গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় এনএটিপির আওতায় ক্লাস্টার আকারে সেক্স ফেরোমিনের মাধ্যমে বিষ মুক্ত সবজি চাষ শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে বিষ মুক্ত সবজি চাষাবাদ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বলে জানা যায়। এ পদ্ধতিতে বিষ মুক্ত সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় দিন দিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এ বছর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে এ পদ্ধতিতে বিষমুক্ত চালকুমড়া ও ধুন্দল জাতীয় সবজি উৎপাদন করা হয়েছে। ফলে ধান চাষের বদলে কৃষকদের মধ্যে অনেকেই এখন এ পদ্ধতিতে সবজি চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এনএটিপির আওতায় ক্লাস্টার আকারে সেক্স ফেরোমিনের মাধ্যমে উপজেলার সিনাবহ, বাঁশতলী ঠেঙ্গারবান্দ, সাকাশ্বর ও মধ্যপাড়া এলাকাসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় এ পদ্ধতিতে বিষ মুক্ত সবজি চাষ করছেন কৃষকরা। এছাড়া এ পর্যন্ত এনএটিপির আওতায় ৫টি ক্লাস্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে সার সরবাহসহ সকল সরঞ্জামাদি ২৯ জন কৃষককে দেয়া হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া, আগ্রহী কৃষকদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষকদের ট্রেনিং করানো হয়েছে। পরে কৃষকদের জমির মাটি পরীক্ষা করে সেক্স ফেরোমিন সেট করছে উপজেলা কৃষি অফিস। এ পদ্ধতি সেট করার কারণে কৃষকদের আর জমিতে কোন কীটনাশক দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি অধিক স্বাদের হওয়ায় ক্রেতাদের প্রচুর চাহিদা বেড়েছে। ফলে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মোহাম্মদ আলী জানান, আমি বিশ শতাংশ ধুন্দল ও ত্রিশ শতাংশ চালকুমড়া চাষাবাদ করেছি। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছি। তবে সবজিতে কোন প্রকার বিষ প্রযোগ করা হয় না, তাই খেতেও খুব সু-স্বাদু। বাজারে বিক্রি করতে গেলে ক্রেতাদের চাহিদাও অনেক বেশি।
কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশীষ কুমার কর জানান, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলা হবে। এ প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহী করলে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হবে, অন্যদিকে তেমনি বিষ মুক্ত সবজি খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে আসবে। এ লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আগ্রহী কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০
আলমগীর হোসেন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় এনএটিপির আওতায় ক্লাস্টার আকারে সেক্স ফেরোমিনের মাধ্যমে বিষ মুক্ত সবজি চাষ শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে বিষ মুক্ত সবজি চাষাবাদ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বলে জানা যায়। এ পদ্ধতিতে বিষ মুক্ত সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় দিন দিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এ বছর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে এ পদ্ধতিতে বিষমুক্ত চালকুমড়া ও ধুন্দল জাতীয় সবজি উৎপাদন করা হয়েছে। ফলে ধান চাষের বদলে কৃষকদের মধ্যে অনেকেই এখন এ পদ্ধতিতে সবজি চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এনএটিপির আওতায় ক্লাস্টার আকারে সেক্স ফেরোমিনের মাধ্যমে উপজেলার সিনাবহ, বাঁশতলী ঠেঙ্গারবান্দ, সাকাশ্বর ও মধ্যপাড়া এলাকাসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় এ পদ্ধতিতে বিষ মুক্ত সবজি চাষ করছেন কৃষকরা। এছাড়া এ পর্যন্ত এনএটিপির আওতায় ৫টি ক্লাস্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে সার সরবাহসহ সকল সরঞ্জামাদি ২৯ জন কৃষককে দেয়া হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া, আগ্রহী কৃষকদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষকদের ট্রেনিং করানো হয়েছে। পরে কৃষকদের জমির মাটি পরীক্ষা করে সেক্স ফেরোমিন সেট করছে উপজেলা কৃষি অফিস। এ পদ্ধতি সেট করার কারণে কৃষকদের আর জমিতে কোন কীটনাশক দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি অধিক স্বাদের হওয়ায় ক্রেতাদের প্রচুর চাহিদা বেড়েছে। ফলে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মোহাম্মদ আলী জানান, আমি বিশ শতাংশ ধুন্দল ও ত্রিশ শতাংশ চালকুমড়া চাষাবাদ করেছি। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছি। তবে সবজিতে কোন প্রকার বিষ প্রযোগ করা হয় না, তাই খেতেও খুব সু-স্বাদু। বাজারে বিক্রি করতে গেলে ক্রেতাদের চাহিদাও অনেক বেশি।
কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশীষ কুমার কর জানান, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলা হবে। এ প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহী করলে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হবে, অন্যদিকে তেমনি বিষ মুক্ত সবজি খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে আসবে। এ লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আগ্রহী কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।