ভোটাররা শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ কষছেন

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। ৩০ জানুয়ারি মধ্য রাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা। তাই সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা একটি মুহূর্তও ঘরে বসছেন না। পথসভা-গণসংযোগ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের (পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন) পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় ভোটপ্রার্থনা করছেন। কর্মী-সমর্থকদের মাইকিং ও প্রচারণায় সরগরম অলি-গলি। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো ঢাকা। নির্বাচনী উৎসব পালনে প্রস্তুত নগরবাসী। এদিকে চায়ের কাপ থেকে শুরু করে যেকোন আড্ডার প্রধান বিষয় এখন ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। ভোটাররাও শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাষ করছেন। মেয়র প্রার্থীদের ইশতেহার নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের প্রতিশ্রুতি নিয়েও ভাবছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি)ও তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়ার কথা জানিয়েছে ইসি।

তাপস : দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ফজলে নূর তাপস সারু?লিয়া থেকে তার প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি ডেমরার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিএনপির প্রার্থীরা পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা অপরাজনীতির চর্চা করছে। নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টায় রয়েছে তারা। নিজেরাই নিজেদের উপর হামলা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি নির্বাচিত হলে আধু?নিক ও সচল ঢাকা গড়?তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। যেসব নতুন ওয়ার্ড ঢাকার স?ঙ্গে যুক্ত হ?য়ে?ছে সেসব ওয়ার্ডে নগরের সব আধুনিক সু?বিধা দেয়া হ?বে।

ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গতকাল খিলগাঁওয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান তিনি। ইশরাক আজ তার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করবেন। এ সময় তিনি বলেন, গত ১৮ দিন ধরে আপনারা আমার নির্বাচনী প্রচারণার কাজ নিরলসভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। সেজন্য আমি সাংবাদিক ভাই-বোনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনারা জানেন ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে উঠেছে। বায়ুদূষণের দিক দিয়ে আমরা সবচেয়ে নিচে। দূষিত নগরীর তালিকায় এক নম্বরে। কিছুদিন আগে নারী ও শিশুদের জন্য অনিরাপদ শহরের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেই তালিকায়ও ঢাকা ছিল এক নম্বরে। আমি ঢাকার সন্তান। এখানে আমার বেড়ে ওঠা। এই সমস্যাগুলোর মধ্য দিয়ে আমি বেড়ে উঠেছি। এ সমস্যাগুলো আমার জানা রয়েছে। আমি আপনাদের বলতে চাই, এই শহর বাসযোগ্য করার জন্য যা যা করণীয় আমি সব করব। জনগণের খেদমত এবং নগরবাসীর উন্নয়নে আমি নিয়োজিত থাকব সবসময়। প্রয়োজনে আমার জীবন উৎসর্গ করব।

আতিকুল : উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম গতকাল উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, আমি যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হই তাহলে আমি কথা দিতে চাই, প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতি মাসে জনগণের সামনে মেয়র এবং কাউন্সিলর উপস্থিত হবে। অর্থাৎ জনগণের মুখোমুখি হয়ে তাদের কথা শুনব, অভিযোগ জানবো, তাদের উত্তর দেবো। যার মাধ্যমে সিটি করপোরেশন, মেয়র এবং কাউন্সিলর জনগণের মুখোমুখি হয়ে জবাবদিহিতার আওতায় আসবে। সবার অংশগ্রহণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেই আন্দোলন হবে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন। মাদকমুক্ত শহর গড়ার লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করব। আমাদের মাদকমুক্ত সমাজ গড়তেই হবে। জনসংযোগের নামে কোনভাবেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তাবিথ : উত্তরে বিএনপির প্রার্থী গতকাল উত্তর খান এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, ভবিষ্যতে উন্নয়ন দেখতে চাইলে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। সরকার আপনাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেবে। আপনারা ভোটকেন্দ্রে না গেলে তারা ভোট চুরি করতে পারবে। সুতরাং আপনাদের অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে, ভোট দিতে হবে। ভোটের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবীবুর রহমান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাবিথ গতকাল তার ইশতেহার প্রকাশ করেছেন।

ইসি : ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। ভোটের আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৬৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মাঠে থাকবে।

গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ১ ফেব্রুয়ারি সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোট দেয়া ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, এবারের নির্বাচনে ৪০ হাজারের মতো ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। উত্তর সিটিতে ২৭ প্লাটুন ও দক্ষিণ সিটিতে ৩৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ১৩০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এবারের দুই সিটি ভোটে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮জন করে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।

নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে পাঁচ দিনের জন্য লাইসেন্সধারীদের আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করা হয়। যারা এ আদেশ লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে দ্য আর্মস অ্যাক্ট-১৮৭৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১

ভোটের আর ৩ দিন : ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাত শেষ হবে প্রচারণা

ভোটাররা শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ কষছেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। ৩০ জানুয়ারি মধ্য রাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা। তাই সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা একটি মুহূর্তও ঘরে বসছেন না। পথসভা-গণসংযোগ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের (পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন) পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় ভোটপ্রার্থনা করছেন। কর্মী-সমর্থকদের মাইকিং ও প্রচারণায় সরগরম অলি-গলি। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো ঢাকা। নির্বাচনী উৎসব পালনে প্রস্তুত নগরবাসী। এদিকে চায়ের কাপ থেকে শুরু করে যেকোন আড্ডার প্রধান বিষয় এখন ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। ভোটাররাও শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাষ করছেন। মেয়র প্রার্থীদের ইশতেহার নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের প্রতিশ্রুতি নিয়েও ভাবছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি)ও তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়ার কথা জানিয়েছে ইসি।

তাপস : দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ফজলে নূর তাপস সারু?লিয়া থেকে তার প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি ডেমরার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিএনপির প্রার্থীরা পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা অপরাজনীতির চর্চা করছে। নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টায় রয়েছে তারা। নিজেরাই নিজেদের উপর হামলা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি নির্বাচিত হলে আধু?নিক ও সচল ঢাকা গড়?তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। যেসব নতুন ওয়ার্ড ঢাকার স?ঙ্গে যুক্ত হ?য়ে?ছে সেসব ওয়ার্ডে নগরের সব আধুনিক সু?বিধা দেয়া হ?বে।

ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গতকাল খিলগাঁওয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান তিনি। ইশরাক আজ তার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করবেন। এ সময় তিনি বলেন, গত ১৮ দিন ধরে আপনারা আমার নির্বাচনী প্রচারণার কাজ নিরলসভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। সেজন্য আমি সাংবাদিক ভাই-বোনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনারা জানেন ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে উঠেছে। বায়ুদূষণের দিক দিয়ে আমরা সবচেয়ে নিচে। দূষিত নগরীর তালিকায় এক নম্বরে। কিছুদিন আগে নারী ও শিশুদের জন্য অনিরাপদ শহরের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেই তালিকায়ও ঢাকা ছিল এক নম্বরে। আমি ঢাকার সন্তান। এখানে আমার বেড়ে ওঠা। এই সমস্যাগুলোর মধ্য দিয়ে আমি বেড়ে উঠেছি। এ সমস্যাগুলো আমার জানা রয়েছে। আমি আপনাদের বলতে চাই, এই শহর বাসযোগ্য করার জন্য যা যা করণীয় আমি সব করব। জনগণের খেদমত এবং নগরবাসীর উন্নয়নে আমি নিয়োজিত থাকব সবসময়। প্রয়োজনে আমার জীবন উৎসর্গ করব।

আতিকুল : উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম গতকাল উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, আমি যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হই তাহলে আমি কথা দিতে চাই, প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতি মাসে জনগণের সামনে মেয়র এবং কাউন্সিলর উপস্থিত হবে। অর্থাৎ জনগণের মুখোমুখি হয়ে তাদের কথা শুনব, অভিযোগ জানবো, তাদের উত্তর দেবো। যার মাধ্যমে সিটি করপোরেশন, মেয়র এবং কাউন্সিলর জনগণের মুখোমুখি হয়ে জবাবদিহিতার আওতায় আসবে। সবার অংশগ্রহণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেই আন্দোলন হবে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন। মাদকমুক্ত শহর গড়ার লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করব। আমাদের মাদকমুক্ত সমাজ গড়তেই হবে। জনসংযোগের নামে কোনভাবেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তাবিথ : উত্তরে বিএনপির প্রার্থী গতকাল উত্তর খান এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, ভবিষ্যতে উন্নয়ন দেখতে চাইলে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। সরকার আপনাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেবে। আপনারা ভোটকেন্দ্রে না গেলে তারা ভোট চুরি করতে পারবে। সুতরাং আপনাদের অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে, ভোট দিতে হবে। ভোটের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবীবুর রহমান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাবিথ গতকাল তার ইশতেহার প্রকাশ করেছেন।

ইসি : ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। ভোটের আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৬৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মাঠে থাকবে।

গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ১ ফেব্রুয়ারি সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোট দেয়া ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, এবারের নির্বাচনে ৪০ হাজারের মতো ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। উত্তর সিটিতে ২৭ প্লাটুন ও দক্ষিণ সিটিতে ৩৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ১৩০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এবারের দুই সিটি ভোটে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮জন করে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।

নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে পাঁচ দিনের জন্য লাইসেন্সধারীদের আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করা হয়। যারা এ আদেশ লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে দ্য আর্মস অ্যাক্ট-১৮৭৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।