বেলকলির কোলে জন্ম নিলো আনারকলি

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের মা হাতি বেলকলি আবারও শাবকের জন্ম দিয়েছে। সাফারি পার্কে নতুন জন্ম নেয়া মাদী হাতি শাবকটির নাম রাখা হয়েছে আনার কলি।

গত ৮ আগস্ট সকালে দ্বিতীয় বারের মতো পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে শাবকের জন্ম হলেও বিভিন্ন দিক বিবেচনায় পার্ক কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিষয়টি জানাননি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জন্মের পর মা ও শাবক সুস্থ রয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ জুন এই বেলকলিই পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে আরও একটি হাতি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তার নাম রাখা হয়েছিল ফুলকলি। সে এখন পরিণত হয়ে উঠছে। এ নিয়ে পার্কে এখন হাতির সংখ্যা ৯টিতে পৌঁছলো। এর মধ্যে ৭টি পুরুষ ও ২টি মাদি।

শাবকটির প্রসবকালীন সময়ে ওজন ছিল প্রায় ৬০ কেজি। একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি সাধারণত চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। ১৮-২০ বছরে হাতি প্রজনন সক্ষম হয়। এদের গর্ভকালীন সময় ২০-২২মাস। সাধারণত একটি হাতি ৩-৫ বছর পর পর একটি করে শাবকের জন্ম দেয়।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, বাচ্চাসহ মা হাতিটি আলাদা করে রাখা হয়েছে। বাচ্চাটি মায়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেখানে পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত রাখা হয়েছে।

মা হাতিটিকে প্রতিদিন ২০ কেজি কলাগাছ, ৫০ কেজি মিষ্টি কুমড়া, ৫ কেজি আখ, ১০ কেজি গাজর ও ভাতের জাউসহ তৃণ জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে বলে পার্কের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে হাতির সংখ্যা কমার মধ্যে সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে হাতি শাবক জন্ম হওয়া সত্যিই আনন্দের। জন্মের পর মা ও শাবকের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বেও এ পার্কে দেশে প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশে আরও একটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। সেও এখন পরিণত হচ্ছে।বেলকলির কোলে জন্ম নিলো আনারকলি

প্রতিনিধি, শ্রীপুর

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের মা হাতি বেলকলি আবারও শাবকের জন্ম দিয়েছে। সাফারি পার্কে নতুন জন্ম নেয়া মাদী হাতি শাবকটির নাম রাখা হয়েছে আনার কলি।

গত ৮ আগস্ট সকালে দ্বিতীয় বারের মতো পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে শাবকের জন্ম হলেও বিভিন্ন দিক বিবেচনায় পার্ক কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিষয়টি জানাননি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জন্মের পর মা ও শাবক সুস্থ রয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ জুন এই বেলকলিই পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে আরও একটি হাতি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তার নাম রাখা হয়েছিল ফুলকলি। সে এখন পরিণত হয়ে উঠছে। এ নিয়ে পার্কে এখন হাতির সংখ্যা ৯টিতে পৌঁছলো। এর মধ্যে ৭টি পুরুষ ও ২টি মাদি।

শাবকটির প্রসবকালীন সময়ে ওজন ছিল প্রায় ৬০ কেজি। একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি সাধারণত চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। ১৮-২০ বছরে হাতি প্রজনন সক্ষম হয়। এদের গর্ভকালীন সময় ২০-২২মাস। সাধারণত একটি হাতি ৩-৫ বছর পর পর একটি করে শাবকের জন্ম দেয়।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, বাচ্চাসহ মা হাতিটি আলাদা করে রাখা হয়েছে। বাচ্চাটি মায়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেখানে পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত রাখা হয়েছে।

মা হাতিটিকে প্রতিদিন ২০ কেজি কলাগাছ, ৫০ কেজি মিষ্টি কুমড়া, ৫ কেজি আখ, ১০ কেজি গাজর ও ভাতের জাউসহ তৃণ জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে বলে পার্কের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে হাতির সংখ্যা কমার মধ্যে সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে হাতি শাবক জন্ম হওয়া সত্যিই আনন্দের। জন্মের পর মা ও শাবকের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বেও এ পার্কে দেশে প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশে আরও একটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। সেও এখন পরিণত হচ্ছে।

সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২ , ১৪ ভাদ্র ১৪২৯ ১ সফর ১৪৪৪

বেলকলির কোলে জন্ম নিলো আনারকলি

প্রতিনিধি, শ্রীপুর

image

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের মা হাতি বেলকলি আবারও শাবকের জন্ম দিয়েছে। সাফারি পার্কে নতুন জন্ম নেয়া মাদী হাতি শাবকটির নাম রাখা হয়েছে আনার কলি।

গত ৮ আগস্ট সকালে দ্বিতীয় বারের মতো পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে শাবকের জন্ম হলেও বিভিন্ন দিক বিবেচনায় পার্ক কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিষয়টি জানাননি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জন্মের পর মা ও শাবক সুস্থ রয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ জুন এই বেলকলিই পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে আরও একটি হাতি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তার নাম রাখা হয়েছিল ফুলকলি। সে এখন পরিণত হয়ে উঠছে। এ নিয়ে পার্কে এখন হাতির সংখ্যা ৯টিতে পৌঁছলো। এর মধ্যে ৭টি পুরুষ ও ২টি মাদি।

শাবকটির প্রসবকালীন সময়ে ওজন ছিল প্রায় ৬০ কেজি। একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি সাধারণত চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। ১৮-২০ বছরে হাতি প্রজনন সক্ষম হয়। এদের গর্ভকালীন সময় ২০-২২মাস। সাধারণত একটি হাতি ৩-৫ বছর পর পর একটি করে শাবকের জন্ম দেয়।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, বাচ্চাসহ মা হাতিটি আলাদা করে রাখা হয়েছে। বাচ্চাটি মায়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেখানে পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত রাখা হয়েছে।

মা হাতিটিকে প্রতিদিন ২০ কেজি কলাগাছ, ৫০ কেজি মিষ্টি কুমড়া, ৫ কেজি আখ, ১০ কেজি গাজর ও ভাতের জাউসহ তৃণ জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে বলে পার্কের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে হাতির সংখ্যা কমার মধ্যে সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে হাতি শাবক জন্ম হওয়া সত্যিই আনন্দের। জন্মের পর মা ও শাবকের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বেও এ পার্কে দেশে প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশে আরও একটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। সেও এখন পরিণত হচ্ছে।বেলকলির কোলে জন্ম নিলো আনারকলি

প্রতিনিধি, শ্রীপুর

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের মা হাতি বেলকলি আবারও শাবকের জন্ম দিয়েছে। সাফারি পার্কে নতুন জন্ম নেয়া মাদী হাতি শাবকটির নাম রাখা হয়েছে আনার কলি।

গত ৮ আগস্ট সকালে দ্বিতীয় বারের মতো পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে শাবকের জন্ম হলেও বিভিন্ন দিক বিবেচনায় পার্ক কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিষয়টি জানাননি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জন্মের পর মা ও শাবক সুস্থ রয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ জুন এই বেলকলিই পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে আরও একটি হাতি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তার নাম রাখা হয়েছিল ফুলকলি। সে এখন পরিণত হয়ে উঠছে। এ নিয়ে পার্কে এখন হাতির সংখ্যা ৯টিতে পৌঁছলো। এর মধ্যে ৭টি পুরুষ ও ২টি মাদি।

শাবকটির প্রসবকালীন সময়ে ওজন ছিল প্রায় ৬০ কেজি। একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি সাধারণত চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। ১৮-২০ বছরে হাতি প্রজনন সক্ষম হয়। এদের গর্ভকালীন সময় ২০-২২মাস। সাধারণত একটি হাতি ৩-৫ বছর পর পর একটি করে শাবকের জন্ম দেয়।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, বাচ্চাসহ মা হাতিটি আলাদা করে রাখা হয়েছে। বাচ্চাটি মায়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেখানে পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত রাখা হয়েছে।

মা হাতিটিকে প্রতিদিন ২০ কেজি কলাগাছ, ৫০ কেজি মিষ্টি কুমড়া, ৫ কেজি আখ, ১০ কেজি গাজর ও ভাতের জাউসহ তৃণ জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে বলে পার্কের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে হাতির সংখ্যা কমার মধ্যে সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে হাতি শাবক জন্ম হওয়া সত্যিই আনন্দের। জন্মের পর মা ও শাবকের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বেও এ পার্কে দেশে প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশে আরও একটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। সেও এখন পরিণত হচ্ছে।