ইসির সঙ্গে আ’লীগ-বিএনপির বৈঠক

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে

দু’দলের অভিযোগ কমন, নিয়ন্ত্রণেই থাকবে : সিইসি

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। সিইসি আরও বলেন, দুই দলের অভিযোগ কমন, এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে। বিএনপি বলেছে তাদের প্রার্থীদের পুলিশ হয়রানি করছে। তবে সেরকম হয়রানির মতো কোন আলামত আমরা দেখিনি।

গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিইসি ছাড়াও ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি নুরুল হুদা বলেন, গোপীবাগের ঘটনার কথা বলেছে (বিএনপি) তাদের মামলা নেয়নি। পরে আমি ওসির সঙ্গে কথা বললাম সেখানে বসেই। ওসি বললেন তারা আমাদের কাছে আসেনি, মামলা দেয়নি। আওয়ামী লীগ মামলা করেছে সেটাও তারা বলেছে। ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে মামলা তো যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিই করতে পারে। সেটা আইনগত বিষয়। সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগ গতকালের ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে। তাদের বক্তব্য এই সুযোগে বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী দল ঢাকায় ঢুকে পড়বে। এবং নির্বাচনের সময় নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে, আমরা যেন ব্যবস্থা নেই। আমরা বলেছি নির্দিষ্ট যদি কোন অভিযোগ থাকে সেটা বলতে হবে। আর যদি কোন ক্রিমিনাল অফেন্স থাকে সে অনুসারে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আইনগত সহযোগিতা করার জন্য।

ইসির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক :

গতকাল বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বানচালের আশঙ্কা প্রকাশ করে ক্ষমতাসীন দল। রাজধানীর গোপীবাগে দক্ষিণ সিটির বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে মারামারির ঘটনা উল্লেখ্য করে বৈঠক শেষে এইচটি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, পুরো ঘটনাটি সাজানো, পূর্বপরিকল্পিত এবং এমনভাবে করেছে বিএনপির ক্যাডাররা।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে বিএনপির সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস করেছিল। পরে যারা ছাড়া পেয়েছে। তাদের অনেককেই ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে, দলগতভাবে তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। সুযোগ মতো তারা পরিস্থিতি এমন সৃষ্টি করতে পারে, যাতে নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়। এইচটি ইমাম আরও বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বোধহয় রাখছে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। তাদেরই আনা হচ্ছে। গতকাল যে আক্রমণ করা হয়েছে, যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর তথ্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। যাদের শরীরে গুলির আঘাত আছে, তারা হাসপাতালেও আছেন। সেসব প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। সরকারি দলে যখন আছি, আমরা তো চাইব, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হোক। আমরা কী চাইব, মারামারি করে নির্বাচন নষ্ট হোক।

ইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক :

এরআগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক করে। বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি সব আচরণবিধি মানলেও আওয়ামী লীগ সব বিধিই ভাঙছে। তিনি বলেন, গতকালের বৈঠকে প্রথম যে বিষয়টি উঠে এসেছে সেটা হলো লেভেল প্লেইং ফিল্ড, সেটি হতে হলে সবার সমান সুযোগ থাকার দরকার। সেখানেই সমস্যা হচ্ছে। আমরা বলেছি সরকারি দল আচরণবিধি ভাঙছে। তিনি আরও বলেন, এমপি-মন্ত্রীরা প্রথম থেকেই প্রচারে যাচ্ছে, এটি পরিষ্কার। বিধি অনুযায়ী ফুটপাতের ওপর অফিস করা যাবে না, কিন্তু ঢাকায় একশ-এর বেশি জায়গায় ফুটপাতের ওপর আওয়ামী লীগ অফিস করেছে, সবার সামনেই এটি হচ্ছে, এখানে বিরোধের সুযোগ নেই। আমরা বলেছি এসব অফিস ভেঙে ফেলা উচিত। তারপরও আবার করলে শোকজ করতে হবে, তারপরও আবার করলে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া উচিত, কিন্তু তা হচ্ছে না। উল্টো অনেক ক্ষেত্রে ফুটপাত অতিক্রম করে রাস্তায়ও অফিস চলে আছে।

আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের ওভার সাইজ পোস্টার টাঙানো হচ্ছে, এমন পোস্টার বিএনপির একটিও নেই। আমরা আচরণবিধি মেনে চলছি। এভাবে নির্বাচন পর্যন্ত চললে লেভেল প্লেইং ফিল্ড হতে পারে না। তারা মাইক ব্যবহারের বিধিও মানছে না। না মানার যে প্রবৃত্তি চলছে, তা থেকে তারা বেড়িয়ে আসবে সেটি ভাবার কারণ নেই। এ বিষয়ে ইসি কি বলেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আমাদের বলেছে ২৪ ঘণ্টার মধ্য সব ফুটপাতের অফিস ভাঙা হবে। ওভার সাইজ পোস্টার যেগুলো টাঙানো হয়েছে, সবগুলো তারা নামাবে এবং নিয়ম না মানলে সেসব মাইক অপসারণ করা হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিষয়ে তিনি বলেন, সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন নামের যে সংগঠন, তাদের কানাডিয়ান একজন নারী দেশে এক কথা বললেও বাইরে আরেক কথা বলেন। তিনি দুটি সংগঠনে আছে, যার মালিক আওয়ামী লীগ। পর্যবেক্ষক সংস্থার ২২টার মধ্যে ১৮টির কোন ওয়েবসাইট নেই, তাদের ম্যান পাওয়ার নেই। সব দলীয় লোকজন সেখানে। তারা নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বলবে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। আর যেখানে দেশের পর্যবেক্ষকরাই পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন না সেখানে বিদেশিরা কি করতে পারবেন?

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১

ইসির সঙ্গে আ’লীগ-বিএনপির বৈঠক

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে

দু’দলের অভিযোগ কমন, নিয়ন্ত্রণেই থাকবে : সিইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। সিইসি আরও বলেন, দুই দলের অভিযোগ কমন, এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে। বিএনপি বলেছে তাদের প্রার্থীদের পুলিশ হয়রানি করছে। তবে সেরকম হয়রানির মতো কোন আলামত আমরা দেখিনি।

গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিইসি ছাড়াও ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি নুরুল হুদা বলেন, গোপীবাগের ঘটনার কথা বলেছে (বিএনপি) তাদের মামলা নেয়নি। পরে আমি ওসির সঙ্গে কথা বললাম সেখানে বসেই। ওসি বললেন তারা আমাদের কাছে আসেনি, মামলা দেয়নি। আওয়ামী লীগ মামলা করেছে সেটাও তারা বলেছে। ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে মামলা তো যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিই করতে পারে। সেটা আইনগত বিষয়। সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগ গতকালের ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে। তাদের বক্তব্য এই সুযোগে বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী দল ঢাকায় ঢুকে পড়বে। এবং নির্বাচনের সময় নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে, আমরা যেন ব্যবস্থা নেই। আমরা বলেছি নির্দিষ্ট যদি কোন অভিযোগ থাকে সেটা বলতে হবে। আর যদি কোন ক্রিমিনাল অফেন্স থাকে সে অনুসারে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আইনগত সহযোগিতা করার জন্য।

ইসির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক :

গতকাল বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বানচালের আশঙ্কা প্রকাশ করে ক্ষমতাসীন দল। রাজধানীর গোপীবাগে দক্ষিণ সিটির বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে মারামারির ঘটনা উল্লেখ্য করে বৈঠক শেষে এইচটি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, পুরো ঘটনাটি সাজানো, পূর্বপরিকল্পিত এবং এমনভাবে করেছে বিএনপির ক্যাডাররা।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে বিএনপির সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস করেছিল। পরে যারা ছাড়া পেয়েছে। তাদের অনেককেই ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে, দলগতভাবে তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। সুযোগ মতো তারা পরিস্থিতি এমন সৃষ্টি করতে পারে, যাতে নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়। এইচটি ইমাম আরও বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বোধহয় রাখছে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। তাদেরই আনা হচ্ছে। গতকাল যে আক্রমণ করা হয়েছে, যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর তথ্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। যাদের শরীরে গুলির আঘাত আছে, তারা হাসপাতালেও আছেন। সেসব প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। সরকারি দলে যখন আছি, আমরা তো চাইব, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হোক। আমরা কী চাইব, মারামারি করে নির্বাচন নষ্ট হোক।

ইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক :

এরআগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক করে। বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি সব আচরণবিধি মানলেও আওয়ামী লীগ সব বিধিই ভাঙছে। তিনি বলেন, গতকালের বৈঠকে প্রথম যে বিষয়টি উঠে এসেছে সেটা হলো লেভেল প্লেইং ফিল্ড, সেটি হতে হলে সবার সমান সুযোগ থাকার দরকার। সেখানেই সমস্যা হচ্ছে। আমরা বলেছি সরকারি দল আচরণবিধি ভাঙছে। তিনি আরও বলেন, এমপি-মন্ত্রীরা প্রথম থেকেই প্রচারে যাচ্ছে, এটি পরিষ্কার। বিধি অনুযায়ী ফুটপাতের ওপর অফিস করা যাবে না, কিন্তু ঢাকায় একশ-এর বেশি জায়গায় ফুটপাতের ওপর আওয়ামী লীগ অফিস করেছে, সবার সামনেই এটি হচ্ছে, এখানে বিরোধের সুযোগ নেই। আমরা বলেছি এসব অফিস ভেঙে ফেলা উচিত। তারপরও আবার করলে শোকজ করতে হবে, তারপরও আবার করলে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া উচিত, কিন্তু তা হচ্ছে না। উল্টো অনেক ক্ষেত্রে ফুটপাত অতিক্রম করে রাস্তায়ও অফিস চলে আছে।

আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের ওভার সাইজ পোস্টার টাঙানো হচ্ছে, এমন পোস্টার বিএনপির একটিও নেই। আমরা আচরণবিধি মেনে চলছি। এভাবে নির্বাচন পর্যন্ত চললে লেভেল প্লেইং ফিল্ড হতে পারে না। তারা মাইক ব্যবহারের বিধিও মানছে না। না মানার যে প্রবৃত্তি চলছে, তা থেকে তারা বেড়িয়ে আসবে সেটি ভাবার কারণ নেই। এ বিষয়ে ইসি কি বলেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আমাদের বলেছে ২৪ ঘণ্টার মধ্য সব ফুটপাতের অফিস ভাঙা হবে। ওভার সাইজ পোস্টার যেগুলো টাঙানো হয়েছে, সবগুলো তারা নামাবে এবং নিয়ম না মানলে সেসব মাইক অপসারণ করা হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিষয়ে তিনি বলেন, সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন নামের যে সংগঠন, তাদের কানাডিয়ান একজন নারী দেশে এক কথা বললেও বাইরে আরেক কথা বলেন। তিনি দুটি সংগঠনে আছে, যার মালিক আওয়ামী লীগ। পর্যবেক্ষক সংস্থার ২২টার মধ্যে ১৮টির কোন ওয়েবসাইট নেই, তাদের ম্যান পাওয়ার নেই। সব দলীয় লোকজন সেখানে। তারা নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বলবে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। আর যেখানে দেশের পর্যবেক্ষকরাই পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন না সেখানে বিদেশিরা কি করতে পারবেন?