‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর আজ ১৮তম দিন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে বিকেল ৪টায় শরিয়তপুর, ফেনী ও নওগাঁ জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হবে আজকের আয়োজন। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘সাইদুলের কিচ্ছা’। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ উৎসবে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।
গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৭তম দিনে পরিবেশিত হয়-বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনা। প্রথমেই নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
পরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শুপ্ত, সাফিন ও শুশমি। একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী প্রিয়াংকা রবি দাস, সুপ্রভা সেবতী’র পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি করে স্বরব্যাঞ্জন এবং একক আবৃত্তি করেন শিল্পী শিমুল মোস্তফা। উজ্জল এর নৃত্য পরিচালনায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঙ্গন এবং সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাঁশি বাদক শিল্পীরা।
ফরিদপুর জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘তুমি বলেছিলে, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ এবং ‘বাবু সেলাম বারে বার’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য, ‘নোঙ্গর তোল তোল, সময় যে হলো হলো’ গানের কথায় সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মো. আলাউদ্দিন, ফারুক হোসেন, হায়াতুল ইসলাম টুটুল, শাহজাহান এবং বোরহান উদ্দিন। একক সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী সাজিদ আকবর এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী খায়রুল ওয়াসি।
নোয়াখালী জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, অধ্যাপক মো. হাশেমের কথা ও সুরে ‘বায়ান্নোতে ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি’ এবং ‘আবারও দিন আয়বো বাঙালি’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী তনিমা, নীহা আফরিন, ঈশিতা, রিয়া, তুসমী, নাজমুল হাসান, আজগর হোসেন, অক্ষর, বাবু ও বেলা হোসেন। বানী সাহা ও সজল মজুমদার এর নৃত্য পরিচালনায় ‘তোমার জন্য স্বপ্ন পূরণ’ এবং চল এগিয়ে চল’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী শতাব্দী, নেহা, নিশান, প্রজ্ঞা, আদ্র্রিতা, আশিক, বন্ধন, আরাফাত, পূর্ণ, আহসান ও অরুপ শর্মা মেঘা। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী মহাদেব, শিমুল দাস, সবুজ দেবনাথ, মোজাম্মেল হক এবং কাকন। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মো. কামাল উদ্দিন এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মো. বেলাল। কৌতুক অভিনয় করেন শিল্পী জামিল।
শেরপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ’, শেরপুরের জারি গান ‘চলো শেরপুর যাই’ গানের কথায় ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আপন, চৈতি, আনিকা, পৃথা, আলেয়া, কোরবান, বিশাল, নাঈম, রাজু ও দিগন্ত। ‘পলাশ ঢাকা কুকিল ডাকা এবং শেরপুরের আঞ্চলিক লোক গান ‘ঝিনাই গাঙয়ের কৈ মাছ’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মৌসি, মৌপি, পৌলসী চাকী, পুষ্পিতা দাস, সুকন্যা ঘোষ, শঙ্খ মিতা দে, জেছি, কেয়া, প্রিয়ন্তী, অরাধ্যা ও কারুয়া। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী রাজন, টিপু, ইসরাফিল ও আজাদুল। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী হাসনাহেনা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী আলেয়া।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |
‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর আজ ১৮তম দিন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে বিকেল ৪টায় শরিয়তপুর, ফেনী ও নওগাঁ জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হবে আজকের আয়োজন। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘সাইদুলের কিচ্ছা’। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ উৎসবে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।
গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৭তম দিনে পরিবেশিত হয়-বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনা। প্রথমেই নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
পরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শুপ্ত, সাফিন ও শুশমি। একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী প্রিয়াংকা রবি দাস, সুপ্রভা সেবতী’র পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি করে স্বরব্যাঞ্জন এবং একক আবৃত্তি করেন শিল্পী শিমুল মোস্তফা। উজ্জল এর নৃত্য পরিচালনায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঙ্গন এবং সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাঁশি বাদক শিল্পীরা।
ফরিদপুর জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘তুমি বলেছিলে, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ এবং ‘বাবু সেলাম বারে বার’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য, ‘নোঙ্গর তোল তোল, সময় যে হলো হলো’ গানের কথায় সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মো. আলাউদ্দিন, ফারুক হোসেন, হায়াতুল ইসলাম টুটুল, শাহজাহান এবং বোরহান উদ্দিন। একক সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী সাজিদ আকবর এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী খায়রুল ওয়াসি।
নোয়াখালী জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, অধ্যাপক মো. হাশেমের কথা ও সুরে ‘বায়ান্নোতে ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি’ এবং ‘আবারও দিন আয়বো বাঙালি’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী তনিমা, নীহা আফরিন, ঈশিতা, রিয়া, তুসমী, নাজমুল হাসান, আজগর হোসেন, অক্ষর, বাবু ও বেলা হোসেন। বানী সাহা ও সজল মজুমদার এর নৃত্য পরিচালনায় ‘তোমার জন্য স্বপ্ন পূরণ’ এবং চল এগিয়ে চল’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী শতাব্দী, নেহা, নিশান, প্রজ্ঞা, আদ্র্রিতা, আশিক, বন্ধন, আরাফাত, পূর্ণ, আহসান ও অরুপ শর্মা মেঘা। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী মহাদেব, শিমুল দাস, সবুজ দেবনাথ, মোজাম্মেল হক এবং কাকন। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মো. কামাল উদ্দিন এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মো. বেলাল। কৌতুক অভিনয় করেন শিল্পী জামিল।
শেরপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ’, শেরপুরের জারি গান ‘চলো শেরপুর যাই’ গানের কথায় ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আপন, চৈতি, আনিকা, পৃথা, আলেয়া, কোরবান, বিশাল, নাঈম, রাজু ও দিগন্ত। ‘পলাশ ঢাকা কুকিল ডাকা এবং শেরপুরের আঞ্চলিক লোক গান ‘ঝিনাই গাঙয়ের কৈ মাছ’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মৌসি, মৌপি, পৌলসী চাকী, পুষ্পিতা দাস, সুকন্যা ঘোষ, শঙ্খ মিতা দে, জেছি, কেয়া, প্রিয়ন্তী, অরাধ্যা ও কারুয়া। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী রাজন, টিপু, ইসরাফিল ও আজাদুল। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী হাসনাহেনা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী আলেয়া।