নিরাপদ খাদ্য

খাদ্য সংকট বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান সংকট। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট কিছু দেশে গৃহযুদ্ধ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশৃংখলার জন্ম দেবে। অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী এক নীরব সুনামি চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্য নিরাপত্তা বলতে সবার জন্য খাদ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তাকেই বুঝায়। অর্থাৎ বিশ্বে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত থাকবে এবং চাওয়া মাত্র খাদ্য পাওয়া যাবে। খাদ্যের প্রাপ্যতা, ক্রয়যোগ্যতা এবং ব্যবহার-এ ত্রিমাত্রিক ধারণার উপর খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে।

দৈনন্দিন মানুষ যে খাদ্য গ্রহণ করে তা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ হতে হবে। তাই খাদ্য ভোগের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের ধারণাটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। নিরাপদ খাদ্য এমন একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা যা দ্বারা খাদ্যের রক্ষণাবেক্ষণ, খাদ্য তৈরি ও খাদ্য মজুত করাকে বুঝায়। এই বাস্তবায়নই মানুষকে খাদ্যর কারণে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে। যে সব খাদ্য স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণ স¤পন্ন, যা গ্রহণে মানুষের দেহ ও মনের বিকাশ ঘটে, শরীরের কোন কুপ্রভাব ফেলে না বরং মানুষকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করে তাকেই বলা যায় নিরাপদ খাদ্য। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে অনিরাপদ বা ভেজাল খাদ্য এক বিপজ্জনক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। শিশুখাদ্য থেকে শুরু করে ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংস, দুধ, মিষ্টি, প্যাকেটজাত খাদ্যসহ প্রায় সব ধরনের খাবারেই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করে মানুষ প্রতিনিয়ত দুরারাগ্যে ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

দেশের মানুষ আজ এ চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থার অবসানের জন্য নিরাপদ খাদ্য পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। সরকার, এনজিও এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সামাজিক সচেনতা বৃদ্ধির জন্য এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া সুমন

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

নিরাপদ খাদ্য

image

খাদ্য সংকট বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান সংকট। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট কিছু দেশে গৃহযুদ্ধ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশৃংখলার জন্ম দেবে। অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী এক নীরব সুনামি চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্য নিরাপত্তা বলতে সবার জন্য খাদ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তাকেই বুঝায়। অর্থাৎ বিশ্বে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত থাকবে এবং চাওয়া মাত্র খাদ্য পাওয়া যাবে। খাদ্যের প্রাপ্যতা, ক্রয়যোগ্যতা এবং ব্যবহার-এ ত্রিমাত্রিক ধারণার উপর খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে।

দৈনন্দিন মানুষ যে খাদ্য গ্রহণ করে তা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ হতে হবে। তাই খাদ্য ভোগের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের ধারণাটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। নিরাপদ খাদ্য এমন একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা যা দ্বারা খাদ্যের রক্ষণাবেক্ষণ, খাদ্য তৈরি ও খাদ্য মজুত করাকে বুঝায়। এই বাস্তবায়নই মানুষকে খাদ্যর কারণে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে। যে সব খাদ্য স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণ স¤পন্ন, যা গ্রহণে মানুষের দেহ ও মনের বিকাশ ঘটে, শরীরের কোন কুপ্রভাব ফেলে না বরং মানুষকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করে তাকেই বলা যায় নিরাপদ খাদ্য। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে অনিরাপদ বা ভেজাল খাদ্য এক বিপজ্জনক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। শিশুখাদ্য থেকে শুরু করে ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংস, দুধ, মিষ্টি, প্যাকেটজাত খাদ্যসহ প্রায় সব ধরনের খাবারেই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করে মানুষ প্রতিনিয়ত দুরারাগ্যে ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

দেশের মানুষ আজ এ চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থার অবসানের জন্য নিরাপদ খাদ্য পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। সরকার, এনজিও এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সামাজিক সচেনতা বৃদ্ধির জন্য এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া সুমন