।
জানা গেছে, গত ২৯ জুন ছোট লক্ষণদিয়া গ্রামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যাকে বাড়িতে রেখে পার্শ¦বর্তী বিনোকদিয়া বাজারে যায় তার মা। বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন ধর্ষক জাহিদ তার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখামাত্রই জাহিদ দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘরের ভিতরে গিয়ে মেয়ের কাছে জানতে চাইলে মেয়ে বলে তাকে জোর করে কাচি গলায় ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সালথা থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর মা অভিযোগ করে বলেন, আমি যে বাড়িতে বসবাস করি তার আশপাশের বাড়িগুলো একটু দূরে, ফাকা বাড়ি বললেই চলে। সেই সুযোগে ধর্ষক জাহিদ শেখ মাঝেমধ্যে আমার বাড়ির আশপাশে ঘাস কাটার অজুহাতে ঘুরাঘুরি করত। আমি স্বামী পরিত্যক্তা বলে কাজের খোঁজে বাইরে যেতে হয়। ঘটনার দিন মেয়েকে রেখে বিনোকদিয়া বাজারে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জাহিদ শেখ আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে। লোকলজ্জার ভয়ে সমাজে মুখ খুলিনি। পরে স্থানীয়ভাবে সমাধান না পাওয়ায় (মঙ্গলবার) থানায় এজাহার দায়ের করেছি। অন্যদিকে ধর্ষক বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় ইশারা ইঙ্গিতে তার কাছে জানতে চাইলে সে ইশারায় যা বলে তাতে বোঝা যায় যে, সে ধর্ষণ করেনি। এ ব্যাপারে সালথা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরিকে চেকআপ করানোর জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০
প্রতিনিধি, সালথা (ফরিদপুর)
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ছোট লক্ষণদিয়া গ্রামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে (১৪) ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের ফজলেম শেখ এর ছেলে দুই সন্তানের বাবা বাকপ্রতিবন্ধী জাহিদ শেখ। এ ঘটনায় ধর্ষক জাহিদ শেখকে সালথা থানার পুলিশ আটক করেছে।
জানা গেছে, গত ২৯ জুন ছোট লক্ষণদিয়া গ্রামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যাকে বাড়িতে রেখে পার্শ¦বর্তী বিনোকদিয়া বাজারে যায় তার মা। বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন ধর্ষক জাহিদ তার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখামাত্রই জাহিদ দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘরের ভিতরে গিয়ে মেয়ের কাছে জানতে চাইলে মেয়ে বলে তাকে জোর করে কাচি গলায় ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সালথা থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর মা অভিযোগ করে বলেন, আমি যে বাড়িতে বসবাস করি তার আশপাশের বাড়িগুলো একটু দূরে, ফাকা বাড়ি বললেই চলে। সেই সুযোগে ধর্ষক জাহিদ শেখ মাঝেমধ্যে আমার বাড়ির আশপাশে ঘাস কাটার অজুহাতে ঘুরাঘুরি করত। আমি স্বামী পরিত্যক্তা বলে কাজের খোঁজে বাইরে যেতে হয়। ঘটনার দিন মেয়েকে রেখে বিনোকদিয়া বাজারে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জাহিদ শেখ আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে। লোকলজ্জার ভয়ে সমাজে মুখ খুলিনি। পরে স্থানীয়ভাবে সমাধান না পাওয়ায় (মঙ্গলবার) থানায় এজাহার দায়ের করেছি। অন্যদিকে ধর্ষক বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় ইশারা ইঙ্গিতে তার কাছে জানতে চাইলে সে ইশারায় যা বলে তাতে বোঝা যায় যে, সে ধর্ষণ করেনি। এ ব্যাপারে সালথা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরিকে চেকআপ করানোর জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হবে।