আশানুরূপ সাড়া গ্রামে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ টিকা গ্রহণ করেছে। সারাদেশের প্রতিটি কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারীর উপস্থিতি ছিল বেশি। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে টিকা দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু কেন্দ্রে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেও টিকা দেয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় মানুষ টিকা নিতে পারেনি, তাদের গতকাল টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ৫৪টি কেন্দ্রেই দুপুর আড়াইটা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
গতকাল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই দিনের টিকার কোন পরিসংখ্যান জানা যায়নি। তবে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, ইতোমধ্যে দেশে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৫২ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার টিকা দেয়া হয়েছে, ৬৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৯২ ডোজ। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে, ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৯ ডোজ। টিকা নেয়ার জন্য এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৯ জন। শুধু গত মঙ্গলবারই নিবন্ধন করেছেন, ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৯৯৬ জন।
বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের চেয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে টিকা গ্রহীতাদের সংখ্যা বেশি ছিল। এবারের টিকা গ্রহণে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীকে গণটিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন টিকা নিতে আসা গ্রামের লোকেরা।
এদিকে, গত মঙ্গলবারের মতো গতকাল বুধবারও করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ৫৪টি কেন্দ্রেই দুপুর আড়াইটা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫০০ জন করে দুই দিনে মোট ১ হাজার জনকে টিকা দেয়া হয় বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এর মধ্যে, ডিএনসিসির আওতায় মহাখালীর কড়াইল বস্তিসহ তিনটি বস্তিতে ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের শুধু ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যেমে টিকা দেয়া হয়। এর আগে ডিএনসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, টিকা গ্রহণকারীরা যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করবেন, একমাস পর এক?ই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকাও গ্রহণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৩৩টি ওয়ার্ডে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করে টিকা দেয়া হবে। টকাদান কার্যক্রমে অংশ নেন ৩২ হাজার ১০৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি ৪৮ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কর্মসূচিতে সহায়তা করেন বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ১৫ আশ্বিন ১৪২৮ ২১ সফর ১৪৪৩
আশানুরূপ সাড়া গ্রামে
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ টিকা গ্রহণ করেছে। সারাদেশের প্রতিটি কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারীর উপস্থিতি ছিল বেশি। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে টিকা দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু কেন্দ্রে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেও টিকা দেয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় মানুষ টিকা নিতে পারেনি, তাদের গতকাল টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ৫৪টি কেন্দ্রেই দুপুর আড়াইটা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
গতকাল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই দিনের টিকার কোন পরিসংখ্যান জানা যায়নি। তবে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, ইতোমধ্যে দেশে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৫২ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার টিকা দেয়া হয়েছে, ৬৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৯২ ডোজ। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে, ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৯ ডোজ। টিকা নেয়ার জন্য এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৯ জন। শুধু গত মঙ্গলবারই নিবন্ধন করেছেন, ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৯৯৬ জন।
বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের চেয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে টিকা গ্রহীতাদের সংখ্যা বেশি ছিল। এবারের টিকা গ্রহণে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীকে গণটিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন টিকা নিতে আসা গ্রামের লোকেরা।
এদিকে, গত মঙ্গলবারের মতো গতকাল বুধবারও করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ৫৪টি কেন্দ্রেই দুপুর আড়াইটা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫০০ জন করে দুই দিনে মোট ১ হাজার জনকে টিকা দেয়া হয় বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এর মধ্যে, ডিএনসিসির আওতায় মহাখালীর কড়াইল বস্তিসহ তিনটি বস্তিতে ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের শুধু ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যেমে টিকা দেয়া হয়। এর আগে ডিএনসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, টিকা গ্রহণকারীরা যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করবেন, একমাস পর এক?ই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকাও গ্রহণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৩৩টি ওয়ার্ডে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করে টিকা দেয়া হবে। টকাদান কার্যক্রমে অংশ নেন ৩২ হাজার ১০৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি ৪৮ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কর্মসূচিতে সহায়তা করেন বলেও জানা গেছে।