সাতক্ষীরাবাসীর অনিঃশেষ কান্না

ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যায় বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। তিন যুগ আগে থেকে প্রতি বছর এসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব নদীতে প্রতিনিয়ত নতুন বাঁধ দেয়া চলছে, অন্য পাশ দিয়ে চলছে ভাঙন। ভাঙা গড়ার ওপর আছে এসব এলাকা। সিডর, আইলা, বুলবুল, আম্পানের পর গত মাসর ২৫ তারিখ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশুনিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় আম্পানের পর নব নির্মিত বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়।

প্রতি বছর এ অঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বহু কষ্ট সহ্য করে এসব দুর্যোগ প্রবণ এলাকার মানুষে টিকে আছে। নদীর পাড়ের মানুষের জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই- এ কথার প্রমাণ বারবার দেখা যায় সাতক্ষীরা অঞ্চলের ক্ষেত্রে। দুর্গত এলাকায় দিয়েছে খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব।

এসব এলাকার মানুষের চোখের জল শুকাতে না শুনাতে নতুন এক বিষাধের কান্না এসে হাজির হয়। বহু মানুষ নিজ বাস্তুভিটা ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে। তাদের ঠাঁই হয়েছে শহরের বিভিন্ন বস্তিতে।

তবে বেশিরভাগ মানুষ নদীকে ভালোবেসে, বৈচিত্রময় জীবন কাটাতে, বুকে কষ্টের পাথর জমিয়ে বসবাস করছে। দুর্গত এলাকায় এখন সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। কয়েকটা সুপেয় পানর ফিল্টারের সামনে শত শত মানুষের লাই দেখা যায়। এসব দুর্গত এলাকার মানুষ উন্নয়ন চায় না। তারা ঝুঁকিমুক্ত হয়ে, নিরাপদ জীবন-যাপন করতে চায়। তাদের একটাই প্রশ্ন, অঞ্চলে কবে হবে টেকসই বেড়িবাঁধ।

গাজী আবদুর রহিম

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

সাতক্ষীরাবাসীর অনিঃশেষ কান্না

ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যায় বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। তিন যুগ আগে থেকে প্রতি বছর এসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব নদীতে প্রতিনিয়ত নতুন বাঁধ দেয়া চলছে, অন্য পাশ দিয়ে চলছে ভাঙন। ভাঙা গড়ার ওপর আছে এসব এলাকা। সিডর, আইলা, বুলবুল, আম্পানের পর গত মাসর ২৫ তারিখ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশুনিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় আম্পানের পর নব নির্মিত বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়।

প্রতি বছর এ অঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বহু কষ্ট সহ্য করে এসব দুর্যোগ প্রবণ এলাকার মানুষে টিকে আছে। নদীর পাড়ের মানুষের জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই- এ কথার প্রমাণ বারবার দেখা যায় সাতক্ষীরা অঞ্চলের ক্ষেত্রে। দুর্গত এলাকায় দিয়েছে খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব।

এসব এলাকার মানুষের চোখের জল শুকাতে না শুনাতে নতুন এক বিষাধের কান্না এসে হাজির হয়। বহু মানুষ নিজ বাস্তুভিটা ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে। তাদের ঠাঁই হয়েছে শহরের বিভিন্ন বস্তিতে।

তবে বেশিরভাগ মানুষ নদীকে ভালোবেসে, বৈচিত্রময় জীবন কাটাতে, বুকে কষ্টের পাথর জমিয়ে বসবাস করছে। দুর্গত এলাকায় এখন সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। কয়েকটা সুপেয় পানর ফিল্টারের সামনে শত শত মানুষের লাই দেখা যায়। এসব দুর্গত এলাকার মানুষ উন্নয়ন চায় না। তারা ঝুঁকিমুক্ত হয়ে, নিরাপদ জীবন-যাপন করতে চায়। তাদের একটাই প্রশ্ন, অঞ্চলে কবে হবে টেকসই বেড়িবাঁধ।

গাজী আবদুর রহিম