তাবিথের প্রার্থীরা বাতিল চেয়ে রিট খারিজ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তাবিথের কোন বাধা নেই। তবে আদালত বলেছেন, নির্বাচনের পরেও তার প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে।

গতকাল বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। তাবিথের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, নির্বাচনের সময় আছে আর মাত্র চার দিন। এ সময়ের মধ্যে হলফনামার তথ্যসংক্রান্ত বিষয়ের সুরাহা করা, সত্যতা যাচাই করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নির্বাচনের পরে যেহেতু বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, তাই ফলাফলের ভিত্তিতে পক্ষসমূহের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনের পরে প্রশ্ন তুলতে পারবেন। বিষয়টি নির্বাচনের পর হলে উভয়পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, রিট আবেদনকারী তাবিথ আউয়ালের সিঙ্গাপুরের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্যাদি দিয়েছেন। নির্বাচনের মাত্র চার দিন বাকি আছে। এ অবস্থায় এই তথ্যের সত্যতা যাচাই সম্ভব নয়। এছাড়া যে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে, তা নিয়ে নির্বাচনের পরেও আগ্রহী প্রার্থীর মামলা করার সুযোগ আছে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে আদালত রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।

নির্বাচনের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে তাবিথের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রোববার রিটটি করেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।২৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ওই বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানিতে তাবিথের শেয়ার আছে, অথচ এ তথ্য তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। এ কারণে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। তবে এর কোন জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১

তাবিথের প্রার্থীরা বাতিল চেয়ে রিট খারিজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তাবিথের কোন বাধা নেই। তবে আদালত বলেছেন, নির্বাচনের পরেও তার প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে।

গতকাল বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। তাবিথের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, নির্বাচনের সময় আছে আর মাত্র চার দিন। এ সময়ের মধ্যে হলফনামার তথ্যসংক্রান্ত বিষয়ের সুরাহা করা, সত্যতা যাচাই করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নির্বাচনের পরে যেহেতু বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, তাই ফলাফলের ভিত্তিতে পক্ষসমূহের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনের পরে প্রশ্ন তুলতে পারবেন। বিষয়টি নির্বাচনের পর হলে উভয়পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, রিট আবেদনকারী তাবিথ আউয়ালের সিঙ্গাপুরের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্যাদি দিয়েছেন। নির্বাচনের মাত্র চার দিন বাকি আছে। এ অবস্থায় এই তথ্যের সত্যতা যাচাই সম্ভব নয়। এছাড়া যে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে, তা নিয়ে নির্বাচনের পরেও আগ্রহী প্রার্থীর মামলা করার সুযোগ আছে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে আদালত রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।

নির্বাচনের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে তাবিথের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রোববার রিটটি করেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।২৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ওই বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানিতে তাবিথের শেয়ার আছে, অথচ এ তথ্য তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। এ কারণে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। তবে এর কোন জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।