বর্বর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার নিরীহ প্যালেস্টাইনবাসীর সাহায্যার্থে ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। জানা যায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রদূত ও প্যালেস্টাইন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে কয়েকদিন আগে প্যালেস্টাইন জনগণের সাহায্যার্থে ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলে।

ফলশ্রুতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ওষুধ পাঠাতে থাকে। একপর্যায়ে ওষুধের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে ফারাজ করিম চৌধুরী তার ফেইসবুক পেইজে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার কাছে না পাঠিয়ে সরাসরি প্যালেস্টাইন দূতাবাসে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানান। গতকাল রাজধানী ঢাকার বারিধারাস্থ প্যালেস্টাইন দূতাবাসে এসব সংগৃহীত প্রায় ৫০ লাখ টাকার ওষুধ প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রমাদানের কাছে হস্তান্তর করেন ফারাজ করিম চৌধুরী। উল্লেখ্য, ফারাজ করিম চৌধুরী রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজান থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান। এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, এই মানবিক কার্যক্রমে ওষুধ কোম্পানির মধ্যে অপসনিন ফার্মা ও একমি ফার্মাসিউটিক্যালস এগিয়ে এসেছে তাদের বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার অনেক বন্ধুরা সাহায্য করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ফারাজ করিম চৌধুরীর এই মানবিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর কন্যা সুমাইয়া হোসেন বলেন, শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, মানুষ হিসেবে নির্যাতিত প্যালেস্টাইনবাসীর পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়াতে। তাছাড়া, ফারাজ করিম চৌধুরীর অনুরোধে প্যালেস্টাইন দূতাবাস বিকাশ/নগদ/রকেট একাউন্ট খুলেছে। যার ফলে যে কেউ সরাসরি এসব নম্বরে সহযোগিতা পাঠাতে পারবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও প্যালেস্টাইন নিপীড়িত মানুষের জন্য সহযোগিতার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।