সমৃদ্ধির জন্য শিক্ষিত জনগণ বেশি কার্যকর : কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন ও মানবিক মূল্যবোধের জন্য, সর্বোপরি মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে প্রধান নিয়ামক। জীবনকে সফল ও স্বার্থক করার জন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে, প্রকৃত মানুষ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের আচরণ এমন হতে হবে যা অন্যকে অনুপ্রাণিত করে আত্মাকে স্পর্শ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশকে জানতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে, আদর্শবান মানুষ হতে হবে। কোন জাতির সমৃদ্ধির জন্য স্বর্ণ, হিরা, তেলের খনির চেয়ে শিক্ষিত জনগণ বেশি কার্যকর।

গতকাল সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কাদিম ধল্যায় ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ম বর্ষপূতি উৎসব উপলক্ষে সুধী সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখিয়েছেন উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। তাই সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরাই ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। মেধা, মননে মানবিক মূল্যবোধে বলিয়ান হয়ে উন্নত বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে ধারণ করে আত্মপ্রত্যয়ী, নিয়মানুবর্তিতা, ঐতিহ্যের চেতনাবোধ, স্বাধীনতা ও চেতনা, সৎ ও সুস্থ সংস্কৃতির উন্মেষ ঘটাতে হবে। নৈতিক মানসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে শিক্ষা থেকে সুফল লাভ হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা, মানবিকতার মতো মহৎ গুণাবলীর সমাবেশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীর মনে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে।

উন্নয়নশীল কিংবা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, যেভাবেই ভাবুন না কেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে যেসব অন্তরায় আছে সেগুলো ক্রমান্বয়ে দূরীভূত হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতা সর্বাগ্রে দূর করে আলোর পথে এখন বাংলাদেশ। আর সেই আলোয় আলোকিত হয়ে বাংলাদেশের সামনে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এর ‘এসডিজি’ এবং ২০৪১ এর স্বপ্নের ‘রূপকল্প’ বাস্তবে কার্যকরী হবে। দেশ চলে যাবে উন্নত দেশের কাতারে।

সাবেক সচিব ও প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক, কলেজের অধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি ঘোষ প্রমুখ।

আরও খবর
ছাত্রলীগের দুঃসময়ে মান্নান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় শেষ বিশ্ব ইজতেমা
নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের অপকৌশল : ফখরুল
ভাড়া পায় অ্যালামনাই-ব্যাংক খেলাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৪ আসামির জামিন বাতিল
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুলতান মেলায় আন্তর্জাতিক আর্টক্যাম্প শুরু
শরিয়তপুর ফেনী ও নওগাঁ জেলার পরিবেশনা আজ
এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
প্রথম আলো সম্পাদকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ
আদালতে ৩৬ লাখ মামলা বিচারাধীন
সব জেলায় চক্ষু সেবা কেন্দ্র হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই কার্গোডুবি
সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা শফিকুলের ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সমৃদ্ধির জন্য শিক্ষিত জনগণ বেশি কার্যকর : কৃষিমন্ত্রী

জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন ও মানবিক মূল্যবোধের জন্য, সর্বোপরি মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে প্রধান নিয়ামক। জীবনকে সফল ও স্বার্থক করার জন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে, প্রকৃত মানুষ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের আচরণ এমন হতে হবে যা অন্যকে অনুপ্রাণিত করে আত্মাকে স্পর্শ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশকে জানতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে, আদর্শবান মানুষ হতে হবে। কোন জাতির সমৃদ্ধির জন্য স্বর্ণ, হিরা, তেলের খনির চেয়ে শিক্ষিত জনগণ বেশি কার্যকর।

গতকাল সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কাদিম ধল্যায় ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ম বর্ষপূতি উৎসব উপলক্ষে সুধী সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখিয়েছেন উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। তাই সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরাই ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। মেধা, মননে মানবিক মূল্যবোধে বলিয়ান হয়ে উন্নত বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে ধারণ করে আত্মপ্রত্যয়ী, নিয়মানুবর্তিতা, ঐতিহ্যের চেতনাবোধ, স্বাধীনতা ও চেতনা, সৎ ও সুস্থ সংস্কৃতির উন্মেষ ঘটাতে হবে। নৈতিক মানসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে শিক্ষা থেকে সুফল লাভ হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা, মানবিকতার মতো মহৎ গুণাবলীর সমাবেশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীর মনে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে।

উন্নয়নশীল কিংবা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, যেভাবেই ভাবুন না কেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে যেসব অন্তরায় আছে সেগুলো ক্রমান্বয়ে দূরীভূত হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতা সর্বাগ্রে দূর করে আলোর পথে এখন বাংলাদেশ। আর সেই আলোয় আলোকিত হয়ে বাংলাদেশের সামনে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এর ‘এসডিজি’ এবং ২০৪১ এর স্বপ্নের ‘রূপকল্প’ বাস্তবে কার্যকরী হবে। দেশ চলে যাবে উন্নত দেশের কাতারে।

সাবেক সচিব ও প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক, কলেজের অধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি ঘোষ প্রমুখ।