১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই টিকার প্রথম ডোজ নিতে হবে

১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুল ও কলেজে উপস্থিত হতে হলে ‘অবশ্যই’ অন্তত করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিতে হবে। তবে ডাবল ডোজের টিকা নেয়ার সনদ ছাড়া হোটেল-রেস্টুরেন্টের মতো শপিংমলে প্রবেশ করা যাবে না। ট্রেন, প্লেন, লঞ্চেও চলাচল করতেও টিকার সনদ দেখাতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ভ্যাকসিন গ্রহণ ছাড়া কেউ স্কুলে আসতে পারবে না।’

গত ৩ জানুয়ারি এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘এই ইস্যুটি’ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আজ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সচিবালয় থেকে এতে যোগ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণা চালাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলেও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে।’

মন্ত্রিসভায় কীভাবে কোভিডের নতুন ধরন ওমিক্রম মোকাবিলা করতে হবে, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রেস্তোরাঁয় খেতে, ট্রেন ও বিমানে ভ্রমণ করতে এবং বিপণিবিতান ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পরিদর্শনের পাশাপাশি অন্যান্য জনসমাগম স্থানগুলোতে কোভিড-১৯ এর সনদ দেখাতে হবে। জাতীয় কারিগরি কমিটির মতামত অনুযায়ী, একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের পর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। রেস্টুরেন্টে সনদ যাচাই কীভাবে মনিটর করা হবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘মোবাইলে সফট কপি থাকবে কিংবা হার্ডকপি থাকবে। কোন দেশে পুরো জনসংখ্যা কোনভাবেই চেক করা সম্ভব নয়, স্যাম্পল হিসেবে করা হয়। ভিজিল্যান্স টিম থাকে প্রত্যেক শহরে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক আছেন তারা চেক করবেন। আমাদের ল-এনফোর্সিং এজেন্সি চেক করবে।’

কবে থেকে এটা কার্যকর করা হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘টেকনিক্যাল লোকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা টাইম দিয়ে এটা করা হবে। ওমিক্রম ঠেকাতে গেলে স্ট্রিক্ট ভিউতে আপনাকে যেতে হবে। গতকাল দেখলাম আমেরিকায় এক মিলিয়ন আক্রান্ত হয়েছে। ভারতেও খুবই সিভিয়ার অবস্থা হয়েছে।’

শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২ , ২৩ পৌষ ১৪২৮ ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই টিকার প্রথম ডোজ নিতে হবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুল ও কলেজে উপস্থিত হতে হলে ‘অবশ্যই’ অন্তত করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিতে হবে। তবে ডাবল ডোজের টিকা নেয়ার সনদ ছাড়া হোটেল-রেস্টুরেন্টের মতো শপিংমলে প্রবেশ করা যাবে না। ট্রেন, প্লেন, লঞ্চেও চলাচল করতেও টিকার সনদ দেখাতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ভ্যাকসিন গ্রহণ ছাড়া কেউ স্কুলে আসতে পারবে না।’

গত ৩ জানুয়ারি এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘এই ইস্যুটি’ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আজ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সচিবালয় থেকে এতে যোগ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণা চালাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলেও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে।’

মন্ত্রিসভায় কীভাবে কোভিডের নতুন ধরন ওমিক্রম মোকাবিলা করতে হবে, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রেস্তোরাঁয় খেতে, ট্রেন ও বিমানে ভ্রমণ করতে এবং বিপণিবিতান ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পরিদর্শনের পাশাপাশি অন্যান্য জনসমাগম স্থানগুলোতে কোভিড-১৯ এর সনদ দেখাতে হবে। জাতীয় কারিগরি কমিটির মতামত অনুযায়ী, একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের পর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। রেস্টুরেন্টে সনদ যাচাই কীভাবে মনিটর করা হবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘মোবাইলে সফট কপি থাকবে কিংবা হার্ডকপি থাকবে। কোন দেশে পুরো জনসংখ্যা কোনভাবেই চেক করা সম্ভব নয়, স্যাম্পল হিসেবে করা হয়। ভিজিল্যান্স টিম থাকে প্রত্যেক শহরে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক আছেন তারা চেক করবেন। আমাদের ল-এনফোর্সিং এজেন্সি চেক করবে।’

কবে থেকে এটা কার্যকর করা হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘টেকনিক্যাল লোকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা টাইম দিয়ে এটা করা হবে। ওমিক্রম ঠেকাতে গেলে স্ট্রিক্ট ভিউতে আপনাকে যেতে হবে। গতকাল দেখলাম আমেরিকায় এক মিলিয়ন আক্রান্ত হয়েছে। ভারতেও খুবই সিভিয়ার অবস্থা হয়েছে।’