মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছালো

মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত। গতকাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন তার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। গত ১৯ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে গত ১৮ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, তার বাবা, মা ও স্ত্রীসহ ৮ জনকে আসামি করে ট্রাইবুনালে আরেকটি মামলা করেন। আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে নিয়ে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুনিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর কলেজ হোস্টেল থেকে তাকে ২০১৯ সালের জুনে ৬৫ হাজার টাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। তিনি মুনিয়াকে সাত থেকে আট মাস ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি অপর আসামিরা জেনে গেলে আনভীরের বাবা, মা পিয়াসার মাধ্যমে মুনিয়াকে তাদের বাসায় ডেকে এনে ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। অন্যথায় তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

নুসরাত জাহান অভিযোগে বলেন, মুনিয়া ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে আসামিদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঢাকা ছেড়ে যশোর পালিয়ে যেতে চায়। এ জন্য সে ২৬ এপ্রিল সকালে দুই দফা বাড়িওয়ালা এবং তার স্ত্রীর কাছে গাড়ি চায়। তারা গাড়ি না দিয়ে উল্টো বিষয়টি অপর আসামিদের কাছে ফাঁস করে দেয়। তখনই সব আসামি পরস্পর যোগসাজশে মুনিয়াকে বাসায় আটকে রেখে হত্যার ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করে এবং কিলিং মিশন দিয়ে মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে।

আরও খবর
প্রথা-বৈষম্যের শিকার নারীরা জলবায়ু পরিবর্তনেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
মিথেন নিঃসরণ কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর প্রতিশ্রুতি
অর্থ পাচারকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই
কক্সবাজার, মাকের্ট নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মোনাফকে গুলি
নৌকার প্রার্থী কবিতা জয়ী
আখাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ নিয়ে অর্থ ভাগাভাগি
দেড় বছর পর ক্লাসে ফিরলেন শাবি শিক্ষার্থীরা
ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার আরও ৪
ইপিসি গ্লোবালের এমডি ও চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩
৭৬ শতাংশের বেশি ভোটে ৪ কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়
নাটোরে আখের লাল পচা রোগ বিপাকে ৩ হাজার কৃষক
নওগাঁয় রাতের অন্ধকারে পাঁচটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ , ১৮ কার্তিক ১৪২৮ ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছালো

আদালত বার্তা পরিবেশক

মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত। গতকাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন তার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। গত ১৯ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে গত ১৮ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, তার বাবা, মা ও স্ত্রীসহ ৮ জনকে আসামি করে ট্রাইবুনালে আরেকটি মামলা করেন। আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে নিয়ে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুনিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর কলেজ হোস্টেল থেকে তাকে ২০১৯ সালের জুনে ৬৫ হাজার টাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। তিনি মুনিয়াকে সাত থেকে আট মাস ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি অপর আসামিরা জেনে গেলে আনভীরের বাবা, মা পিয়াসার মাধ্যমে মুনিয়াকে তাদের বাসায় ডেকে এনে ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। অন্যথায় তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

নুসরাত জাহান অভিযোগে বলেন, মুনিয়া ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে আসামিদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঢাকা ছেড়ে যশোর পালিয়ে যেতে চায়। এ জন্য সে ২৬ এপ্রিল সকালে দুই দফা বাড়িওয়ালা এবং তার স্ত্রীর কাছে গাড়ি চায়। তারা গাড়ি না দিয়ে উল্টো বিষয়টি অপর আসামিদের কাছে ফাঁস করে দেয়। তখনই সব আসামি পরস্পর যোগসাজশে মুনিয়াকে বাসায় আটকে রেখে হত্যার ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করে এবং কিলিং মিশন দিয়ে মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে।