চীন ফেরত শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাস সন্দেহে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি

চীন থেকে ফিরে আসা এক শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্টের ঘটনায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মিরজাগঞ্জ গ্রামে নোবেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চীন ফেরত ওই শিক্ষার্থীকে আজ সকালে প্রথমে ডোমার উপজেলা হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর পরই ওই শিক্ষার্থীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সে ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে তাসবিদ হোসেন তীব্র।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর বাবা আলতাব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে চীনের হুয়াংশান শহরের আনহুই ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছে। চীনের উহান শহরে নোবেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তার ছেলে নিজ খরচে ২৯ জানুয়ারি রাতের বিমানে দেশে ফিরে আসে। ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার ছেলের শারীরিক চেকআপ শেষে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর আমার ছেলে বাড়ি ফিরে আসে। এখানে এসে সে মাঝে মাঝে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করছিল। শনিবার সকালে ছেলের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে প্রথমে ডোমার উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে উন্নতমানের চিকিৎসা না থাকায় দুপুরেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানকার ডাক্তাররা বলেন, ঢাকা থেকে একটি টিম এসে আমার ছেলের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করবে বলে আমাকে জানিয়েছে। তবে কখন ঢাকা থেকে ডাক্তার আসবে সে বিষয়ে কিছু বলেনি।

চীন ফেরত ওই শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্টের ঘটনায় ডোমার উপজেলার মিরজাগঞ্জ গ্রামে নোবেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীর মাঝে। গ্রামের কছিম উদ্দিন জানান, আমরা ভয়ের মধ্যে আছি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এসে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা জানিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিত কুমার বর্মন জানান, গত তিন দিন আগেও চীন ফেরত ওই শিক্ষার্থী মানসিক দুশ্চিন্তায় ডোমার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিল। খবর পেয়ে আমরা তার শারীরিক চেকআপ করি। তার শরীরে সর্দি, জ্বর, হাঁচি-কাশি পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার সে শ্বাসকষ্ট অনুভব করে ডোমার হাসপাতালে আসে। তার পরিবার তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ওই শিক্ষার্থীর গ্রামের মানুষদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মোকাদ্দেম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তাজবিদ হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা চিকিৎসকরা এখনও নিশ্চিত নন। তবে তাকে মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রংপুর মেডিকেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বিষয়টি ঢাকায় আইডিসিআরকে জানানো হয়েছে।

রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৬ মাঘ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল সানি ১৪৪১

চীন ফেরত শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাস সন্দেহে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি

প্রতিনিধি, ডোমার (নীলফামারী)

চীন থেকে ফিরে আসা এক শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্টের ঘটনায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মিরজাগঞ্জ গ্রামে নোবেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চীন ফেরত ওই শিক্ষার্থীকে আজ সকালে প্রথমে ডোমার উপজেলা হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর পরই ওই শিক্ষার্থীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সে ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে তাসবিদ হোসেন তীব্র।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর বাবা আলতাব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে চীনের হুয়াংশান শহরের আনহুই ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছে। চীনের উহান শহরে নোবেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তার ছেলে নিজ খরচে ২৯ জানুয়ারি রাতের বিমানে দেশে ফিরে আসে। ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার ছেলের শারীরিক চেকআপ শেষে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর আমার ছেলে বাড়ি ফিরে আসে। এখানে এসে সে মাঝে মাঝে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করছিল। শনিবার সকালে ছেলের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে প্রথমে ডোমার উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে উন্নতমানের চিকিৎসা না থাকায় দুপুরেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানকার ডাক্তাররা বলেন, ঢাকা থেকে একটি টিম এসে আমার ছেলের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করবে বলে আমাকে জানিয়েছে। তবে কখন ঢাকা থেকে ডাক্তার আসবে সে বিষয়ে কিছু বলেনি।

চীন ফেরত ওই শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্টের ঘটনায় ডোমার উপজেলার মিরজাগঞ্জ গ্রামে নোবেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীর মাঝে। গ্রামের কছিম উদ্দিন জানান, আমরা ভয়ের মধ্যে আছি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এসে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা জানিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিত কুমার বর্মন জানান, গত তিন দিন আগেও চীন ফেরত ওই শিক্ষার্থী মানসিক দুশ্চিন্তায় ডোমার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিল। খবর পেয়ে আমরা তার শারীরিক চেকআপ করি। তার শরীরে সর্দি, জ্বর, হাঁচি-কাশি পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার সে শ্বাসকষ্ট অনুভব করে ডোমার হাসপাতালে আসে। তার পরিবার তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ওই শিক্ষার্থীর গ্রামের মানুষদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মোকাদ্দেম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তাজবিদ হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা চিকিৎসকরা এখনও নিশ্চিত নন। তবে তাকে মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রংপুর মেডিকেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বিষয়টি ঢাকায় আইডিসিআরকে জানানো হয়েছে।