দুই চাকার ফাঁদে তারুণ্য

মাহে রমজানের বিদায়ের পর ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা ছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষ। আর এ সময় কিছু দুর্ঘটনা হয়ে ওঠছে সারাজীবনের কান্না। তরুণদের মাঝে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো যেন স্মার্টনেসে পরিণত হয়েছে। তারপর যা হওয়ার তাই হয়, দুর্ঘটনা, পরিজন হারানোর আহাজারি শুনতে হয়।

শুধু বড় শহরেই নয়, পুরো দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য দায়ী কি সড়ক, না সচেতনতার অভাব? বেপরোয়া গতি, আইন না মানার প্রবণতা, ঝুঁকিপূর্ণ নৈপুণ্য প্রদর্শনের চর্চা এবং হেলমেট ব্যবহার না করার কারণেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। শহর-গ্রাম সর্বত্রই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গতির ঝড় তুলে উঠতি কিশোর ও তরুণদের মোটরসাইকেল চালনা ক্রমশ বাড়ছে। এছাড়া সড়কের ছোটবড় খানাখন্দ, সংকেতবিহীন গতিরোধক এবং মোটরসাইকেল চলার লেন না থাকায় দেশ জুড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও পঙ্গুত্ববরণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দুর্ঘটনার লাগাম টানতে সংশ্লিষ্ট সবার সতর্কতা ও সচেতনতা অপরিহার্য। তরুণদের বেশি সচেতন হতে হবে। এ সময়ে তরুণরা বন্ধু-বান্ধবদের পেয়ে যেন উন্মাদনায় মেতে না ওঠে। তাদের সচেতন করা প্রত্যেক অভিভাবকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

রবিন আহমেদ রাজিন

বুধবার, ১১ মে ২০২২ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ০৮ শাওয়াল ১৪৪৩

দুই চাকার ফাঁদে তারুণ্য

image

মাহে রমজানের বিদায়ের পর ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা ছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষ। আর এ সময় কিছু দুর্ঘটনা হয়ে ওঠছে সারাজীবনের কান্না। তরুণদের মাঝে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো যেন স্মার্টনেসে পরিণত হয়েছে। তারপর যা হওয়ার তাই হয়, দুর্ঘটনা, পরিজন হারানোর আহাজারি শুনতে হয়।

শুধু বড় শহরেই নয়, পুরো দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য দায়ী কি সড়ক, না সচেতনতার অভাব? বেপরোয়া গতি, আইন না মানার প্রবণতা, ঝুঁকিপূর্ণ নৈপুণ্য প্রদর্শনের চর্চা এবং হেলমেট ব্যবহার না করার কারণেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। শহর-গ্রাম সর্বত্রই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গতির ঝড় তুলে উঠতি কিশোর ও তরুণদের মোটরসাইকেল চালনা ক্রমশ বাড়ছে। এছাড়া সড়কের ছোটবড় খানাখন্দ, সংকেতবিহীন গতিরোধক এবং মোটরসাইকেল চলার লেন না থাকায় দেশ জুড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও পঙ্গুত্ববরণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দুর্ঘটনার লাগাম টানতে সংশ্লিষ্ট সবার সতর্কতা ও সচেতনতা অপরিহার্য। তরুণদের বেশি সচেতন হতে হবে। এ সময়ে তরুণরা বন্ধু-বান্ধবদের পেয়ে যেন উন্মাদনায় মেতে না ওঠে। তাদের সচেতন করা প্রত্যেক অভিভাবকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

রবিন আহমেদ রাজিন