বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনহীন সম্প্রচার বাস্তবায়নে আজ থেকে আবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা জাানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ বিষয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গতকাল সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক চ্যানেলের ক্লিনফিড আসে। সেগুলো প্রথমে কেউ চালায়নি, পরে অনেকে চালানো শুরু করেছে। আমরা আজকেও সময় দিচ্ছি, যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড হিসেবে আসে, সেগুলো চালানোর জন্য।’
মন্ত্রী জানান, বুধবার থেকে আবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড আসা সত্ত্বেও চালানো হচ্ছে না, সেটির জন্য মোবাইল কোর্ট বসানো হবে।
অন্যান্য শর্ত যদি কেউ না মানে, তাহলে মোবাইল কোর্টের আওতায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশ এবং দেশের মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রির স্বার্থে আইন কার্যকর করেছি। এ আইন আশপাশের অনেক দেশে অনেক আগেই কার্যকর হয়েছে। আমাদের দেশের একটি মহল এ আইন কার্যকর করতে দেয়নি।’
মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র একটি পক্ষ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তা নয়, এটাকে পুঁজি করে আরও কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছে। সেগুলো হালে পানি পায়নি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইন কার্যকরের বিষয়ে আমরা এবার অত্যন্ত বদ্ধ পরিকর। আর কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে সেটির বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিজ্ঞাপনবিহীন বিদেশি টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের নির্দেশ
সব চ্যানেল বন্ধ না রেখে বিজ্ঞাপনবিহীন (ক্লিন ফিড) বিদেশি টিভি চ্যানেলে বা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুজিনা সুলতানা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ক্লিন ফিড ছাড়া কোন বিদেশি টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে পারবে না মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে পত্র দেয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোনও কোনও বিদেশি টিভি চ্যানেল ক্লিন ফিড থাকা সত্ত্বেও গত ১ অক্টোবর থেকে সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। যা কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬-এর পরিপন্থী।
তথ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ডিডব্লিউ, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, বিবিসি ওয়ার্ল্ড, ভয়েস অব আমেরিকা, আলজাজিরা, সৌদি কোরআন, সৌদি আরাবিয়া, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, সিএনএন, লোটাস ম্যাকাও, ট্রাভেলএক্সপি এইচডি, সিনেমা অ্যাকশন, সিনেমাসি কমেডি, আরিরাং, টিভিফাইভ মন্ডে, নাইনএক্সএম চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড।
এসব বিদেশি টিভি চ্যানেল এবং আরও যেসব অনুমোদিত বিদেশি টিভি চ্যানেল ক্লিন ফিড অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে সেসকল টিভি চ্যানেল বন্ধ না রেখে সম্প্রচার করার জন্য নির্দেশ দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।
সম্পাদিত-মাহির
বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১ , ২১ আশ্বিন ১৪২৮ ২৭ সফর ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনহীন সম্প্রচার বাস্তবায়নে আজ থেকে আবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা জাানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ বিষয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গতকাল সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক চ্যানেলের ক্লিনফিড আসে। সেগুলো প্রথমে কেউ চালায়নি, পরে অনেকে চালানো শুরু করেছে। আমরা আজকেও সময় দিচ্ছি, যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড হিসেবে আসে, সেগুলো চালানোর জন্য।’
মন্ত্রী জানান, বুধবার থেকে আবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড আসা সত্ত্বেও চালানো হচ্ছে না, সেটির জন্য মোবাইল কোর্ট বসানো হবে।
অন্যান্য শর্ত যদি কেউ না মানে, তাহলে মোবাইল কোর্টের আওতায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশ এবং দেশের মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রির স্বার্থে আইন কার্যকর করেছি। এ আইন আশপাশের অনেক দেশে অনেক আগেই কার্যকর হয়েছে। আমাদের দেশের একটি মহল এ আইন কার্যকর করতে দেয়নি।’
মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র একটি পক্ষ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তা নয়, এটাকে পুঁজি করে আরও কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছে। সেগুলো হালে পানি পায়নি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইন কার্যকরের বিষয়ে আমরা এবার অত্যন্ত বদ্ধ পরিকর। আর কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে সেটির বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিজ্ঞাপনবিহীন বিদেশি টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের নির্দেশ
সব চ্যানেল বন্ধ না রেখে বিজ্ঞাপনবিহীন (ক্লিন ফিড) বিদেশি টিভি চ্যানেলে বা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুজিনা সুলতানা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ক্লিন ফিড ছাড়া কোন বিদেশি টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে পারবে না মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে পত্র দেয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোনও কোনও বিদেশি টিভি চ্যানেল ক্লিন ফিড থাকা সত্ত্বেও গত ১ অক্টোবর থেকে সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। যা কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬-এর পরিপন্থী।
তথ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ডিডব্লিউ, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, বিবিসি ওয়ার্ল্ড, ভয়েস অব আমেরিকা, আলজাজিরা, সৌদি কোরআন, সৌদি আরাবিয়া, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, সিএনএন, লোটাস ম্যাকাও, ট্রাভেলএক্সপি এইচডি, সিনেমা অ্যাকশন, সিনেমাসি কমেডি, আরিরাং, টিভিফাইভ মন্ডে, নাইনএক্সএম চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড।
এসব বিদেশি টিভি চ্যানেল এবং আরও যেসব অনুমোদিত বিদেশি টিভি চ্যানেল ক্লিন ফিড অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে সেসকল টিভি চ্যানেল বন্ধ না রেখে সম্প্রচার করার জন্য নির্দেশ দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।
সম্পাদিত-মাহির