রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের বালিশ কেলেঙ্কারীর অন্যতম হোতা ঠিকাদার শাহাদাত হোসেন জামিনে পেয়েছেন। একই দিন রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান।
বৃহস্পতিবার পাবনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ওইদিনই শাহাদাত কাশিমপুর কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে আদালত ও দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। রূপপুরে রাশিয়ানদের আবাসস্থল নির্মাণের অন্যতম শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাজিন কনস্ট্রাকশান লিমিটেডের মালিক শাহাদাত হোসেন রূপপুর প্রকল্পের আসবাবপত্র সরবরাহে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যায়। তার বিরুদ্ধে দুদক, পাবনা কার্যালয় দুটি আলাদা দুর্নীতির মামলা দায়ের করে যাতে বলা হয় রূপপুর প্রকল্পে আসবাবপত্র সরবরাহে আস্বাভাবিক দর দিয়ে তারা প্রায় ১৬ কোটি টাকা তছরূপ করেছে। মামলাটি তদন্ত করছে দুদক পাবনা কার্যালয়।
দুদুক পাবনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শাহাদাতের আইনজীবীরা গত বৃহস্পতিবার পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিনের জন্য আবেদন করে। শুনানি শেষে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে। ওইদিন তড়িঘড়ি করে জামিনের আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠালে বৃহস্পতিবার রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘জামিনের বিষয়টি আমরা পরে শুনেছি, এবং জামিনের কাগজ পাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। জামিনের কাগজ হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে’।
উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্পে একটি বালিশ কিনতে ৫৯৫৭ টাকা এবং তা ফ্লাটে তুলতে আরও ৭৬০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এছাড়া একটি চুলা ক্রয়ে ৭৭৪৭ টাকা এবং তা ফ্লাটে তুলতে ৬৬৫০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। একটি ইস্ত্রি কিনতে ৪১৫৪ টাকা এবং তা তুলতে ২৯৪৫ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এভাবে রূপপুর প্রকল্পে কেনাকাটায় পুকুর চুরির সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে দুদক তদন্ত শুরু করে। এসব ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে দুদক।
এদিকে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, জামিন আদেশ এত দ্রুত কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছুল কিভাবে? পাবনা থেকে কাশিমপুর কারাগারের দূরত্ব প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।
মঙ্গলবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১ মহররম ১৪৪২, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা
রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের বালিশ কেলেঙ্কারীর অন্যতম হোতা ঠিকাদার শাহাদাত হোসেন জামিনে পেয়েছেন। একই দিন রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান।
বৃহস্পতিবার পাবনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ওইদিনই শাহাদাত কাশিমপুর কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে আদালত ও দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। রূপপুরে রাশিয়ানদের আবাসস্থল নির্মাণের অন্যতম শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাজিন কনস্ট্রাকশান লিমিটেডের মালিক শাহাদাত হোসেন রূপপুর প্রকল্পের আসবাবপত্র সরবরাহে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যায়। তার বিরুদ্ধে দুদক, পাবনা কার্যালয় দুটি আলাদা দুর্নীতির মামলা দায়ের করে যাতে বলা হয় রূপপুর প্রকল্পে আসবাবপত্র সরবরাহে আস্বাভাবিক দর দিয়ে তারা প্রায় ১৬ কোটি টাকা তছরূপ করেছে। মামলাটি তদন্ত করছে দুদক পাবনা কার্যালয়।
দুদুক পাবনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শাহাদাতের আইনজীবীরা গত বৃহস্পতিবার পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিনের জন্য আবেদন করে। শুনানি শেষে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে। ওইদিন তড়িঘড়ি করে জামিনের আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠালে বৃহস্পতিবার রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘জামিনের বিষয়টি আমরা পরে শুনেছি, এবং জামিনের কাগজ পাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। জামিনের কাগজ হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে’।
উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্পে একটি বালিশ কিনতে ৫৯৫৭ টাকা এবং তা ফ্লাটে তুলতে আরও ৭৬০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এছাড়া একটি চুলা ক্রয়ে ৭৭৪৭ টাকা এবং তা ফ্লাটে তুলতে ৬৬৫০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। একটি ইস্ত্রি কিনতে ৪১৫৪ টাকা এবং তা তুলতে ২৯৪৫ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এভাবে রূপপুর প্রকল্পে কেনাকাটায় পুকুর চুরির সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে দুদক তদন্ত শুরু করে। এসব ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে দুদক।
এদিকে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, জামিন আদেশ এত দ্রুত কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছুল কিভাবে? পাবনা থেকে কাশিমপুর কারাগারের দূরত্ব প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।