চা শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন

মজুরি বৃদ্ধির পর টানা ১৯ দিনের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে গতকাল ছুটির দিনেই মৌলভীবাজারের বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন।

অধিকাংশ চা বাগানের সাপ্তাহিক ছুটি রোববার। এ কারণে কম সংখ্যক শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন। আজ থেকে সব শ্রমিক কাজে যোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন চা শ্রমিকরা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শনিবার চা বাগান মালিকদের বৈঠকে চা শ্রমিককের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ হওয়ার খবর পেয়েই সাধারণ চা শ্রমিকরা কাজে ফিরে যেতে প্রস্তুতি নিতে থাকে। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। শুরু হয়েছে পাতা উত্তোলন। কারখানার চাকা আবার ঘুরবে।

কমলগঞ্জের শমসেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং চা শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক সিতারাম বীন বলেছেন, ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণে হতাশ হয়েছি। তবে প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের পক্ষে ছিলেন বলেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ১৩টি চা বাগানের মালিক। বৈঠক শেষে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নতুন মজুরি নির্ধারণ করে কাজে ফেরার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সারা দিয়ে কাজে ফিরছেন চা শ্রমিকরা। ফলে চা বাগানের চিরচেনা রূপ আবারও ফিরেছে।

ভাড়াউড়া চা-বাগানের শ্রমিক দুলাল হাজরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমারদের মজুরির ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তাই মেনে নিয়েছি। আমরা এখন বাগানের জন্য কাজ করব। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, চা শ্রমিকরা বরাবরই বলে আসছে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন তা মেনে নিব। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। তাই আমরা বাগানে কাজে নেমেছি। ফিনলে চা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোহাম্মদ শিবলী চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২ , ১৪ ভাদ্র ১৪২৯ ১ সফর ১৪৪৪

চা শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন

জেলা বার্তা পরিবেশক, মৌলভীবাজার

মজুরি বৃদ্ধির পর টানা ১৯ দিনের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে গতকাল ছুটির দিনেই মৌলভীবাজারের বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন।

অধিকাংশ চা বাগানের সাপ্তাহিক ছুটি রোববার। এ কারণে কম সংখ্যক শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন। আজ থেকে সব শ্রমিক কাজে যোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন চা শ্রমিকরা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শনিবার চা বাগান মালিকদের বৈঠকে চা শ্রমিককের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ হওয়ার খবর পেয়েই সাধারণ চা শ্রমিকরা কাজে ফিরে যেতে প্রস্তুতি নিতে থাকে। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। শুরু হয়েছে পাতা উত্তোলন। কারখানার চাকা আবার ঘুরবে।

কমলগঞ্জের শমসেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং চা শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক সিতারাম বীন বলেছেন, ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণে হতাশ হয়েছি। তবে প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের পক্ষে ছিলেন বলেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ১৩টি চা বাগানের মালিক। বৈঠক শেষে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নতুন মজুরি নির্ধারণ করে কাজে ফেরার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সারা দিয়ে কাজে ফিরছেন চা শ্রমিকরা। ফলে চা বাগানের চিরচেনা রূপ আবারও ফিরেছে।

ভাড়াউড়া চা-বাগানের শ্রমিক দুলাল হাজরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমারদের মজুরির ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তাই মেনে নিয়েছি। আমরা এখন বাগানের জন্য কাজ করব। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, চা শ্রমিকরা বরাবরই বলে আসছে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন তা মেনে নিব। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। তাই আমরা বাগানে কাজে নেমেছি। ফিনলে চা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোহাম্মদ শিবলী চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।