জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফুমিও কিশিদাকে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষে এবং তার নিজের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, জাপানের শততম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে নির্বাচিত করা হচ্ছে আপনার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি এবং আপনার দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ওপর জাপানের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে উভয় দেশের চমৎকার সম্পর্ক বজায় থাকার কথা তিনি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা।’ প্রধানমন্ত্রী এ দুই দেশের মধ্যে অটল ও স্থায়ী বন্ধুত্ব স্থাপনের ১৯৭৩ সালের সুনির্দিষ্ট এই অক্টোবর মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সফরের কথা স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে অনুকুল বিনিয়োগ পরিবেশ জাপানি কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করছে। বাংলাদেশে জাপানের ব্যাপক অংশগ্রহণে উভয়পক্ষ লাভবান হবে।

এই পরীক্ষিত বন্ধুত্ব একটি ‘বিস্তৃত অংশীদারিত্বে’ পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে তার সরকারের মাধ্যমে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ বৃদ্ধি পেয়ে আসছে। আমরা গভীর আগ্রহ নিয়ে আগামী বছর আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কেও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অপেক্ষায় রয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী আশা করেন যে, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিক সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহ বোধ করেন।

তিনি এই কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালে জাপান সরকার ও জনগণের সহযোগিতা ও সাহায্যের কথা কৃতজ্ঞতাসহ স্বীকার করেন। এই মহামারী কাটিয়ে ওঠার পর শেখ হাসিনা পারস্পারিক বিশ্বস্ত অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নিযুক্ত, পুনর্বিবেচনা এবং পুনরুজ্জীবিত করতে উভয় দেশের প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্ত অংশীদার এবং শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও জাপান আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গনে এবং বৈশ্বিক শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে পরস্পরকে সহযোগিতায় সর্বদা একসঙ্গে কাজ করে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সংকট সমাধানে আমরা অভিন্ন অবস্থানে রয়েছি। রাখাইনে তাদের পৈতৃক বাসস্থানে এসব গৃহহীন ও পীড়িত মানুষের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আমি আপনার সহযোগিতা চাই।’

প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ফুমিও কিশিদা এবং তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে আগের প্রধানমন্ত্রীদের মতোই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি ফুমিও কিশিদার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল এবং জাপানের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

আরও খবর
জাপার দুর্গ রংপুরে মহাসচিব কে হচ্ছেন চলছে জল্পনা-কল্পনা
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি শিক্ষকদের
মিরপুর থেকে নিখোঁজ ৪ কিশোরী উদ্ধার
ক্লিনফিড বাস্তবায়নে আজ থেকে ফের মোবাইল কোর্ট : তথ্যমন্ত্রী
এসকে সিনহার মামলার রায় পেছালো
যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ লাখ ফাইজারের টিকা হস্তান্তর
মাদক চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনে মায়ানমার সীমান্তে গুলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৮ বছরের কম বয়সীরা এখনই টিকা পাচ্ছে না
আজ মহালয়া দেবীপক্ষের শুরু
চলনবিলে পাখি ধরার কিল্লা ধ্বংস
খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো
৩০ ঘণ্টা আটকে রাখার পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেপ্তার দেখালো পুলিশ

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১ , ২১ আশ্বিন ১৪২৮ ২৭ সফর ১৪৪৩

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফুমিও কিশিদাকে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষে এবং তার নিজের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, জাপানের শততম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে নির্বাচিত করা হচ্ছে আপনার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি এবং আপনার দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ওপর জাপানের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে উভয় দেশের চমৎকার সম্পর্ক বজায় থাকার কথা তিনি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা।’ প্রধানমন্ত্রী এ দুই দেশের মধ্যে অটল ও স্থায়ী বন্ধুত্ব স্থাপনের ১৯৭৩ সালের সুনির্দিষ্ট এই অক্টোবর মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সফরের কথা স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে অনুকুল বিনিয়োগ পরিবেশ জাপানি কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করছে। বাংলাদেশে জাপানের ব্যাপক অংশগ্রহণে উভয়পক্ষ লাভবান হবে।

এই পরীক্ষিত বন্ধুত্ব একটি ‘বিস্তৃত অংশীদারিত্বে’ পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে তার সরকারের মাধ্যমে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ বৃদ্ধি পেয়ে আসছে। আমরা গভীর আগ্রহ নিয়ে আগামী বছর আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কেও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অপেক্ষায় রয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী আশা করেন যে, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিক সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহ বোধ করেন।

তিনি এই কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালে জাপান সরকার ও জনগণের সহযোগিতা ও সাহায্যের কথা কৃতজ্ঞতাসহ স্বীকার করেন। এই মহামারী কাটিয়ে ওঠার পর শেখ হাসিনা পারস্পারিক বিশ্বস্ত অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নিযুক্ত, পুনর্বিবেচনা এবং পুনরুজ্জীবিত করতে উভয় দেশের প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্ত অংশীদার এবং শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও জাপান আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গনে এবং বৈশ্বিক শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে পরস্পরকে সহযোগিতায় সর্বদা একসঙ্গে কাজ করে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সংকট সমাধানে আমরা অভিন্ন অবস্থানে রয়েছি। রাখাইনে তাদের পৈতৃক বাসস্থানে এসব গৃহহীন ও পীড়িত মানুষের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আমি আপনার সহযোগিতা চাই।’

প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ফুমিও কিশিদা এবং তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে আগের প্রধানমন্ত্রীদের মতোই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি ফুমিও কিশিদার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল এবং জাপানের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।