জিকে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার যুবলীগের নামধারী নেতা ও ঠিকাদার মাফিয়া গোলাম কিবরিয়া ওরফে জিকে শামীমের প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার পর দুদকের তদন্তে জিকে শামীমের এ সম্পদের তথ্য পায় দুদক। গতকাল কমিশনের সভায় এসব সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের তথ্য-প্রমাণসহ চার্জশিট আদালতে দাখিলের জন্য অনুমোদন দিয়েছে দুদক কমিশন। আজ বা কাল মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন জিকে বিল্ডার্সের কর্ণধার যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম। এরপর তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার করে র‌্যাব। এসব ঘটনায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি হরিণের চামড়া পাওয়ায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর দুদক উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন বাদী হয়ে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ২১ অক্টোবর মামলা করে। ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত শেষে দুদক ২৯৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পায়। তদন্ত শেষে ওইসব সম্পদ অর্জনের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন চেয়ে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কর্মকর্তা।

দুদকের পরিচালক (মিডিয়া) প্রণব কুমার ভট্টচার্য বলেন, তদন্তকালে দুদক কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন আসামি শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এরমধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎসের খোঁজ পায়নি দুদক। এছাড়া জিকে শামীমের বাসা থেকে পাওয়া নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রারও বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদারিত্বের বৈধ কোন উৎস খুঁজে পায়নি দুদক। এছাড়া জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎসও পাওয়া যায়নি। উল্লেখ?্য, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই পর্যন্ত ২২টি মামলা দায়ের করে দুদক।

আরও খবর
সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বিএনপির কর্মসূচি লোক দেখানো কাদের
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া আধুনিক করতে পারে
রক্তদানের বন্ধুত্ব কখনো ছিন্ন হয় না : ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চিরস্থায়ী : দোরাইস্বামী
দুই স্বার্থে হত্যার পরিকল্পনা দুই খুনির
পাথর কোয়ারি খুলে দিতে পরিবহন ধর্মঘট
শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু
ভাঙ্গা আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ
পাঁচজন সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ
আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক
ছাত্র অধিকার পরিষদের কালো পতাকা ও বিক্ষোভ মিছিল

বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪২

জিকে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার যুবলীগের নামধারী নেতা ও ঠিকাদার মাফিয়া গোলাম কিবরিয়া ওরফে জিকে শামীমের প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার পর দুদকের তদন্তে জিকে শামীমের এ সম্পদের তথ্য পায় দুদক। গতকাল কমিশনের সভায় এসব সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের তথ্য-প্রমাণসহ চার্জশিট আদালতে দাখিলের জন্য অনুমোদন দিয়েছে দুদক কমিশন। আজ বা কাল মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন জিকে বিল্ডার্সের কর্ণধার যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম। এরপর তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার করে র‌্যাব। এসব ঘটনায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি হরিণের চামড়া পাওয়ায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর দুদক উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন বাদী হয়ে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ২১ অক্টোবর মামলা করে। ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত শেষে দুদক ২৯৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পায়। তদন্ত শেষে ওইসব সম্পদ অর্জনের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন চেয়ে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কর্মকর্তা।

দুদকের পরিচালক (মিডিয়া) প্রণব কুমার ভট্টচার্য বলেন, তদন্তকালে দুদক কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন আসামি শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এরমধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎসের খোঁজ পায়নি দুদক। এছাড়া জিকে শামীমের বাসা থেকে পাওয়া নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রারও বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদারিত্বের বৈধ কোন উৎস খুঁজে পায়নি দুদক। এছাড়া জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎসও পাওয়া যায়নি। উল্লেখ?্য, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই পর্যন্ত ২২টি মামলা দায়ের করে দুদক।