সড়কে কিছু বাস চলছে, ভাড়া কয়েকগুণ বেশি

লক্ষ্মীপুর-ঢাকার স্বাভাবিক ভাড়া ১৮০-২০০ টাকা। কিন্তু দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ২০০ টাকার স্থলে এখন ১৩০০-১৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান লক্ষ্মীপুরের যাত্রী আরিফুর রহমান। এছাড়া পথে পথে তো দুর্ভোগ আছেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চালু থাকায় এভাবে বেশি ভাড়ায় ভেঙে ভেঙে ঢাকায় ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। বাস না থাকায় মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, পিকআপ, পণ্যবাহী ট্রাক ও মাইক্রোবাসে যে যেভাবে পারছেন কর্মস্থলে ফিরছেন। পথে পথে অতিরিক্ত ভাড়া, প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। করোনাভাইরাসের ভয়ে কিছু যাত্রীদের মুখে মাস্ক থাকলেও ছিল না কোন শারীরিক দূরত্ব। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোন কোন মহাসড়কে দূরাপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানান।

গতকাল সকালে লক্ষ্মীপুর সদর থেকে প্রাইভেটকারে ঢাকার সায়েদাবাসে এসেছেন আরিফসহ ৪ জন যাত্রী। প্রতিজনের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হয়েছে। মোট ৬০০০ টাকা ভাড়া দিয়ে তারা ঢাকায় এসেছেন। ঈদের আগের একইভাবে প্রাইভেটকারে বাড়ি যান তারা। আরিফ নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, সকালে লক্ষ্মীপুর সদর থেকে প্রাইভেট কারে ঢাকা উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে পথে পুলিশ বাধা দিলেও কর্মস্থলের কথা বলায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পথে প্রাইভেট কার চালক ভাড়া চেয়েছিল ৫০০০ টাকা। কিন্তু আসার সময় বলে আরও ১০০০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে। কারণ ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেশি থাকায় ভাড়া বাড়িয়ে দেয় তারা। অথচ ঢাকা-লক্ষ্মীপুরের বাসে স্বাভাবিক ভাড়া ১৮০-২০০ টাকা। আসার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের ঢাকামুখী মানুষের জটলা দেখা গেছে। বাস না থাকায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় আশরাফুল ইসলাম নামের কুমিল্লার এক যাত্রী বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। গাজীপুরে একটি কারখানায় চাকরি করি। ঈদের আগেও ভেঙে ভেঙে অনেক কষ্ট করে বাড়ি যাই। এখন আবার একইভাবে অনেক কষ্ট করে ঢাকায় আসলাম। কুমিল্লা থেকে মাইক্রোবাসে জনপ্রতি ৩৫০-৪০০ টাকা নিয়েছে। যা আমাদের মতো মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর।

মহিউদ্দীন নামের নোয়াখালীর এক যাত্রী বলেন, শুধু মা-বাবা, স্ত্রী ও পুত্রের জন্যই ঈদ করতে বাড়িতে যাই। অন্যবারের তুলনায় এবার আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নেই কোন গাড়ি, পথে পথে বাধা। তবু চাকরির মায়ায় ঢাকায় আসতে হয়েছে। মাইক্রোবাসে ভাড়া প্রতিজন ১০০০ টাকা। সায়েদাবাদ থেকে বাসে এখন গাজীপুর যাব। ‘লকডাউনে’ দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রয়েছে এ কারণে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।

ফরিদা নামের বরিশালের এক যাত্রী বলেন, ‘ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে সামান্য বেতনে কাজ করি। মা-বাবাকে দেখতে শুধু ঈদে বাড়িতে যায়। আগে যেখানে আমাদের ঢাকা আসা-যাওয়া করতে লঞ্চে ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে হতে যেত। এখন ঢাকা পৌঁছাতে লাগছে ৪ হাজার টাকা, তাহলে আমরা বাঁচব কী করে।’

দূরাপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা। গতকাল সকাল থেকে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের কড্ডার মোড়, নলকা মোড় ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। মহাসড়কে সীমিত আকারে কিছু আঞ্চলিক বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে যানবাহন সংকটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

যাত্রীরা জানান, কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় বিকল্প পরিবহন হিসেবে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলের ঢাকায় ফিরতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে পাবনা, নাটোর, বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে তারা ভেঙে ভেঙে বা বিকল্প পরিবহনে একাধিক গাড়ি পরিবর্তনের পর সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে পৌঁছায়। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় এসে যানবাহন না পেয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাদের। মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঢাকাগামী যাত্রীদের। যানবাহন না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে দেখা যায় তাদের। কিন্তু স্বল্প আয়ের শ্রমজীবীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না পেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানান।

এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি শাহজাহান আলী সাংবাদিকদের বলেন, মহাসড়কে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দূরপাল্লার বাস চলতে দেয়া হচ্ছে না। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে গাজীপুর-ময়ময়সিংহ মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে ৯৭টি দূরপাল্লার বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাজীপুরের পুলিশ। এর মধ্যে গাজীপুর শহরে ৪৫টি, চন্দ্রা ও কোনাবাড়ী এলাকায় ৪৬টি ও শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-চৌরাস্তা এলাকায় ছয়টি বাসের মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজীপুর পুলিশ।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল করছিল। গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত শহরে অভিযান চালিয়ে ৪৫টি বাসের চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১ , ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৫ শাওয়াল ১৪৪২

সড়কে কিছু বাস চলছে, ভাড়া কয়েকগুণ বেশি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

লক্ষ্মীপুর-ঢাকার স্বাভাবিক ভাড়া ১৮০-২০০ টাকা। কিন্তু দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ২০০ টাকার স্থলে এখন ১৩০০-১৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান লক্ষ্মীপুরের যাত্রী আরিফুর রহমান। এছাড়া পথে পথে তো দুর্ভোগ আছেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চালু থাকায় এভাবে বেশি ভাড়ায় ভেঙে ভেঙে ঢাকায় ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। বাস না থাকায় মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, পিকআপ, পণ্যবাহী ট্রাক ও মাইক্রোবাসে যে যেভাবে পারছেন কর্মস্থলে ফিরছেন। পথে পথে অতিরিক্ত ভাড়া, প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। করোনাভাইরাসের ভয়ে কিছু যাত্রীদের মুখে মাস্ক থাকলেও ছিল না কোন শারীরিক দূরত্ব। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোন কোন মহাসড়কে দূরাপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানান।

গতকাল সকালে লক্ষ্মীপুর সদর থেকে প্রাইভেটকারে ঢাকার সায়েদাবাসে এসেছেন আরিফসহ ৪ জন যাত্রী। প্রতিজনের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হয়েছে। মোট ৬০০০ টাকা ভাড়া দিয়ে তারা ঢাকায় এসেছেন। ঈদের আগের একইভাবে প্রাইভেটকারে বাড়ি যান তারা। আরিফ নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, সকালে লক্ষ্মীপুর সদর থেকে প্রাইভেট কারে ঢাকা উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে পথে পুলিশ বাধা দিলেও কর্মস্থলের কথা বলায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পথে প্রাইভেট কার চালক ভাড়া চেয়েছিল ৫০০০ টাকা। কিন্তু আসার সময় বলে আরও ১০০০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে। কারণ ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেশি থাকায় ভাড়া বাড়িয়ে দেয় তারা। অথচ ঢাকা-লক্ষ্মীপুরের বাসে স্বাভাবিক ভাড়া ১৮০-২০০ টাকা। আসার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের ঢাকামুখী মানুষের জটলা দেখা গেছে। বাস না থাকায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় আশরাফুল ইসলাম নামের কুমিল্লার এক যাত্রী বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। গাজীপুরে একটি কারখানায় চাকরি করি। ঈদের আগেও ভেঙে ভেঙে অনেক কষ্ট করে বাড়ি যাই। এখন আবার একইভাবে অনেক কষ্ট করে ঢাকায় আসলাম। কুমিল্লা থেকে মাইক্রোবাসে জনপ্রতি ৩৫০-৪০০ টাকা নিয়েছে। যা আমাদের মতো মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর।

মহিউদ্দীন নামের নোয়াখালীর এক যাত্রী বলেন, শুধু মা-বাবা, স্ত্রী ও পুত্রের জন্যই ঈদ করতে বাড়িতে যাই। অন্যবারের তুলনায় এবার আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নেই কোন গাড়ি, পথে পথে বাধা। তবু চাকরির মায়ায় ঢাকায় আসতে হয়েছে। মাইক্রোবাসে ভাড়া প্রতিজন ১০০০ টাকা। সায়েদাবাদ থেকে বাসে এখন গাজীপুর যাব। ‘লকডাউনে’ দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রয়েছে এ কারণে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।

ফরিদা নামের বরিশালের এক যাত্রী বলেন, ‘ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে সামান্য বেতনে কাজ করি। মা-বাবাকে দেখতে শুধু ঈদে বাড়িতে যায়। আগে যেখানে আমাদের ঢাকা আসা-যাওয়া করতে লঞ্চে ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে হতে যেত। এখন ঢাকা পৌঁছাতে লাগছে ৪ হাজার টাকা, তাহলে আমরা বাঁচব কী করে।’

দূরাপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা। গতকাল সকাল থেকে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের কড্ডার মোড়, নলকা মোড় ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। মহাসড়কে সীমিত আকারে কিছু আঞ্চলিক বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে যানবাহন সংকটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

যাত্রীরা জানান, কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় বিকল্প পরিবহন হিসেবে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলের ঢাকায় ফিরতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে পাবনা, নাটোর, বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে তারা ভেঙে ভেঙে বা বিকল্প পরিবহনে একাধিক গাড়ি পরিবর্তনের পর সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে পৌঁছায়। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় এসে যানবাহন না পেয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাদের। মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঢাকাগামী যাত্রীদের। যানবাহন না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে দেখা যায় তাদের। কিন্তু স্বল্প আয়ের শ্রমজীবীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না পেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানান।

এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি শাহজাহান আলী সাংবাদিকদের বলেন, মহাসড়কে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দূরপাল্লার বাস চলতে দেয়া হচ্ছে না। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে গাজীপুর-ময়ময়সিংহ মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে ৯৭টি দূরপাল্লার বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাজীপুরের পুলিশ। এর মধ্যে গাজীপুর শহরে ৪৫টি, চন্দ্রা ও কোনাবাড়ী এলাকায় ৪৬টি ও শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-চৌরাস্তা এলাকায় ছয়টি বাসের মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজীপুর পুলিশ।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল করছিল। গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত শহরে অভিযান চালিয়ে ৪৫টি বাসের চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।