শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহীতে ১০ বছরের শিশু স্বপ্না ওরফে বেলিকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে রাজশাহীর শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মনসুর আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- নগরীর শাহমখদুম থানার পাকুড়িয়া উত্তরপাড়ার সাইদুল ওরফে জ্যাক ও রানা। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, নগরীর শামখদুম মাঝিগ্রাম এলাকার সিদ্দিক আলীর মেয়ে ও থালতা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বপ্না খাতুন ওরফে বেলী ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট পাকুড়িয়া গ্রামে তার ফুফুর বাড়ি বেড়াতে যায়। এরপর ওইদিনই সন্ধ্যায় স্বপ্না একাই বাড়ি ফেরার উদেশে বেরিয়ে যায়। কিন্তু বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন।

স্থানীয় লোকজন জানায়, পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত বানু মণ্ডলের ছেলে সাইদুল ওরফে জ্যাক ও একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে রানার পেছনে পেছনে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল স্বপ্না। শিশুর সঙ্গে নোশির হাজির আমবাগানে জ্যাক ও রানাকে দেখতে পায় তারা।

পরে রাত ৯টার দিকে ওই আমবাগানে স্বপ্নার স্যান্ডেল পাওয়া যায়। এরপরই পাশেই চান মিয়ার কবরস্থানে স্বপ্নার মরদেহ দেখতে পান তার বাবা সিদ্দিক। শিশু স্বপ্না কে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ কবরস্থানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন এঘটনায় মাগ মখদুম থানায় মামলা করেন স্বপ্নার বাবা সিদ্দিক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন জানান, গ্রেফতারের পর থেকে জেলহাজতে ছিল জ্যাক। তবে রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিকেই কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর দু’জনকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রইস উদ্দিন জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালকে আপিল করবে।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১

রাজশাহীতে

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহীতে ১০ বছরের শিশু স্বপ্না ওরফে বেলিকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে রাজশাহীর শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মনসুর আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- নগরীর শাহমখদুম থানার পাকুড়িয়া উত্তরপাড়ার সাইদুল ওরফে জ্যাক ও রানা। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, নগরীর শামখদুম মাঝিগ্রাম এলাকার সিদ্দিক আলীর মেয়ে ও থালতা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বপ্না খাতুন ওরফে বেলী ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট পাকুড়িয়া গ্রামে তার ফুফুর বাড়ি বেড়াতে যায়। এরপর ওইদিনই সন্ধ্যায় স্বপ্না একাই বাড়ি ফেরার উদেশে বেরিয়ে যায়। কিন্তু বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন।

স্থানীয় লোকজন জানায়, পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত বানু মণ্ডলের ছেলে সাইদুল ওরফে জ্যাক ও একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে রানার পেছনে পেছনে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল স্বপ্না। শিশুর সঙ্গে নোশির হাজির আমবাগানে জ্যাক ও রানাকে দেখতে পায় তারা।

পরে রাত ৯টার দিকে ওই আমবাগানে স্বপ্নার স্যান্ডেল পাওয়া যায়। এরপরই পাশেই চান মিয়ার কবরস্থানে স্বপ্নার মরদেহ দেখতে পান তার বাবা সিদ্দিক। শিশু স্বপ্না কে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ কবরস্থানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন এঘটনায় মাগ মখদুম থানায় মামলা করেন স্বপ্নার বাবা সিদ্দিক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন জানান, গ্রেফতারের পর থেকে জেলহাজতে ছিল জ্যাক। তবে রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিকেই কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর দু’জনকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রইস উদ্দিন জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালকে আপিল করবে।