উচ্চ শিক্ষায় অগ্রাধিকার

একটি রাষ্ট্রের বার্ষিক সাধারণ আয়-ব্যয়ের হিসাবের সমষ্টিই হলো বাজেট। এ বাজেটে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে থাকে বিশেষ বরাদ্দ। কিন্তু একটি রাষ্ট্রকে সমুন্নত করতে প্রয়োজন উচ্চ শিক্ষা তথা গবেষণাখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। গত ৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট এটি।

এ বাজেটে এবার শিক্ষা খাতে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা গতবছর ছিল ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মোট জিডিপির শতকরা প্রায় ২ দশমিক ১০ ভাগ। অথচ পৃথিবীর সব দেশ মিলে ঠিক করেছিল পৃথিবীকে সতুদর করে সাজানো প্রয়োজন এবং তা করতে গেলে প্রয়োজন শিক্ষার। আর শিক্ষার জন্য প্রয়োজন সুন্দর পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় অর্থের। এজন্য ডাকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করা দেশগুলো অঙ্গিকার করেছিল, বাজেটের শতকরা ২০ ভাগ অথবা জিডিপির শতকরা ৬ ভাগ শিক্ষার পেছনে ব্যয় করবে। আমাদের বাংলাদেশও সেখানে স্বাক্ষর করেছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা খাতে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ চেয়েছিলেন।

শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ কম হওয়ার ফলে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও বাড়ছেনা শিক্ষার গুণগত মান (যদিও এটি একমাত্র কারণ নয়)। তাই তো প্রতি বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে ক্রম নির্ধারণ করা হয় তাতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সন্তোষজনক নয়। দেশের শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত সহযোগিতা। যার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তা মোট বাজেটের ২০ ভাগে উন্নীত করার চেষ্টা করতে হবে। তবেই দেশের শিক্ষার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে। আবার দেশের গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশকেও করা যাবে সমৃদ্ধ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ।

সায়মা জাহান সরকার (স্নিগ্ধা)

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

উচ্চ শিক্ষায় অগ্রাধিকার

একটি রাষ্ট্রের বার্ষিক সাধারণ আয়-ব্যয়ের হিসাবের সমষ্টিই হলো বাজেট। এ বাজেটে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে থাকে বিশেষ বরাদ্দ। কিন্তু একটি রাষ্ট্রকে সমুন্নত করতে প্রয়োজন উচ্চ শিক্ষা তথা গবেষণাখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। গত ৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট এটি।

এ বাজেটে এবার শিক্ষা খাতে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা গতবছর ছিল ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মোট জিডিপির শতকরা প্রায় ২ দশমিক ১০ ভাগ। অথচ পৃথিবীর সব দেশ মিলে ঠিক করেছিল পৃথিবীকে সতুদর করে সাজানো প্রয়োজন এবং তা করতে গেলে প্রয়োজন শিক্ষার। আর শিক্ষার জন্য প্রয়োজন সুন্দর পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় অর্থের। এজন্য ডাকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করা দেশগুলো অঙ্গিকার করেছিল, বাজেটের শতকরা ২০ ভাগ অথবা জিডিপির শতকরা ৬ ভাগ শিক্ষার পেছনে ব্যয় করবে। আমাদের বাংলাদেশও সেখানে স্বাক্ষর করেছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা খাতে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ চেয়েছিলেন।

শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ কম হওয়ার ফলে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও বাড়ছেনা শিক্ষার গুণগত মান (যদিও এটি একমাত্র কারণ নয়)। তাই তো প্রতি বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে ক্রম নির্ধারণ করা হয় তাতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সন্তোষজনক নয়। দেশের শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত সহযোগিতা। যার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তা মোট বাজেটের ২০ ভাগে উন্নীত করার চেষ্টা করতে হবে। তবেই দেশের শিক্ষার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে। আবার দেশের গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশকেও করা যাবে সমৃদ্ধ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ।

সায়মা জাহান সরকার (স্নিগ্ধা)