পল্টনের সমাবেশে বিএনপি

সরকারকে বাধ্য করা হবে খালেদাকে মুক্তি দিতে

১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভের ঘোষণা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করার কথা আবারও বলেছেন দলটির নেতারা। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে এসব ঘোষণা দেয়া হয়। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বেগম জিয়া। তার কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করেই এ সমাবেশ করে বিএনপি। কারাবন্দী হওয়ার পর থেকেই বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করলেও বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি। দলটির নেতারাও বিভিন্ন সময় নানা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু কার্যত রাজপথে তেমন কোন জোরালো আন্দোলন করতে পারেনি দলটি।

সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন। তার মুক্তির জন্য আমরা সভা-সমাবেশ করেছি, মিছিল করেছি। এখন একটাই কথা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবোই এবং সরকারকে বাধ্য করব খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক কারণে বন্দী রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ, নিজে খেতে পারেন না, চলতে পারে না। দুই বছর বিনা দোষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করেছে, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। রপ্তানি আয় নিচের দিকে, রাজস্ব আয় কমে গেছে কিন্তু দুর্নীতি কমেনি। জনগণ এখন আর আওয়ামী লীগকে চায় না। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার একটা চোর। এক দিকে ভোট চোর, অন্যদিকে টাকা চোর। নিজ নিজ এলাকায় সংগঠিত হলেই মুক্ত করা যাবে খালেদা জিয়াকে।

মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার জনগণকে ভয় করে বলেই এত নির্যাতন করছে। লজ্জা করে বলতে যে তারা বাংলাদেশের নাগরিক। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। আমাদের এখন দুটি আন্দোলন করতে হবে। একটি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন অন্যটি অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন।

image

পল্টনে বিএনপির সমাবেশে নেতারা -সংবাদ

আরও খবর
৩৬ কোটি পাঠ্যপুস্তক সংরক্ষণের জায়গা নেই
যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ বাংলাদেশের সামনে ভারত
চীনে বাংলাদেশিদের খাবার ও পানি দেয়া হচ্ছে
সংক্রমণ রোধে বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে পরীক্ষা জোরদার
চীন ফেরত শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাস সন্দেহে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি
ক্যান্টিনের খাবারে বিষ
ছাত্রী ও পার্লার কর্মী ধর্ষণের শিকার
সভা নয় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চাই ড. কামাল
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে দাঁতভাঙা জবাব : কাদের
উন্মত্ত সৈন্যের গুলিতে ১২ জন নিহত
কেজরিওয়ালই থাকছেন দিল্লিতে
নিঃস্ব বস্তিবাসীর চোখে শুধু অন্ধকার
ক্ষণগণনা : আর ৩৬ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা

রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৬ মাঘ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল সানি ১৪৪১

পল্টনের সমাবেশে বিএনপি

সরকারকে বাধ্য করা হবে খালেদাকে মুক্তি দিতে

১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভের ঘোষণা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

পল্টনে বিএনপির সমাবেশে নেতারা -সংবাদ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করার কথা আবারও বলেছেন দলটির নেতারা। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে এসব ঘোষণা দেয়া হয়। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বেগম জিয়া। তার কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করেই এ সমাবেশ করে বিএনপি। কারাবন্দী হওয়ার পর থেকেই বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করলেও বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি। দলটির নেতারাও বিভিন্ন সময় নানা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু কার্যত রাজপথে তেমন কোন জোরালো আন্দোলন করতে পারেনি দলটি।

সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন। তার মুক্তির জন্য আমরা সভা-সমাবেশ করেছি, মিছিল করেছি। এখন একটাই কথা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবোই এবং সরকারকে বাধ্য করব খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক কারণে বন্দী রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ, নিজে খেতে পারেন না, চলতে পারে না। দুই বছর বিনা দোষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করেছে, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। রপ্তানি আয় নিচের দিকে, রাজস্ব আয় কমে গেছে কিন্তু দুর্নীতি কমেনি। জনগণ এখন আর আওয়ামী লীগকে চায় না। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার একটা চোর। এক দিকে ভোট চোর, অন্যদিকে টাকা চোর। নিজ নিজ এলাকায় সংগঠিত হলেই মুক্ত করা যাবে খালেদা জিয়াকে।

মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার জনগণকে ভয় করে বলেই এত নির্যাতন করছে। লজ্জা করে বলতে যে তারা বাংলাদেশের নাগরিক। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। আমাদের এখন দুটি আন্দোলন করতে হবে। একটি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন অন্যটি অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন।