জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ মুক্তি অনিশ্চিত

অল্প বৃষ্টিতেই গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। কোথাও কোথাও সড়ক হাঁটু পানিতে ডুবে গেছে। অনেক নিম্ন এলাকায় দোকানপাট এবং বাসাবাড়ির নিচ তলায় পানি প্রবেশ করেছে। জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে অফিসফেরত যাত্রীদের।

গতকাল ঢাকায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে হাতিয়ায় ৯৭ মিলিমিটার। এছাড়া সীতাকু-ে ৮১ ও সন্দীপে ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বাংলাদেশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয়ভাবে বিরাজ করছে তাই ভারি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ।

গতকাল সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর পুরান ঢাকা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের জনপদ মোড়ের হাঁটু সমান পানিতে সড়ক ডুবে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া দয়াগঞ্জ, টিকাটুলী, জুরাইন ও পোস্তগোলাসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের গলিপথ হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

রাজধানীর দয়াগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা চাঁন মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘দয়াগঞ্জ-ধোলাইখাল এই সড়কটি এক সময় খাল ছিল। খালটি ভরাট করে এখন বক্স কালভার্ট সড়ক তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সড়কের নিচের ড্রিনগুলো পরিষ্কার নেই। তাই বৃষ্টির পানি এখন সড়কে জমা হয়ে থাকে। বৃষ্টি শেষ হলেও দুই-তিন ঘণ্টা লাগের সড়কের পানি মেনে যেতে। খাল বন্ধ করে সড়ক তৈরির কারণে এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

একই অবস্থা মিরপুরের। গতকাল সকালের দিকে ভারি বর্ষণে মিরপুর-১০ নম্বর সেকশন, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দুপুরের দিকে পানি মেনে গেলেও সড়কের খানাখন্দের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা জানান। রাজধানীর কাজীপাড়ার বাসিন্দা গুলজার আলী বলেন, ‘বৃষ্টি একদিন হলে দুর্ভোগ সাতদিন পোহাতে হয় আমাদের। খানাখন্দে পানি জমে থাকায় প্রায়ই আমাদের কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের লাইন নির্মাণ কাজের কারণে এই দুর্ভোগ অনেকটা বেড়েছে।’

জলাবদ্ধতায় খুবই খারাপ অবস্থা পুরান ঢাকার এলাকায়। গতকাল বৃষ্টিতে রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। গুলিস্তান এলাকা ছাড়াও বঙ্গভবন এলাকার পাশের সড়কে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে গুলিস্তান-টিকটুলীর মোড় পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও মগবাজারের মালিবাগ এলাকা এবং শাহজাহানপুরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বৃষ্টিতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

রাজধানীর বংশাল এলাকার মাহমুদুল হাসান নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলেই বংশাল এলাকায় পানি জমে যায়। এতে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এলাকার ড্রেনগুলোতে ময়লা-আবর্জনা পড়ে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়।’

image

বৃষ্টির জলাবদ্ধতায় সড়কে যানজট, বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ। গতকাল ফতুল্লা ভুইঘর এলাকা থেকে তোলা -সংবাদ

আরও খবর
পরিকল্পিত পদক্ষেপেই বাংলাদেশ শীর্ষ এসডিজি বাস্তবায়নকারী দেশের একটি হতে পেরেছে : প্রধানমন্ত্রী
আজ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
ফোনে আড়িপাতা বন্ধে পদক্ষেপ জানতে চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
এত মৃত্যুদণ্ডের পরও স্ত্রী হত্যা কমছে না প্রধান বিচারপতি
একনেকে গাজীপুর-টাঙ্গাইল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্প অনুমোদন
সিলেটে শিশু সাঈদ হত্যা : ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
বাজারে জাল টাকার ছড়াছড়ি
ঢাকা-বরিশাল রুটের বিমান ভাড়া তিনগুণ বাড়লো
নকল মাস্ক, শারমিনকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশের প্রতিবেদন
মাদ্রাসা বন্ধে আসাম সরকারকে শপথনামা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
খিলগাঁওয়ে খালে পড়ে যুবক নিখোঁজ

বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ , ৯ আষাঢ় ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪২

জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ মুক্তি অনিশ্চিত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বৃষ্টির জলাবদ্ধতায় সড়কে যানজট, বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ। গতকাল ফতুল্লা ভুইঘর এলাকা থেকে তোলা -সংবাদ

অল্প বৃষ্টিতেই গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। কোথাও কোথাও সড়ক হাঁটু পানিতে ডুবে গেছে। অনেক নিম্ন এলাকায় দোকানপাট এবং বাসাবাড়ির নিচ তলায় পানি প্রবেশ করেছে। জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে অফিসফেরত যাত্রীদের।

গতকাল ঢাকায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে হাতিয়ায় ৯৭ মিলিমিটার। এছাড়া সীতাকু-ে ৮১ ও সন্দীপে ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বাংলাদেশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয়ভাবে বিরাজ করছে তাই ভারি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ।

গতকাল সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর পুরান ঢাকা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের জনপদ মোড়ের হাঁটু সমান পানিতে সড়ক ডুবে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া দয়াগঞ্জ, টিকাটুলী, জুরাইন ও পোস্তগোলাসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের গলিপথ হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

রাজধানীর দয়াগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা চাঁন মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘দয়াগঞ্জ-ধোলাইখাল এই সড়কটি এক সময় খাল ছিল। খালটি ভরাট করে এখন বক্স কালভার্ট সড়ক তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সড়কের নিচের ড্রিনগুলো পরিষ্কার নেই। তাই বৃষ্টির পানি এখন সড়কে জমা হয়ে থাকে। বৃষ্টি শেষ হলেও দুই-তিন ঘণ্টা লাগের সড়কের পানি মেনে যেতে। খাল বন্ধ করে সড়ক তৈরির কারণে এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

একই অবস্থা মিরপুরের। গতকাল সকালের দিকে ভারি বর্ষণে মিরপুর-১০ নম্বর সেকশন, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দুপুরের দিকে পানি মেনে গেলেও সড়কের খানাখন্দের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা জানান। রাজধানীর কাজীপাড়ার বাসিন্দা গুলজার আলী বলেন, ‘বৃষ্টি একদিন হলে দুর্ভোগ সাতদিন পোহাতে হয় আমাদের। খানাখন্দে পানি জমে থাকায় প্রায়ই আমাদের কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের লাইন নির্মাণ কাজের কারণে এই দুর্ভোগ অনেকটা বেড়েছে।’

জলাবদ্ধতায় খুবই খারাপ অবস্থা পুরান ঢাকার এলাকায়। গতকাল বৃষ্টিতে রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। গুলিস্তান এলাকা ছাড়াও বঙ্গভবন এলাকার পাশের সড়কে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে গুলিস্তান-টিকটুলীর মোড় পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও মগবাজারের মালিবাগ এলাকা এবং শাহজাহানপুরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বৃষ্টিতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

রাজধানীর বংশাল এলাকার মাহমুদুল হাসান নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলেই বংশাল এলাকায় পানি জমে যায়। এতে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এলাকার ড্রেনগুলোতে ময়লা-আবর্জনা পড়ে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়।’