বিএসএমএমইউর প্লাজমা থেরাপি গবেষণায় সাফল্য দাবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভালাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি কতটা কার্যকর ও নিরাপদ তা নির্ণয়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চলমান গবেষণার সাফল্যের দাবি করা হয়েছে। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চলমান গবেষণার মুখপাত্রের বক্তব্য উল্লেখ করার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাসমূহ তার সাফল্যের দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডিমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক কনভালাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় সম্প্রতি নেচার (ঘধঃঁৎব)-এর পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ কনভালাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি বিষয়ে চলমান গবেষণার প্রধান গবেষক ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং মুখপাত্র ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর সঙ্গে তাদের এ ব্যাপারে সাক্ষাৎকারের জন্য যোগাযোগ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, কনভালাসেন্ট প্লাজমা থেরাপির চলমান গবেষণাসমূহের মধ্যে বিশ্বের মাত্র দুটি গবেষণা দলের কাছ থেকে নেচার ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করে, যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠানের ১১ সদস্যবিশিষ্ট গবেষক দলের পরিচালনাধীন গবেষণাটি অন্যতম।

নেচার নিউজের পক্ষ থেকে সিনিয়র রিপোর্টার হেইডি লেডফোড অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর ইন্টারভিউ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে নেচার নিউজে গবেষক দলের মুখপাত্র ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর বরাতে চলমান গবেষণার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ বর্ণনা করা হয়। সেখানে ডা. রাব্বি বলেন, বিভিন্ন মানুষের মধ্যে এন্টিবডির মাত্রায় বিশাল পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেটি গবেষণা পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা সুনির্দিষ্ট করে প্রমাণের জন্য নিউট্রালাইজিং এন্টিবডি পরিমাপের প্রয়োজন, যেটির সুযোগ পৃথিবীর অনেক দেশেই নেই। একই সঙ্গে এটি ব্যয়বহুল এবং উন্নত নিরাপত্তা সুযোগ-সুবিধাসম্বলিত ল্যাবরেটরি ছাড়া করা সম্ভব নয়। তাই প্লাজমা থেরাপি শুধুমাত্র গবেষণা অর্থাৎ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সেটিংয়েই ব্যবহার করা উচিত।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

বিএসএমএমইউর প্লাজমা থেরাপি গবেষণায় সাফল্য দাবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভালাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি কতটা কার্যকর ও নিরাপদ তা নির্ণয়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চলমান গবেষণার সাফল্যের দাবি করা হয়েছে। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চলমান গবেষণার মুখপাত্রের বক্তব্য উল্লেখ করার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাসমূহ তার সাফল্যের দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডিমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক কনভালাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় সম্প্রতি নেচার (ঘধঃঁৎব)-এর পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ কনভালাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি বিষয়ে চলমান গবেষণার প্রধান গবেষক ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং মুখপাত্র ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর সঙ্গে তাদের এ ব্যাপারে সাক্ষাৎকারের জন্য যোগাযোগ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, কনভালাসেন্ট প্লাজমা থেরাপির চলমান গবেষণাসমূহের মধ্যে বিশ্বের মাত্র দুটি গবেষণা দলের কাছ থেকে নেচার ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করে, যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠানের ১১ সদস্যবিশিষ্ট গবেষক দলের পরিচালনাধীন গবেষণাটি অন্যতম।

নেচার নিউজের পক্ষ থেকে সিনিয়র রিপোর্টার হেইডি লেডফোড অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর ইন্টারভিউ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে নেচার নিউজে গবেষক দলের মুখপাত্র ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর বরাতে চলমান গবেষণার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ বর্ণনা করা হয়। সেখানে ডা. রাব্বি বলেন, বিভিন্ন মানুষের মধ্যে এন্টিবডির মাত্রায় বিশাল পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেটি গবেষণা পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা সুনির্দিষ্ট করে প্রমাণের জন্য নিউট্রালাইজিং এন্টিবডি পরিমাপের প্রয়োজন, যেটির সুযোগ পৃথিবীর অনেক দেশেই নেই। একই সঙ্গে এটি ব্যয়বহুল এবং উন্নত নিরাপত্তা সুযোগ-সুবিধাসম্বলিত ল্যাবরেটরি ছাড়া করা সম্ভব নয়। তাই প্লাজমা থেরাপি শুধুমাত্র গবেষণা অর্থাৎ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সেটিংয়েই ব্যবহার করা উচিত।