পাঁচজন জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলীকে ডিঙ্গিয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমানকে একই সংস্থার প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একমাস চারদিন শূন্য থাকার পর গতকাল এই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে জুুনিয়র কর্মকর্তাকে ইইডি’র প্রধানের দায়িত্ব দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্তরে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। গতকালই ইইডি’র প্রধান কার্যালয়, ঢাকা অঞ্চল ও ঢাকা মেট্রোপলিটন, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল জোনের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন নানা অভিযোগ।
গতকালই বিভিন্ন দফতরের কাছে অভিযোগ তুলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা লিখেছেন, আরিফুর রহমানের অবস্থান জেষ্ঠতার তালিকায় ষষ্ঠ। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। বর্তমানে তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ২২টি প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও আরিফুর রহমান ইইডি’র প্রধান কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) আরিফুর রহমানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতাসহ প্রধান প্রকৌশলীর পদে রুটিন দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর ইইডি’র প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার অবসরে যান। এরপর ওই পদে কাউকে চলতি কিংবা রুটিন দায়িত্বও দেয়া হয়নি। ফলে স্বাভাবিক কাজ চালানোর মতো কেউ না থাকায় ইইডি বেশ জটিলতার পড়ে। দরপত্র আহ্বান ও মূল্যায়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ঝুলে যায়। এরই মধ্যে বিদায়ী প্রধান প্রকৌশলী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আবেদন করলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ওই আবেদন নাকচ হয়ে যায়।
এমন অবস্থায় বিতর্কের বাইরে থাকা একজন কর্মকর্তাকে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছিল কর্মকর্তারা। কিন্তু গতকাল আদেশের পর সেই উদ্যোগ নিয়েও সৃষ্টি হলো বিতর্ক। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমানকে প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব দিতে তাকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীরও চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়।
ইইডি’র জেষ্ঠ্যতার তালিকা অনুযায়ী ছয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হলেন ক্রমানুসারে শাহ নাইমুল কাদের, শাহ আলম (নারায়ণগঞ্জ জোন), দেলোয়ার হোসেন (চট্টগ্রাম জোন), রায়হান বাদশা (ঢাকা মেট্রো জোন), মিজানুর রহমান (সিলেট জোন) এবং আরিফুর রহমান।
বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
পাঁচজন জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলীকে ডিঙ্গিয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমানকে একই সংস্থার প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একমাস চারদিন শূন্য থাকার পর গতকাল এই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে জুুনিয়র কর্মকর্তাকে ইইডি’র প্রধানের দায়িত্ব দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্তরে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। গতকালই ইইডি’র প্রধান কার্যালয়, ঢাকা অঞ্চল ও ঢাকা মেট্রোপলিটন, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল জোনের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন নানা অভিযোগ।
গতকালই বিভিন্ন দফতরের কাছে অভিযোগ তুলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা লিখেছেন, আরিফুর রহমানের অবস্থান জেষ্ঠতার তালিকায় ষষ্ঠ। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। বর্তমানে তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ২২টি প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও আরিফুর রহমান ইইডি’র প্রধান কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) আরিফুর রহমানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতাসহ প্রধান প্রকৌশলীর পদে রুটিন দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর ইইডি’র প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার অবসরে যান। এরপর ওই পদে কাউকে চলতি কিংবা রুটিন দায়িত্বও দেয়া হয়নি। ফলে স্বাভাবিক কাজ চালানোর মতো কেউ না থাকায় ইইডি বেশ জটিলতার পড়ে। দরপত্র আহ্বান ও মূল্যায়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ঝুলে যায়। এরই মধ্যে বিদায়ী প্রধান প্রকৌশলী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আবেদন করলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ওই আবেদন নাকচ হয়ে যায়।
এমন অবস্থায় বিতর্কের বাইরে থাকা একজন কর্মকর্তাকে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছিল কর্মকর্তারা। কিন্তু গতকাল আদেশের পর সেই উদ্যোগ নিয়েও সৃষ্টি হলো বিতর্ক। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমানকে প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব দিতে তাকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীরও চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়।
ইইডি’র জেষ্ঠ্যতার তালিকা অনুযায়ী ছয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হলেন ক্রমানুসারে শাহ নাইমুল কাদের, শাহ আলম (নারায়ণগঞ্জ জোন), দেলোয়ার হোসেন (চট্টগ্রাম জোন), রায়হান বাদশা (ঢাকা মেট্রো জোন), মিজানুর রহমান (সিলেট জোন) এবং আরিফুর রহমান।