দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল সেক্টরে আকাশপথে যাত্রীভাড়া কয়েকগুন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান সংস্থাগুলো। গত দিন পনের যাবত এই সেক্টরে যাত্রীর অভাবে সব এয়ারলাইন্সের দুঃশ্চিন্তার শেষ ছিল না। এমনকি ৫-১০ জন যাত্রী নিয়েও বরিশালসহ দেশের অনেক অভ্যন্তরীণ সেক্টরে ফ্লাইট চলাচল করেছে। যাত্রীর অভাবে সরকারি এয়ারলাইন্সটি ইতোমধ্যে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার বরিশাল সেক্টরে ১টি করে ফ্লাইট বন্ধও করে দিয়েছে।
কিন্তু গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক ও নৌযোগাযোগ বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্স টিকেট বিক্রি বন্ধ করে দেয়। তারা গতকাল সকাল থেকে পুনরায় টিকেট বিক্রি শুরু হলেও ৩ হাজার ৪শ টাকার টিকেট একলাফে দ্বিগুন হয়ে গেছে। এমনকি ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গতকাল সকাল ও বিকেলে ঢাকা-বরিশালÑঢাকা আকাশপথে সরকারি বেসরকারি ৫টি ফ্লাইটের সব টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে যাবার পরে বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্স আজ ৬৭ অ্যরোনটিক্যাল মাইলের বরিশাল সেক্টর দূরত্বের জন্য ৯ হাজার টাকায়ও বেশ কয়েকটি টিকেট বিক্রি করেছে। সারাদেশের মতো বরিশাল সেক্টরেও বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রী ভাড়ার এই নৈরাজ্য দেখার কেউ আছে বলেও মনে করছেন না যাত্রীরা। অনেকই বিষয়টি নিয়ে গতকাল তাদের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরে কথা বলেও কোন সঠিক জবাব পাওয়া যায়নি। তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাদের আজ সকালের একমাত্র ফ্লাইটে ৪ হাজার ২শ’ টাকায় কয়েকটি টিকেট বিক্রি করেছে।
বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্সে ৩০ জুন পর্যন্ত বেশিরভাগ টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে গতকাল দুপুরের মধ্যেই। সময় যত গড়াবে চাহিদা তত বাড়বে। আর তারই সঙ্গে বাড়বে যাত্রী ভাড়াও। এটাই অনুমোদিত বৈধ নিয়ম বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি একটি এয়ালাইন্সের স্থানীয় একজন কর্মকর্তা।
বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ , ৯ আষাঢ় ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল সেক্টরে আকাশপথে যাত্রীভাড়া কয়েকগুন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান সংস্থাগুলো। গত দিন পনের যাবত এই সেক্টরে যাত্রীর অভাবে সব এয়ারলাইন্সের দুঃশ্চিন্তার শেষ ছিল না। এমনকি ৫-১০ জন যাত্রী নিয়েও বরিশালসহ দেশের অনেক অভ্যন্তরীণ সেক্টরে ফ্লাইট চলাচল করেছে। যাত্রীর অভাবে সরকারি এয়ারলাইন্সটি ইতোমধ্যে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার বরিশাল সেক্টরে ১টি করে ফ্লাইট বন্ধও করে দিয়েছে।
কিন্তু গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক ও নৌযোগাযোগ বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্স টিকেট বিক্রি বন্ধ করে দেয়। তারা গতকাল সকাল থেকে পুনরায় টিকেট বিক্রি শুরু হলেও ৩ হাজার ৪শ টাকার টিকেট একলাফে দ্বিগুন হয়ে গেছে। এমনকি ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গতকাল সকাল ও বিকেলে ঢাকা-বরিশালÑঢাকা আকাশপথে সরকারি বেসরকারি ৫টি ফ্লাইটের সব টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে যাবার পরে বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্স আজ ৬৭ অ্যরোনটিক্যাল মাইলের বরিশাল সেক্টর দূরত্বের জন্য ৯ হাজার টাকায়ও বেশ কয়েকটি টিকেট বিক্রি করেছে। সারাদেশের মতো বরিশাল সেক্টরেও বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রী ভাড়ার এই নৈরাজ্য দেখার কেউ আছে বলেও মনে করছেন না যাত্রীরা। অনেকই বিষয়টি নিয়ে গতকাল তাদের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরে কথা বলেও কোন সঠিক জবাব পাওয়া যায়নি। তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাদের আজ সকালের একমাত্র ফ্লাইটে ৪ হাজার ২শ’ টাকায় কয়েকটি টিকেট বিক্রি করেছে।
বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্সে ৩০ জুন পর্যন্ত বেশিরভাগ টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে গতকাল দুপুরের মধ্যেই। সময় যত গড়াবে চাহিদা তত বাড়বে। আর তারই সঙ্গে বাড়বে যাত্রী ভাড়াও। এটাই অনুমোদিত বৈধ নিয়ম বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি একটি এয়ালাইন্সের স্থানীয় একজন কর্মকর্তা।