গণপরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘প্রথম সভায় চারজন সচিবের নেতৃত্বে চারটি কমিটি করে দিয়েছিলাম কীভাবে এই ১১১টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা যায়। তারা তাদের সুপারিশগুলো জমা দিয়েছে। তাদের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা ও আলোচনা করা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী সভায় এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সে জায়গায় আমরা যাব। এখন আমাদের কাজ হলো, যারা এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে, তাদের সুপারিশ করব তারা যেন বাস্তবায়নের কাজে এগিয়ে যান। পাশাপাশি সে কাজে কী কী অসুবিধা হতে পারে, সেটা আগামী সভায় আলোচনা হবে।’
গতকাল সচিবালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তার সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সুরক্ষাসেবা সচিব মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে গঠিত চারটি কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে গতকাল।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আমরা ১১১ দফা সুপারিশ ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে যাব। সভায় যে প্রস্তাবগুলো আসছে সেগুলোর কোনটি স্বল্প মেয়াদি, কোনটি মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি। চারটি কমিটি রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি, তার অনেকগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা বসে নেই, তবে কোভিডের জন্য ধীরগতিতে আছি। বাস্তবায়নের কথা বললে আপনারা দেখবেন এখন কেউ মোটরসাইকেলে হেলমেট ছাড়া চড়ে না। এরকম অনেক সুপারিশ আমরা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে যাচ্ছি। আমরা বেশি সময় নেইনি। কমিটি হওয়ার পরই সভা করেছি।
২০১৮ সালে ঢাকায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর সড়কে মৃত্যুর পর সারাদেশে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়। তখন পরিবহন মালিক, শ্রমিক, পুলিশ, গবেষক ও বিআরটিএসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করা হয়। শাজহান খানের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি ১১১টি সুপারিশ দেয়া হয়। ওই সুপারিশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠন করা হয় টাস্কফোর্স। সেই টাস্কফোর্স প্রথম সভায় চারটি কমিটি গঠন করেছিল।
বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
গণপরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘প্রথম সভায় চারজন সচিবের নেতৃত্বে চারটি কমিটি করে দিয়েছিলাম কীভাবে এই ১১১টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা যায়। তারা তাদের সুপারিশগুলো জমা দিয়েছে। তাদের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা ও আলোচনা করা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী সভায় এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সে জায়গায় আমরা যাব। এখন আমাদের কাজ হলো, যারা এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে, তাদের সুপারিশ করব তারা যেন বাস্তবায়নের কাজে এগিয়ে যান। পাশাপাশি সে কাজে কী কী অসুবিধা হতে পারে, সেটা আগামী সভায় আলোচনা হবে।’
গতকাল সচিবালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তার সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সুরক্ষাসেবা সচিব মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে গঠিত চারটি কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে গতকাল।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আমরা ১১১ দফা সুপারিশ ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে যাব। সভায় যে প্রস্তাবগুলো আসছে সেগুলোর কোনটি স্বল্প মেয়াদি, কোনটি মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি। চারটি কমিটি রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি, তার অনেকগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা বসে নেই, তবে কোভিডের জন্য ধীরগতিতে আছি। বাস্তবায়নের কথা বললে আপনারা দেখবেন এখন কেউ মোটরসাইকেলে হেলমেট ছাড়া চড়ে না। এরকম অনেক সুপারিশ আমরা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে যাচ্ছি। আমরা বেশি সময় নেইনি। কমিটি হওয়ার পরই সভা করেছি।
২০১৮ সালে ঢাকায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর সড়কে মৃত্যুর পর সারাদেশে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়। তখন পরিবহন মালিক, শ্রমিক, পুলিশ, গবেষক ও বিআরটিএসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করা হয়। শাজহান খানের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি ১১১টি সুপারিশ দেয়া হয়। ওই সুপারিশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠন করা হয় টাস্কফোর্স। সেই টাস্কফোর্স প্রথম সভায় চারটি কমিটি গঠন করেছিল।