করোনাকালে কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ, ২০২০ সালে। ইতোমধ্যে এক বছর পার হয়েছে তবুও আমরা করোনাভাইরাসের প্রকোপের হাত থেকে বাঁচতে পারিনি। প্রতিদিন বেড়ে চলছে মৃত্যু মিছিল। এমতাবস্থায় আবার করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট যা কিনা আগের করোনাভাইরাসের তুলনায় তিনগুণ বেশি শক্তিশালী। সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট থেকে কলকাতা ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি ভয়ঙ্কর। আমাদের দেশের চারপাশে ভারতের বর্ডার রয়েছে। তাই আমাদের দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

দেশে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। চাইলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাছাড়া অধিকাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। পরিবারের সবার জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিনই ছুটে যেতে হয় কর্মক্ষেত্রে। এমতাবস্থায় কর্মক্ষেত্রে যদি নিরাপদ না হয় তবে তা ব্যক্তির স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় হুমকি স্বরূপ। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে, আমাদের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। যেমন : সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিধান করা, অফিসের সব সদস্যদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা, অফিসে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, প্রতিদিন সব কর্মচারীর দৈহিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা, প্রয়োজনে কর্মক্ষেত্রে যেখানে জনসমাগম বেশি হয়, সেই জায়গাগুলো শনাক্ত করে স্যানিটাইজ বুথ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার যাবতীয় সরঞ্জাম যেমন-মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস ইত্যাদির ব্যবস্থা করা, কোন কর্মচারীর মধ্যে যদি করোনা উপসর্গ দেখা যায়, তবে তাকে কর্মস্থলে আসা থেকে বিরত রাখতে হবে। সে সঙ্গে কর্মচারীর বেতন ভাতার যাতে কোন পরিবর্তন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যে সব অফিসে কাজগুলো অনলাইনে সম্পন্ন করা সম্ভব সেক্ষেত্রে অনলাইনে কাজকে প্রাধান্য দেয়া, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে মালিকপক্ষ কোন একটি হাসপাতালের সঙ্গে সাময়িক চুক্তি করতে পারে, এতে করে যেসব কর্মচারীদের মধ্যে করোনা উপসর্গ থাকবে তারা খুব সহজেই চিকিৎসা নিতে পারবে।

খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন

বুধবার, ১৯ মে ২০২১ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৬ শাওয়াল ১৪৪২

করোনাকালে কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ, ২০২০ সালে। ইতোমধ্যে এক বছর পার হয়েছে তবুও আমরা করোনাভাইরাসের প্রকোপের হাত থেকে বাঁচতে পারিনি। প্রতিদিন বেড়ে চলছে মৃত্যু মিছিল। এমতাবস্থায় আবার করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট যা কিনা আগের করোনাভাইরাসের তুলনায় তিনগুণ বেশি শক্তিশালী। সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট থেকে কলকাতা ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি ভয়ঙ্কর। আমাদের দেশের চারপাশে ভারতের বর্ডার রয়েছে। তাই আমাদের দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

দেশে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। চাইলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাছাড়া অধিকাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। পরিবারের সবার জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিনই ছুটে যেতে হয় কর্মক্ষেত্রে। এমতাবস্থায় কর্মক্ষেত্রে যদি নিরাপদ না হয় তবে তা ব্যক্তির স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় হুমকি স্বরূপ। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে, আমাদের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। যেমন : সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিধান করা, অফিসের সব সদস্যদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা, অফিসে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, প্রতিদিন সব কর্মচারীর দৈহিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা, প্রয়োজনে কর্মক্ষেত্রে যেখানে জনসমাগম বেশি হয়, সেই জায়গাগুলো শনাক্ত করে স্যানিটাইজ বুথ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার যাবতীয় সরঞ্জাম যেমন-মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস ইত্যাদির ব্যবস্থা করা, কোন কর্মচারীর মধ্যে যদি করোনা উপসর্গ দেখা যায়, তবে তাকে কর্মস্থলে আসা থেকে বিরত রাখতে হবে। সে সঙ্গে কর্মচারীর বেতন ভাতার যাতে কোন পরিবর্তন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যে সব অফিসে কাজগুলো অনলাইনে সম্পন্ন করা সম্ভব সেক্ষেত্রে অনলাইনে কাজকে প্রাধান্য দেয়া, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে মালিকপক্ষ কোন একটি হাসপাতালের সঙ্গে সাময়িক চুক্তি করতে পারে, এতে করে যেসব কর্মচারীদের মধ্যে করোনা উপসর্গ থাকবে তারা খুব সহজেই চিকিৎসা নিতে পারবে।

খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন