গতকাল থেকে বিভাগীয় নগরী রংপুরে টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে কার্ডধারীদের মাঝে ন্যায্য মুল্যে সোয়াবিন তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি শুরু হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রি পাড়া ও আরসিসির মোড় শালবন এলাকায় পন্য বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশেনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটো, প্রধান নির্বাহি রুহুল আমিন মিয়া, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউািন্সলর নুরুন্নবী ফুলু ও টিসিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি ডিলারের দোকানের সামনে নারী পুরুষদের লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে পন্য নিতে দেখা গেছে।
টিসিবির ডিলারের ম্যানেজার আবদুর রহিম জানান, প্রতিজন কার্ডধারীকে ১শ ১০ টাকা দরে ২ লিটার তেল ৫৫ টাকা দরে এক কেজি চিনি, এবং ৬৫ টাকা দরে এক কেজি ডালদেয়া হচ্ছে। রংপুরের জেলা প্রশাসক টিসিবির পন্য বিক্রির উদ্বোধন করে এ প্রতিনিধিকে জানান রংপুর সিটি করপোরেশন ছাড়াও জেলার তিনটি পৌরসভা ও ৮টি উপজেলার ২ লাখ ৮৫ হাজার কার্ডধারীকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। ফলে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন তারা। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান পণ্য বিক্রিতে কোন অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে পণ্য কিনতে আসা শালবন এলাকার গৃহবধু তসলিমা আকতার জানান বাজারে সোয়াবিন তেল ২শ ১০ টাকা লিটার সেখানে অর্ধেক দামে তেল পাওয়ায় আমরা খুশি সরকারের এ পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। তবে ঈদের আগে আরও দুবার দেবার জন্য বানিজ্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
অন্যদিকে মিস্ত্রিপাড়া থেকে আসা ভ্যানের শ্রমিক সালাম জানালেন অনেক আগেই ঘোষনা দেয়া হলেও দেরীতে হলেও দেয়া হয়েছে। তবে সোয়াবিন তেল ৫ লিটার আর চিনি ও ডাল আরও বেশি করে দেয়া উচিত বলে জানান।
তবে কার্ড পাননি এমন বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন কার্ড দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম হয়েছে। দোতলা বাড়ি আছে বড় চাকুরি আর ব্যাবসা করেন এমন অনেককে কার্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারী গৃহকর্মী সালমা, রিকশাওয়ালা আবদুল রশিদসহ অনেকে বললেন আমরা কার্ড পেলামনা কাউন্সিলরের কাছে বেশ কয়েকবার ধর্না দিয়েও কাজ হয়নি। তবে এ সব অভিযোগ অস্বিকার করে কাউন্সিলর ফুল বলেন সকলকে কার্ড দেয়া সম্ভব নয় কার্ডের সংখ্যা কম হওয়ায় সমস্যা হয়েছে তিনি কার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান।
ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলা ট্রাকসেলের ইতি ঘটলো। একটি কার্ড দিয়ে একজন ব্যক্তি বা পরিবার ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার করে সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। ছবিটি গতকাল রাজধানীর মুগদা থেকে তোলা -সংবাদ
আরও খবরবৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ , ৯ আষাড় ১৪২৮ ২৩ জিলকদ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর
ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলা ট্রাকসেলের ইতি ঘটলো। একটি কার্ড দিয়ে একজন ব্যক্তি বা পরিবার ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার করে সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। ছবিটি গতকাল রাজধানীর মুগদা থেকে তোলা -সংবাদ
গতকাল থেকে বিভাগীয় নগরী রংপুরে টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে কার্ডধারীদের মাঝে ন্যায্য মুল্যে সোয়াবিন তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি শুরু হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রি পাড়া ও আরসিসির মোড় শালবন এলাকায় পন্য বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশেনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটো, প্রধান নির্বাহি রুহুল আমিন মিয়া, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউািন্সলর নুরুন্নবী ফুলু ও টিসিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি ডিলারের দোকানের সামনে নারী পুরুষদের লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে পন্য নিতে দেখা গেছে।
টিসিবির ডিলারের ম্যানেজার আবদুর রহিম জানান, প্রতিজন কার্ডধারীকে ১শ ১০ টাকা দরে ২ লিটার তেল ৫৫ টাকা দরে এক কেজি চিনি, এবং ৬৫ টাকা দরে এক কেজি ডালদেয়া হচ্ছে। রংপুরের জেলা প্রশাসক টিসিবির পন্য বিক্রির উদ্বোধন করে এ প্রতিনিধিকে জানান রংপুর সিটি করপোরেশন ছাড়াও জেলার তিনটি পৌরসভা ও ৮টি উপজেলার ২ লাখ ৮৫ হাজার কার্ডধারীকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। ফলে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন তারা। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান পণ্য বিক্রিতে কোন অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে পণ্য কিনতে আসা শালবন এলাকার গৃহবধু তসলিমা আকতার জানান বাজারে সোয়াবিন তেল ২শ ১০ টাকা লিটার সেখানে অর্ধেক দামে তেল পাওয়ায় আমরা খুশি সরকারের এ পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। তবে ঈদের আগে আরও দুবার দেবার জন্য বানিজ্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
অন্যদিকে মিস্ত্রিপাড়া থেকে আসা ভ্যানের শ্রমিক সালাম জানালেন অনেক আগেই ঘোষনা দেয়া হলেও দেরীতে হলেও দেয়া হয়েছে। তবে সোয়াবিন তেল ৫ লিটার আর চিনি ও ডাল আরও বেশি করে দেয়া উচিত বলে জানান।
তবে কার্ড পাননি এমন বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন কার্ড দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম হয়েছে। দোতলা বাড়ি আছে বড় চাকুরি আর ব্যাবসা করেন এমন অনেককে কার্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারী গৃহকর্মী সালমা, রিকশাওয়ালা আবদুল রশিদসহ অনেকে বললেন আমরা কার্ড পেলামনা কাউন্সিলরের কাছে বেশ কয়েকবার ধর্না দিয়েও কাজ হয়নি। তবে এ সব অভিযোগ অস্বিকার করে কাউন্সিলর ফুল বলেন সকলকে কার্ড দেয়া সম্ভব নয় কার্ডের সংখ্যা কম হওয়ায় সমস্যা হয়েছে তিনি কার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান।