তারা জানেন না প্রিয়জনের লাশ পাবেন কিনা

পরীক্ষার জন্য নমুনা দিল ৫ জন

সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় আগুনে পুড়ে ‘অঙ্গার’ হওয়া যে ৪৯ জনের মৃতদেহ একটি ফ্লোর থেকে উদ্ধার হয়, তার কোনটিই চেনার উপায় নেই বলছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার বিকেলে ৫টি অ্যাম্বুলেন্সে আনা এ ৪৯ মরদেহ ময়নাতদন্ত ওইদিনই শেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা।

গতকালও অনেকেই আসেন প্রিয়জনের লাশ পাওয়ার আশায়। এখন পর্যন্ত যারা প্রিয়জন নিখোঁজ থাকার বিষয়টি জানিয়ে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন তারা জানেন না আদৌ স্বজনের লাশ পাবেন কিনা?

সরেজমিন দেখা যায়, শুক্রবারের মতো গতকালও সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহতের স্বজনদের ভিড়। আগের দিন যারা নমুনা দিয়ে গেছেন তাদের কেউ কেউ গতকালও অপেক্ষা করছিলেন লাশ পাওয়ার আশায়। তাদের কেউ খুঁজতে এসেছেন মেয়েকে। কেউ খুঁজতে এসেছেন মাকে। কেউবা খুঁজছেন তার বোন বা ভাই-ভাতিজাকে।

এদের একজন স্বপন মিয়া। মাছ ব্যবসায়ী স্বপন মিয়া গত শুক্রবার থেকে রূপগঞ্জ আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরছেন। আগের দিন নমুনা দিয়ে গেলেও গতকাল ফের এসেছেন মেয়ে সাগরিকা শায়লার লাশ পাওয়ার আশায়। স্বপন মিয়া জানান, তার মেয়ে ওই কারখানায় ৩ তলায় কাজ করতেন। ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের মধ্যে সাগরিকা (১৮) সবার বড়। ৩ মাস আগে সাগরিকার বিয়ে হয় শাহ আলম নামে একজনের সঙ্গে। শাহ আলমও রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় একটি গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি করেন। আগুনে মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে এখন লাশ পাবে কিনা জানেন না।

একই কারখানার শ্রমিক মহিউদ্দিনের (১৮) খোঁজ নেই। খবর পেয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে চাচা মাহের ছুটে আসেন ঢাকায়। গত বৃহস্পতিবার থেকে একবার আগুনে পোড়া কারখানার সামনে, একবার নারায়ণগঞ্জ পুলিশ স্টেশন, আবার কখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটছেন। মহিউদ্দিনের বাবা, মা দুজনই গ্রামের বাড়িতে। এখানে বাবা, মা ও আপন ছোট ভাই বা বোনের ডিএনএ নমুনা নেয়া হচ্ছে। মাহের মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে ছিলেন। শুক্রবার ঢাকা মেডিকেলে রাত ১০ পর্যন্ত ছিলেন। রাত ১টায় আবার কারখানার সামনে যান। সিকিউরিটি গার্ডরা কারখানার কাছে থাকতে না দেয়ায় রাতে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে একটি মসজিদে ঘুমান। সকালে আবার গেলে কন্ট্রাকটার আলমগীর তার ভাতিজার ব্যাগটি দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যেতে বলেন। গতকাল দুপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল ঘুরছিলেন।

মেয়ে শান্তনার (১৩) খোঁজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এসেছেন শিমু আক্তার। মৃতদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা দেন তিনি। শিমু বলেন, ‘আমার মেয়ে শান্তনা তিনদিন হলো কাজে যোগ দিয়েছিল। সপ্তাহ পার না হতেই লাশ হতে হলো। শান্তনার বাবা জাকির হোসেন আট বছর আগে মারা গেছে। চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে ভুলতা গাউছিয়া নতুনবাজার এলাকায় থাকেন। তিনিও একটি গার্মেন্টে কাজ করেন। সংসারে সচ্ছলতার জন্য ছোট্ট মেয়েকে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকায় চাকরি নিয়ে দেন। শান্তনা তিনতলায় কাজ করত।’

ঘটনাস্থলে মা মিনা খাতুনকে খুঁজে না পেয়ে ঢামেক মর্গে আসে চম্পা খাতুন। কিন্তু পোড়া লাশের মধ্যে মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই মায়ের লাশ পেতে ডিএনএ নমুনা দেয় চম্পাও।

মায়ের খোঁজে ৬ বছরের শিশু

আগুনে পোড়া কারখানায় কাজ করতেন ওমরিতা বেগম। আগুনের খবরে ছুটে যান তার ছোট বোন রোজিনা। সারারাতও বোনকে খুঁজে পাননি। গতকাল ছুটে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অন্যদের মতো ওমরিতার ৬ বছরের মেয়ে সুমা আক্তারের ডিএনএ নমুনা নেয়া হয়। ওমরিতার বোন আর্তনাদ করে বলেন, ঘটনার পর ছুটে যাই। সিকিউরিটি গার্ডকে দেখেই বলি সিকিউরিটি ভাই তালাটা খুলে দেন, আমি আমার বোনকে বাচাই। কাইন্দা কাইন্দা কইছি আমার বোনকে বাঁচাও। আমি চিৎকার করে কইছি ওমরিতা কই। সারারাত খুঁজলাম। ওমরিতার ৬ বছরের মেয়ে সুমা বলছে, আমার আম্মুরে আইন্না দাও। আমি এখন কিভাবে সুমাকে বুঝ দেব। তাকে সান্ত¡তা দিতে কইছি তোর মায়ের হাত কেটে গেছে। ঢাকা মেডিকেলে আছে। তখন ও বলছে আমারে মায়ের কাছে নিয়ে যাও। এখন কিছুই কইতে পারছি না। ওমরিতার স্বামীর নাম সেলিম। বাপের বাড়ি নবীগঞ্জে। শ্বশুরবাড়ি কিশোরগঞ্জে।

রূপগঞ্জ থানার পুলিশ বলছে, ৪৯ জনের যে মৃতদেহ ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে, সেখানে ময়নাতদন্ত হওয়ার সময় তারা লাশগুলো দেখেছেন। পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। অনেক লাশ পুড়ে কুকড়ে গেছে। কারোরই চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই কোনটি পুরুষের লাশ, কোনটি মহিলার লাশ বা শিশু শ্রমিকের লাশ।

রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান টেলিফোনে সংবাদকে জানান, ৪৯ লাশের ডিএনএন নমুনা নিতে লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল পাঠানো হয়েছে। লাশের দাবিদার স্বজনদেরও ডিএন এ নমুনা নেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত লাশের ডিএনএনের সঙ্গে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা মিলে গেলে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে চান। যদি কোন কারণে কারও লাশ শনাক্ত করা সম্ভব না নয় তখন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে কিনা?

৪০ লাশের বিপরীতে ৫৬ স্বজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছে

গতকাল রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত ৪৯ লাশের মধ্যে ৪০ লাশের দাবিদার হিসেবে ৫৬ জন নমুনা দিয়েছে। আজ সকালে তৃতীয় দিনের মতো আবার নমুনা নেবে সিআইডি।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার টেলিফোনে সংবাদকে জানান, গত দুই দিনে আমরা ৪০ জনের বিপরীতে ৫৬ জনের নমুনা নিয়েছি। ডিএনএ নমুনা নেয়া শেষ হলে আমরা পরিপূর্ণ একটি তালিকা তৈরি করব। তখন বুঝা যাবে কে কার স্বজন। আমরা বাবা, মা, সন্তানের নমুনা বেশি নিচ্ছি। না পাওয়া গেলে আপন ভাই অথবা বোনের নমুনা নিচ্ছে। যারা নমুনা দিচ্ছেন তাদের স্যাম্পল হিসেবে রক্ত নেয়া হচ্ছে।

রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৮ ২৯ জিলক্বদ ১৪৪২

তারা জানেন না প্রিয়জনের লাশ পাবেন কিনা

পরীক্ষার জন্য নমুনা দিল ৫ জন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় আগুনে পুড়ে ‘অঙ্গার’ হওয়া যে ৪৯ জনের মৃতদেহ একটি ফ্লোর থেকে উদ্ধার হয়, তার কোনটিই চেনার উপায় নেই বলছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার বিকেলে ৫টি অ্যাম্বুলেন্সে আনা এ ৪৯ মরদেহ ময়নাতদন্ত ওইদিনই শেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা।

গতকালও অনেকেই আসেন প্রিয়জনের লাশ পাওয়ার আশায়। এখন পর্যন্ত যারা প্রিয়জন নিখোঁজ থাকার বিষয়টি জানিয়ে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন তারা জানেন না আদৌ স্বজনের লাশ পাবেন কিনা?

সরেজমিন দেখা যায়, শুক্রবারের মতো গতকালও সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহতের স্বজনদের ভিড়। আগের দিন যারা নমুনা দিয়ে গেছেন তাদের কেউ কেউ গতকালও অপেক্ষা করছিলেন লাশ পাওয়ার আশায়। তাদের কেউ খুঁজতে এসেছেন মেয়েকে। কেউ খুঁজতে এসেছেন মাকে। কেউবা খুঁজছেন তার বোন বা ভাই-ভাতিজাকে।

এদের একজন স্বপন মিয়া। মাছ ব্যবসায়ী স্বপন মিয়া গত শুক্রবার থেকে রূপগঞ্জ আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরছেন। আগের দিন নমুনা দিয়ে গেলেও গতকাল ফের এসেছেন মেয়ে সাগরিকা শায়লার লাশ পাওয়ার আশায়। স্বপন মিয়া জানান, তার মেয়ে ওই কারখানায় ৩ তলায় কাজ করতেন। ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের মধ্যে সাগরিকা (১৮) সবার বড়। ৩ মাস আগে সাগরিকার বিয়ে হয় শাহ আলম নামে একজনের সঙ্গে। শাহ আলমও রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় একটি গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি করেন। আগুনে মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে এখন লাশ পাবে কিনা জানেন না।

একই কারখানার শ্রমিক মহিউদ্দিনের (১৮) খোঁজ নেই। খবর পেয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে চাচা মাহের ছুটে আসেন ঢাকায়। গত বৃহস্পতিবার থেকে একবার আগুনে পোড়া কারখানার সামনে, একবার নারায়ণগঞ্জ পুলিশ স্টেশন, আবার কখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটছেন। মহিউদ্দিনের বাবা, মা দুজনই গ্রামের বাড়িতে। এখানে বাবা, মা ও আপন ছোট ভাই বা বোনের ডিএনএ নমুনা নেয়া হচ্ছে। মাহের মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে ছিলেন। শুক্রবার ঢাকা মেডিকেলে রাত ১০ পর্যন্ত ছিলেন। রাত ১টায় আবার কারখানার সামনে যান। সিকিউরিটি গার্ডরা কারখানার কাছে থাকতে না দেয়ায় রাতে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে একটি মসজিদে ঘুমান। সকালে আবার গেলে কন্ট্রাকটার আলমগীর তার ভাতিজার ব্যাগটি দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যেতে বলেন। গতকাল দুপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল ঘুরছিলেন।

মেয়ে শান্তনার (১৩) খোঁজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এসেছেন শিমু আক্তার। মৃতদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা দেন তিনি। শিমু বলেন, ‘আমার মেয়ে শান্তনা তিনদিন হলো কাজে যোগ দিয়েছিল। সপ্তাহ পার না হতেই লাশ হতে হলো। শান্তনার বাবা জাকির হোসেন আট বছর আগে মারা গেছে। চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে ভুলতা গাউছিয়া নতুনবাজার এলাকায় থাকেন। তিনিও একটি গার্মেন্টে কাজ করেন। সংসারে সচ্ছলতার জন্য ছোট্ট মেয়েকে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকায় চাকরি নিয়ে দেন। শান্তনা তিনতলায় কাজ করত।’

ঘটনাস্থলে মা মিনা খাতুনকে খুঁজে না পেয়ে ঢামেক মর্গে আসে চম্পা খাতুন। কিন্তু পোড়া লাশের মধ্যে মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই মায়ের লাশ পেতে ডিএনএ নমুনা দেয় চম্পাও।

মায়ের খোঁজে ৬ বছরের শিশু

আগুনে পোড়া কারখানায় কাজ করতেন ওমরিতা বেগম। আগুনের খবরে ছুটে যান তার ছোট বোন রোজিনা। সারারাতও বোনকে খুঁজে পাননি। গতকাল ছুটে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অন্যদের মতো ওমরিতার ৬ বছরের মেয়ে সুমা আক্তারের ডিএনএ নমুনা নেয়া হয়। ওমরিতার বোন আর্তনাদ করে বলেন, ঘটনার পর ছুটে যাই। সিকিউরিটি গার্ডকে দেখেই বলি সিকিউরিটি ভাই তালাটা খুলে দেন, আমি আমার বোনকে বাচাই। কাইন্দা কাইন্দা কইছি আমার বোনকে বাঁচাও। আমি চিৎকার করে কইছি ওমরিতা কই। সারারাত খুঁজলাম। ওমরিতার ৬ বছরের মেয়ে সুমা বলছে, আমার আম্মুরে আইন্না দাও। আমি এখন কিভাবে সুমাকে বুঝ দেব। তাকে সান্ত¡তা দিতে কইছি তোর মায়ের হাত কেটে গেছে। ঢাকা মেডিকেলে আছে। তখন ও বলছে আমারে মায়ের কাছে নিয়ে যাও। এখন কিছুই কইতে পারছি না। ওমরিতার স্বামীর নাম সেলিম। বাপের বাড়ি নবীগঞ্জে। শ্বশুরবাড়ি কিশোরগঞ্জে।

রূপগঞ্জ থানার পুলিশ বলছে, ৪৯ জনের যে মৃতদেহ ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে, সেখানে ময়নাতদন্ত হওয়ার সময় তারা লাশগুলো দেখেছেন। পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। অনেক লাশ পুড়ে কুকড়ে গেছে। কারোরই চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই কোনটি পুরুষের লাশ, কোনটি মহিলার লাশ বা শিশু শ্রমিকের লাশ।

রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান টেলিফোনে সংবাদকে জানান, ৪৯ লাশের ডিএনএন নমুনা নিতে লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল পাঠানো হয়েছে। লাশের দাবিদার স্বজনদেরও ডিএন এ নমুনা নেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত লাশের ডিএনএনের সঙ্গে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা মিলে গেলে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে চান। যদি কোন কারণে কারও লাশ শনাক্ত করা সম্ভব না নয় তখন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে কিনা?

৪০ লাশের বিপরীতে ৫৬ স্বজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছে

গতকাল রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত ৪৯ লাশের মধ্যে ৪০ লাশের দাবিদার হিসেবে ৫৬ জন নমুনা দিয়েছে। আজ সকালে তৃতীয় দিনের মতো আবার নমুনা নেবে সিআইডি।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার টেলিফোনে সংবাদকে জানান, গত দুই দিনে আমরা ৪০ জনের বিপরীতে ৫৬ জনের নমুনা নিয়েছি। ডিএনএ নমুনা নেয়া শেষ হলে আমরা পরিপূর্ণ একটি তালিকা তৈরি করব। তখন বুঝা যাবে কে কার স্বজন। আমরা বাবা, মা, সন্তানের নমুনা বেশি নিচ্ছি। না পাওয়া গেলে আপন ভাই অথবা বোনের নমুনা নিচ্ছে। যারা নমুনা দিচ্ছেন তাদের স্যাম্পল হিসেবে রক্ত নেয়া হচ্ছে।