নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের অপকৌশল : ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যে অযোগ্য, ব্যর্থ, একটা নির্বাচন পরিচালনার যোগ্যতা রাখে না, তা প্রমাণ হলো। এমন একটা দিনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হলো যেদিন সরস্বতী পূজা। পূজার জায়গাগুলোতে অনেক কেন্দ্র ছিল। কমিশনের অযোগ্যতার কারণেই এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।

গতকাল দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণ সিটির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইভিএম একটি ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি। এটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার অপকৌশল। জনগণের রায় ইভিএমে আসবে না। ঢাকা সিটি নির্বাচনে একটি দলই প্রাধান্য পাচ্ছে। কমিশন কোন ব্যবস্থা নিতে সক্ষম নয়, তাদের সেই যোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, তারা যে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে সেটি একটি অপকৌশল, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার। এতে জনগণের রায় কখনও ইভিএমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের সমস্ত পরিসরগুলোকে সংকুচিত করে ফেলছে। স্পেসগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের এই দিনে আমরা এখানে শপথ নিয়েছি, যেকোন ত্যাগের বিনিময়ে হলেও আমরা দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী তার ১৯ দফা বাস্তবায়িত করব। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। তিনি অতি স্বল্প সময়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি এদেশের মানুষের মনে একটা স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এখনও সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হয়ে আছে এবং জাতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করছে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে।

আরও খবর
ছাত্রলীগের দুঃসময়ে মান্নান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় শেষ বিশ্ব ইজতেমা
ভাড়া পায় অ্যালামনাই-ব্যাংক খেলাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৪ আসামির জামিন বাতিল
সমৃদ্ধির জন্য শিক্ষিত জনগণ বেশি কার্যকর : কৃষিমন্ত্রী
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুলতান মেলায় আন্তর্জাতিক আর্টক্যাম্প শুরু
শরিয়তপুর ফেনী ও নওগাঁ জেলার পরিবেশনা আজ
এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
প্রথম আলো সম্পাদকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ
আদালতে ৩৬ লাখ মামলা বিচারাধীন
সব জেলায় চক্ষু সেবা কেন্দ্র হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই কার্গোডুবি
সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা শফিকুলের ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ইভিএম পদ্ধতি

নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের অপকৌশল : ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যে অযোগ্য, ব্যর্থ, একটা নির্বাচন পরিচালনার যোগ্যতা রাখে না, তা প্রমাণ হলো। এমন একটা দিনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হলো যেদিন সরস্বতী পূজা। পূজার জায়গাগুলোতে অনেক কেন্দ্র ছিল। কমিশনের অযোগ্যতার কারণেই এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।

গতকাল দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণ সিটির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইভিএম একটি ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি। এটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার অপকৌশল। জনগণের রায় ইভিএমে আসবে না। ঢাকা সিটি নির্বাচনে একটি দলই প্রাধান্য পাচ্ছে। কমিশন কোন ব্যবস্থা নিতে সক্ষম নয়, তাদের সেই যোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, তারা যে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে সেটি একটি অপকৌশল, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার। এতে জনগণের রায় কখনও ইভিএমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের সমস্ত পরিসরগুলোকে সংকুচিত করে ফেলছে। স্পেসগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের এই দিনে আমরা এখানে শপথ নিয়েছি, যেকোন ত্যাগের বিনিময়ে হলেও আমরা দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী তার ১৯ দফা বাস্তবায়িত করব। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। তিনি অতি স্বল্প সময়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি এদেশের মানুষের মনে একটা স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এখনও সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হয়ে আছে এবং জাতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করছে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে।