শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

রংপুর অঞ্চলে হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন অচল হয়ে পড়ছে। শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অনেক হতদরিদ্র নারী ও শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।

গতকাল সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিমা নামে এক গৃহবধূ মারা গেছে। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সেতুলপুর গ্রামে।

বার্ন ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. এমএ হামিদ পলাশ মারা যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্বজনরা জানিয়েছেন রোববার সকালে শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে লিমা বেগমের পড়নের কাপড়ে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় অবস্থায় সে মারা যায়। সরজমিন বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা গেছে গৃহবধূ লিমার মরদেহটি ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে আছে। তার মা গোলাপি বেগম জানান, মাত্র ১৫ দিন আগে তার মেয়ে সন্তান প্রসব করেছে। প্রচ- শীতের কাহিল হয়ে পড়ায় শীত নিবারণের জন্য খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তার মেক্সিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। তিনি জানান, তার জামাই লাশ বাড়িতে নেবার জন্য টাকা সংগ্রহ করতে বাড়িতে গেছে আসলেই লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। পরে এলাকাবাসি ও স্বজনদের কাছে ধার দেনা করে ও সাহায্য নিয়ে দুপুরের পর লাশ নিয়ে গেছে স্বজনরা।

বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এমএ পলাশ জানান, তার শ্বাসনালীসহ ৬০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি জানান হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ আরও ১৫ জন রোগী বর্তমান চিকিৎসাধীন আছে।

সহায় সম্বলহীন লিমার মরদেহ বাসায় নিয়ে যাবার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সঙ্গে যোগাযোগের বেশ কয়েকবার তার সরকারি মোবাইল ফোনে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও খবর
সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বিএনপির কর্মসূচি লোক দেখানো কাদের
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া আধুনিক করতে পারে
রক্তদানের বন্ধুত্ব কখনো ছিন্ন হয় না : ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চিরস্থায়ী : দোরাইস্বামী
জিকে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
দুই স্বার্থে হত্যার পরিকল্পনা দুই খুনির
পাথর কোয়ারি খুলে দিতে পরিবহন ধর্মঘট
ভাঙ্গা আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ
পাঁচজন সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ
আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক
ছাত্র অধিকার পরিষদের কালো পতাকা ও বিক্ষোভ মিছিল

বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪২

রংপুরে

শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুর অঞ্চলে হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন অচল হয়ে পড়ছে। শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অনেক হতদরিদ্র নারী ও শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।

গতকাল সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিমা নামে এক গৃহবধূ মারা গেছে। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সেতুলপুর গ্রামে।

বার্ন ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. এমএ হামিদ পলাশ মারা যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্বজনরা জানিয়েছেন রোববার সকালে শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে লিমা বেগমের পড়নের কাপড়ে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় অবস্থায় সে মারা যায়। সরজমিন বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা গেছে গৃহবধূ লিমার মরদেহটি ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে আছে। তার মা গোলাপি বেগম জানান, মাত্র ১৫ দিন আগে তার মেয়ে সন্তান প্রসব করেছে। প্রচ- শীতের কাহিল হয়ে পড়ায় শীত নিবারণের জন্য খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তার মেক্সিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। তিনি জানান, তার জামাই লাশ বাড়িতে নেবার জন্য টাকা সংগ্রহ করতে বাড়িতে গেছে আসলেই লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। পরে এলাকাবাসি ও স্বজনদের কাছে ধার দেনা করে ও সাহায্য নিয়ে দুপুরের পর লাশ নিয়ে গেছে স্বজনরা।

বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এমএ পলাশ জানান, তার শ্বাসনালীসহ ৬০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি জানান হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ আরও ১৫ জন রোগী বর্তমান চিকিৎসাধীন আছে।

সহায় সম্বলহীন লিমার মরদেহ বাসায় নিয়ে যাবার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সঙ্গে যোগাযোগের বেশ কয়েকবার তার সরকারি মোবাইল ফোনে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।