ছাঁটাই বন্ধ ও মজুরি বৃদ্ধির দাবি

বদরগঞ্জ পৌর কার্যালয়ে মল ঢেলে পরিচ্ছন্নকর্মীদের বিক্ষোভ

রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে কর্মরত সুইপারদের চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। গত রোববার বিকেলে ওই কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ সুইপাররা পৌর কার্যালয়ে মল ঢেলে দেন। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না পৌর মেয়র উত্তম কুমার সাহা। খবর পেয়ে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও বিক্ষুব্ধ সুইপারদের নিবৃত্ত করতে পারেনি।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া মুকুল বাশফোঁড়, দুলাল বাশফোঁড়, কাঞ্চন বাশফোঁড়, চন্দন বাশফোঁড়সহ অন্যরা বলেন- মোট ৫২ জন সুইপার পৌর কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। যাদের বেতন ৩ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। এই সামান্য টাকা দিয়ে সুইপারদের সংসারই চলে না। অথচ পৌর মেয়র হঠাৎ করেই ঘোষণা দিয়েছেন প্রত্যেকের বেতন থেকে দুই হাজার টাকা করে কমানো হবে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। হরিজন সম্প্রদায়ের সেক্রেটারি প্রভু বাশফোঁড় বলেন, এখন পর্যন্ত সুইপারদের জন্য বৈশাখী ভাতার প্রচলন নেই। এছাড়া দুই পূজোতে শুধুমাত্র ১ হাজার টাকা করে মোট ২ হাজার টাকা দেয়া হয়। সুইপারদের জন্য আলাদা কলোনি করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। উল্টো পৌরসভা থেকে সুইপারদের ছাঁটাই করতে পৌর মেয়র উঠে পড়ে লেগেছেন। হরিজন সম্প্রদায়ের সভাপতি সাকা বাশফোঁড় বলেন, পৌরসভায় কর্মরত সুইপারদের চাকরি ছাঁটাই থেকে বিরত থাকতে হবে এবং প্রত্যেক সুইপারকে প্রতিদিন ৩শ’ টাকা করে মজুরি দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত পৌর কর্তৃপক্ষ এ দাবি না মানবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে জানতে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে পৌর মেয়র উত্তম কুমার সাহা বলেন, ময়লা বহনকারী একটি গাড়িতে চারজন সুইপার হলেই হয়। অথচ বর্তমানে ছয়জন সুইপার কাজ করছে। এজন্য দু’জনকে অন্যত্র কাজ করতে বলায় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

image

বদরগঞ্জ (রংপুর) : দাবি আদায়ে পৌরসভার সামনে অবস্থান ধর্মঘটে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা -সংবাদ

আরও খবর
সংস্কারের অভাবে জলকপাটের দুই পাড়ে ফাটল : মেরামতে তোড়জোড়
সিদ্ধিরগঞ্জে এক জমি ১০ জনকে বিক্রি গ্রেফতার ১
চট্টগ্রামে অজ্ঞান পার্টি বেপরোয়া
নারীর মৃত্যু
গাজীপুরে দেড় শতাধিক মাদক কারবারির আত্মসমর্পণ
মহেশপুরে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা
ফরিদপুরে শিশু পার্কে ৮৮ বখাটে আটক
২ জনের দন্ড
মহাসড়কে ১৪ বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে প্রশস্তের কাজ
সিরাজগঞ্জে তাঁত শ্রমিককে ডেকে নিয়ে হত্যা
শালিখায় বিএডিসির জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্ক নিয়ে কার্যক্রম
রংপুরে পাসপোর্ট করতে এসে তিন রোহিঙ্গা আটক
প্রতারক ছেলের বিচার চান মা
সেতুর রড বাঁধতে গুণার পরিবর্তে পাটের দড়ি!
উলিপুরে সাংবাদিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর
ফুলপুরে ভুয়া ডিবি আটক
সিলেটে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ
দিন দিন বাড়ছে বিষমুক্ত সবজি আবাদ : লাভবান চাষি
বড়াইগ্রামে ছাত্র হত্যার বিচারে মানববন্ধন
চরফ্যাশনে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ১৪ জেলে
সৈয়দপুরে বিদ্যুতে মা-ছেলের মৃত্যু
ই-কমার্স সামিটে বক্তাদের মতামত : ই-কমার্সে আরও তরুণ উদ্যোক্তা প্রয়োজন

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০

ছাঁটাই বন্ধ ও মজুরি বৃদ্ধির দাবি

বদরগঞ্জ পৌর কার্যালয়ে মল ঢেলে পরিচ্ছন্নকর্মীদের বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

image

বদরগঞ্জ (রংপুর) : দাবি আদায়ে পৌরসভার সামনে অবস্থান ধর্মঘটে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা -সংবাদ

রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে কর্মরত সুইপারদের চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। গত রোববার বিকেলে ওই কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ সুইপাররা পৌর কার্যালয়ে মল ঢেলে দেন। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না পৌর মেয়র উত্তম কুমার সাহা। খবর পেয়ে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও বিক্ষুব্ধ সুইপারদের নিবৃত্ত করতে পারেনি।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া মুকুল বাশফোঁড়, দুলাল বাশফোঁড়, কাঞ্চন বাশফোঁড়, চন্দন বাশফোঁড়সহ অন্যরা বলেন- মোট ৫২ জন সুইপার পৌর কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। যাদের বেতন ৩ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। এই সামান্য টাকা দিয়ে সুইপারদের সংসারই চলে না। অথচ পৌর মেয়র হঠাৎ করেই ঘোষণা দিয়েছেন প্রত্যেকের বেতন থেকে দুই হাজার টাকা করে কমানো হবে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। হরিজন সম্প্রদায়ের সেক্রেটারি প্রভু বাশফোঁড় বলেন, এখন পর্যন্ত সুইপারদের জন্য বৈশাখী ভাতার প্রচলন নেই। এছাড়া দুই পূজোতে শুধুমাত্র ১ হাজার টাকা করে মোট ২ হাজার টাকা দেয়া হয়। সুইপারদের জন্য আলাদা কলোনি করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। উল্টো পৌরসভা থেকে সুইপারদের ছাঁটাই করতে পৌর মেয়র উঠে পড়ে লেগেছেন। হরিজন সম্প্রদায়ের সভাপতি সাকা বাশফোঁড় বলেন, পৌরসভায় কর্মরত সুইপারদের চাকরি ছাঁটাই থেকে বিরত থাকতে হবে এবং প্রত্যেক সুইপারকে প্রতিদিন ৩শ’ টাকা করে মজুরি দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত পৌর কর্তৃপক্ষ এ দাবি না মানবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে জানতে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে পৌর মেয়র উত্তম কুমার সাহা বলেন, ময়লা বহনকারী একটি গাড়িতে চারজন সুইপার হলেই হয়। অথচ বর্তমানে ছয়জন সুইপার কাজ করছে। এজন্য দু’জনকে অন্যত্র কাজ করতে বলায় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।