করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৪ হাজার ছাড়ালো

দেশে করোনা শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি। এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দেশ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৫১৬ জনে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত চব্বিশ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২০২ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৭৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৯৮ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৩ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৮৮টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪১২টি। মোট ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৭২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৮ শতাংশ। এতে বলা হয়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। পুরুষ ৩ হাজার ৫৩৪ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ৯৮২ জন।

মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ ঊর্ধ্ব ২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন রয়েছেন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে, সিলেট বিভাগ ৪ জন এবং রংপুর বিভাগে ৭ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩১ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ৬ জন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৪৩৪ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ১৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৯৭ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৯৯ জন। আইসোলেশন করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৭৭০ জনকে।

প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এক হাজার ৪৩৬ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ৮৯৭ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৫৫ হাজার ২১০ জন। কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৭৭১ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫১ হাজার ৫৬১ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ আগস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর তা আড়াই হাজার ঘর ছাড়িয়ে যায় ১৭ জুলাই। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। ১২ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছায় সাড়ে তিন হাজারে। তারপর ১৩ দিনের মাথায় ২৫ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই তালিকায় আরও ৫০০ নাম যোগ হতে সেই ১৩ দিনই লাগল। গতকাল মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৫১৬ জনে। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৭১ লাখ ১৬ হাজার ৫৬ জন পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯০ জনে। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৮১ লাখ ৪২ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।

মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৮ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭

করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৪ হাজার ছাড়ালো

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে করোনা শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি। এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দেশ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৫১৬ জনে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত চব্বিশ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২০২ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৭৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৯৮ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৩ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৮৮টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪১২টি। মোট ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৭২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৮ শতাংশ। এতে বলা হয়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। পুরুষ ৩ হাজার ৫৩৪ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ৯৮২ জন।

মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ ঊর্ধ্ব ২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন রয়েছেন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে, সিলেট বিভাগ ৪ জন এবং রংপুর বিভাগে ৭ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩১ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ৬ জন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৪৩৪ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ১৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৯৭ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৯৯ জন। আইসোলেশন করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৭৭০ জনকে।

প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এক হাজার ৪৩৬ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ৮৯৭ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৫৫ হাজার ২১০ জন। কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৭৭১ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫১ হাজার ৫৬১ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ আগস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর তা আড়াই হাজার ঘর ছাড়িয়ে যায় ১৭ জুলাই। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। ১২ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছায় সাড়ে তিন হাজারে। তারপর ১৩ দিনের মাথায় ২৫ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই তালিকায় আরও ৫০০ নাম যোগ হতে সেই ১৩ দিনই লাগল। গতকাল মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৫১৬ জনে। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৭১ লাখ ১৬ হাজার ৫৬ জন পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯০ জনে। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৮১ লাখ ৪২ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।