প্রতি জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

করোনা রোগী শনাক্তে প্রতি জেলায় পিসিআর (পলিমার চেইন রি-অ্যাকশন) ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে স্বাস্থ্য এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন ই-মেইলে রিটটি করেন।

রিটে বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশে ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই মুহূর্তে এই ভাইরাসে আরও বেশি মানুষ সংক্রমিত কিনা তা পরীক্ষা ছাড়া বোঝা সম্ভব না। তাই নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য প্রতিটি জেলা শহরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা জরুরি। বর্তমানে সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা শহরে পিসিআর ল্যাব না থাকায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে অন্য জেলায় পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট আসতে অনেক ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি সংক্রমিত কিনা তা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, ইতোমধ্যে যদি কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকেন তাহলে তার ক্ষেত্রে আইসোলেশন বা তার চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না, যার ফলে এই ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যেহেতু আইসোলেশনে থাকা এই সংক্রামক ব্যধি প্রতিরোধের একমাত্র পদ্ধতি, সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে যদি চিহ্নিত করা না যায় যে তিনি সংক্রমিত কিনা, তাহলে ওই ব্যক্তি সাধারণভাবে চলাফেরা করার কারণে অধিক সংখ্যক মানুষের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সুতরাং এই মুহূর্তে সব থেকে জরুরি তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে চিহ্নিত করা এবং তা দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। তাই রোগী শনাক্ত করার জন্য প্রত্যেকটা জেলা সদরের হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি।

গত ৬ মে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী। নোটিশ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যেক জেলায় করোনা শনাক্তকরণে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে রিট করা হয়েছে।

শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১

প্রতি জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনা রোগী শনাক্তে প্রতি জেলায় পিসিআর (পলিমার চেইন রি-অ্যাকশন) ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে স্বাস্থ্য এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন ই-মেইলে রিটটি করেন।

রিটে বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশে ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই মুহূর্তে এই ভাইরাসে আরও বেশি মানুষ সংক্রমিত কিনা তা পরীক্ষা ছাড়া বোঝা সম্ভব না। তাই নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য প্রতিটি জেলা শহরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা জরুরি। বর্তমানে সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা শহরে পিসিআর ল্যাব না থাকায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে অন্য জেলায় পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট আসতে অনেক ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি সংক্রমিত কিনা তা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, ইতোমধ্যে যদি কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকেন তাহলে তার ক্ষেত্রে আইসোলেশন বা তার চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না, যার ফলে এই ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যেহেতু আইসোলেশনে থাকা এই সংক্রামক ব্যধি প্রতিরোধের একমাত্র পদ্ধতি, সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে যদি চিহ্নিত করা না যায় যে তিনি সংক্রমিত কিনা, তাহলে ওই ব্যক্তি সাধারণভাবে চলাফেরা করার কারণে অধিক সংখ্যক মানুষের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সুতরাং এই মুহূর্তে সব থেকে জরুরি তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে চিহ্নিত করা এবং তা দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। তাই রোগী শনাক্ত করার জন্য প্রত্যেকটা জেলা সদরের হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি।

গত ৬ মে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী। নোটিশ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যেক জেলায় করোনা শনাক্তকরণে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে রিট করা হয়েছে।