কেনার তালিকায় অতিরিক্ত সচিবের ৩২ বই, যাচাই বাছাই হচ্ছে

সরকারি কর্মকর্তাদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে বই কিনতে এক অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকা তালিকা যাচাই-বাছাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম। তিনি তালিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সংশোধন কিংবা বাতিল করার কথা জানিয়েছেন। সিনিয়ন সচিব গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।

সরকার জেলা-উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পাঠাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী চার বছরে ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসক অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে পাঠাগার গড়ে তুলবো।’

এজন্য ১৪শ’ বইয়ের একটি তালিকা করা হয়েছিল উল্লেখ করে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এটি এমন নয় যে, এই ১৪শ’ বই থেকেই বই কিনতে হবে। সেটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে কিনতে বলা হয়েছে।’

গত শনিবার একটি সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে কেএম আলী আজম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো, যদি এর সত্যতা প্রমাণ হয়, কোন সমস্যা যদি দেখি তাহলে তালিকা বাতিল বা সংশোধনের ব্যবস্থা নেবো। এসময় অন্যান্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত আমরা তা করবো।’

তালিকায় একজনেরই যে ২৯টি বই- এ তথ্য তার জানা ছিল না-দাবি করে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘গণমাধ্যমে আসার পর এটা জানতে পেরেছি। আমরা এটি পরীক্ষা করছি। সে অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এটি নিয়ে আগামীকাল সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।’

তালিকাভুক্ত বইগুলোর গুণগত মান যাচাই করা হবে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘যে বইয়ের তালিকা করা হয়েছে, তা গুণগতমানসম্পন্ন কি-না, অথবা একজনের ২৯টি বই মানসম্মত নাও হতে পারে। সব বিষয়াদি পর্যালোচনা করে দেখবো।’

বইয়ের মান যাচাইয়ের পর যে সিদ্ধান্ত আসবে সবাইকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেয়া হবে উল্লেখ করে আলী আজম বলেন, ‘বই কেনার টাকা চার বছরের ভিত্তিতে, প্রতিবছর ছোট ছোট করে বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতিবছর বরাদ্দে ভিন্নতা থাকে। গত বছরের অর্থছাড় হয়েছে। যেহেতু চার বছরের প্রকল্প, প্রতিবছরই অর্থ বরাদ্দ হবে।’

মাঠ পর্যায়ে বই কেনা শুরু হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে বই কেনা শুরু হয়েছে কি না।’ তিনি জানান, বই কিনতে উপজেলা পর্যায়ের জন্য দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে দুই লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২ , ১৪ ভাদ্র ১৪২৯ ১ সফর ১৪৪৪

কেনার তালিকায় অতিরিক্ত সচিবের ৩২ বই, যাচাই বাছাই হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকারি কর্মকর্তাদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে বই কিনতে এক অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকা তালিকা যাচাই-বাছাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম। তিনি তালিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সংশোধন কিংবা বাতিল করার কথা জানিয়েছেন। সিনিয়ন সচিব গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।

সরকার জেলা-উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পাঠাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী চার বছরে ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসক অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে পাঠাগার গড়ে তুলবো।’

এজন্য ১৪শ’ বইয়ের একটি তালিকা করা হয়েছিল উল্লেখ করে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এটি এমন নয় যে, এই ১৪শ’ বই থেকেই বই কিনতে হবে। সেটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে কিনতে বলা হয়েছে।’

গত শনিবার একটি সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে কেএম আলী আজম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো, যদি এর সত্যতা প্রমাণ হয়, কোন সমস্যা যদি দেখি তাহলে তালিকা বাতিল বা সংশোধনের ব্যবস্থা নেবো। এসময় অন্যান্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত আমরা তা করবো।’

তালিকায় একজনেরই যে ২৯টি বই- এ তথ্য তার জানা ছিল না-দাবি করে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘গণমাধ্যমে আসার পর এটা জানতে পেরেছি। আমরা এটি পরীক্ষা করছি। সে অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এটি নিয়ে আগামীকাল সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।’

তালিকাভুক্ত বইগুলোর গুণগত মান যাচাই করা হবে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘যে বইয়ের তালিকা করা হয়েছে, তা গুণগতমানসম্পন্ন কি-না, অথবা একজনের ২৯টি বই মানসম্মত নাও হতে পারে। সব বিষয়াদি পর্যালোচনা করে দেখবো।’

বইয়ের মান যাচাইয়ের পর যে সিদ্ধান্ত আসবে সবাইকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেয়া হবে উল্লেখ করে আলী আজম বলেন, ‘বই কেনার টাকা চার বছরের ভিত্তিতে, প্রতিবছর ছোট ছোট করে বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতিবছর বরাদ্দে ভিন্নতা থাকে। গত বছরের অর্থছাড় হয়েছে। যেহেতু চার বছরের প্রকল্প, প্রতিবছরই অর্থ বরাদ্দ হবে।’

মাঠ পর্যায়ে বই কেনা শুরু হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে বই কেনা শুরু হয়েছে কি না।’ তিনি জানান, বই কিনতে উপজেলা পর্যায়ের জন্য দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে দুই লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।