ক্লাসে ফিরতে চাই

করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ পড়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাব্যবস্থায়ও এ অচলাবস্থা চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম। সরকারের কিছু পদক্ষেপও প্রশংসনীয় ছিলো এই অনলাইনে শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে নেবার জন্য। প্রয়োজনীয় ডিভাইস কিনতে ঋণও দেয়া হয়েছে।

তবে বাস্তবতার নিরিখে এসব সুবিধা অপ্রতুলত। কারণ এসব সুবিধাদি ব্যবহার করতে গিয়ে সামনে এসেছে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা। নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির নেটওয়ার্ক সব জায়গায় নেই। আবার ক্ষেত্রবিশেষে একেবারেই নেটওয়ার্ক কাভারেজ বিহীন জায়গাও রয়েছে। ফলে একটা ক্লাসের প্রায় ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যোগদানে অক্ষম। এভাবে ক্লাসের অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থীই শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে আছে।

করোনা পরিস্থির কারণে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, হতদরিদ্র পরিবারগুলোর অবস্থা তথৈবচ। অর্ধেকেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর এসব পরিবার থেকে উঠে আসা। তাই অনেক শিক্ষার্থীই বর্তমান এই পরিস্থিতির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে বেছে নিচ্ছেন আয় রোজগারের বিভিন্ন পথ। তাদের ক্লাসে ফিরে আসাটা কতটা সম্ভবপর জানি না। হয়তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরে ঝরেপড়া শিক্ষার্থী সংখ্যার আসল পরিসংখ্যান সামনে আসবে।

অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীই জ্ঞানের ঘাটতি নিয়ে এক সেমিস্টার থেকে অন্য সেমিস্টারের পথে। যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে তখন প্রতিটি ক্লাসের সবাইকে আবারও একই পাঠদানের আওতায় নিয়ে আসতেই হবে। নয়তো একই ক্লাসের, সেশনের উপ-সেশনে ভাগ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে আমরা সেশনজট নামক শিক্ষাজটে আটকে রয়েছি। তারপর যদি এমন উপ-সেশন, উপ ক্লাস তৈরি হয়ে যায় তাহলে একটা জগাখিচুড়ি অবস্থার সৃষ্টি হবে নিশ্চিত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার ব্যপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধীরে ধীরে এগিয়েছে। পর্যাক্রমে ছুটির সময় বাড়িয়েছে। এখনো বাড়ানো হচ্ছে সেই ছুটি।

মঈনুল হক খান

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

ক্লাসে ফিরতে চাই

করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ পড়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাব্যবস্থায়ও এ অচলাবস্থা চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম। সরকারের কিছু পদক্ষেপও প্রশংসনীয় ছিলো এই অনলাইনে শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে নেবার জন্য। প্রয়োজনীয় ডিভাইস কিনতে ঋণও দেয়া হয়েছে।

তবে বাস্তবতার নিরিখে এসব সুবিধা অপ্রতুলত। কারণ এসব সুবিধাদি ব্যবহার করতে গিয়ে সামনে এসেছে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা। নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির নেটওয়ার্ক সব জায়গায় নেই। আবার ক্ষেত্রবিশেষে একেবারেই নেটওয়ার্ক কাভারেজ বিহীন জায়গাও রয়েছে। ফলে একটা ক্লাসের প্রায় ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যোগদানে অক্ষম। এভাবে ক্লাসের অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থীই শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে আছে।

করোনা পরিস্থির কারণে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, হতদরিদ্র পরিবারগুলোর অবস্থা তথৈবচ। অর্ধেকেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর এসব পরিবার থেকে উঠে আসা। তাই অনেক শিক্ষার্থীই বর্তমান এই পরিস্থিতির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে বেছে নিচ্ছেন আয় রোজগারের বিভিন্ন পথ। তাদের ক্লাসে ফিরে আসাটা কতটা সম্ভবপর জানি না। হয়তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরে ঝরেপড়া শিক্ষার্থী সংখ্যার আসল পরিসংখ্যান সামনে আসবে।

অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীই জ্ঞানের ঘাটতি নিয়ে এক সেমিস্টার থেকে অন্য সেমিস্টারের পথে। যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে তখন প্রতিটি ক্লাসের সবাইকে আবারও একই পাঠদানের আওতায় নিয়ে আসতেই হবে। নয়তো একই ক্লাসের, সেশনের উপ-সেশনে ভাগ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে আমরা সেশনজট নামক শিক্ষাজটে আটকে রয়েছি। তারপর যদি এমন উপ-সেশন, উপ ক্লাস তৈরি হয়ে যায় তাহলে একটা জগাখিচুড়ি অবস্থার সৃষ্টি হবে নিশ্চিত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার ব্যপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধীরে ধীরে এগিয়েছে। পর্যাক্রমে ছুটির সময় বাড়িয়েছে। এখনো বাড়ানো হচ্ছে সেই ছুটি।

মঈনুল হক খান