খেলার মাঠ প্রয়োজন

শৈশবের জলকাদা, আড়মোড়া ভেঙ্গে ওঠা প্রতিটা আলসে ভোর যেন স্বপ্নপুরী, শৈশবে বেড়ে ওঠা বৃষ্টির জলের সঙ্গে সখ্যতা করে। গ্রীষ্মের তাপদাহে ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরে। খেলার মাঠের দিকে ভোঁ দৌড়। হাতে ব্যাট ও বল নিয়ে। সন্ধ্যা হবে হবে এমন সময় ঘরে ফিরে মায়ের হাতে পিটুনি আর বকা না খেলে শৈশব মজার হয় নাকি!

আমাদের এই শৈশব যান্ত্রিকতার সঙ্গে, যান্ত্রিক বর্জ্যে পরিণত হয়ে গেছে। এখন শহরে নেই একটিও খেলার মাঠ। স্কুলগুলোতেও প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত মাঠের ব্যবস্থা নেই। তাহলে কোমলমতি বাচ্চারা খেলবে কী করে? তাদের মানসিক বিকাশ ও বেড়ে ওঠার শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে কীভাবে?

ইদানীং মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যাওয়ার অনেক কারণের মধ্যে এটিও একটি বিশেষ কারণ। শহরে খেলার মাঠের অভাব কিংবা শহরের কোন কোন মহল্লায় একটিও খেলার মাঠ নেই। ছেলেমেয়েরা খেলতে না পেরে টিকটক এবং বিভিন্ন মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। যেখানে একসময় শৈশব কাটতে আলিফ লায়লা এবং মিনা-রাজু দেখে। এখন সে জায়গায় বিদেশি চ্যানেলের কার্টুন দেখে দেখে এবং মোবাইলে নানা রকমের বিদেশি সংস্কৃতির ছবি দেখে বড় হচ্ছে।

আমাদের প্রতিটি শহরে নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় বা স্কুল কলেজের মাঠ বাচ্চাদের খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত। বাচ্চারা সেখানে খেলাধুলা করবে এবং তাদের মানসিক বিকাশও বৃদ্ধি পাবে। খেলার মাঠে খেলাধুলা করলে বাচ্চাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

তাই বাচ্চাদের খেলার মাঠের অভাব যত বাড়বে, ততই তারা মোবাইল ফোন বা বিভিন্ন খারাপ আসক্তির দিকে ধাবমান হয়ে উঠবে। এ ছাড়া অভিভাবকদের সঙ্গে বাচ্চাদের মনের দিক থেকে দূরত্বের সৃষ্টি হবে। বাচ্চাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ মানসিক বিকাশ ঘটবে না। তাই কর্তৃপক্ষের উচিত জেলায় জেলায় নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে বাচ্চাদের খেলার মাঠের ব্যবস্থা করে দেয়া। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে আমাদের ধিক্কার না দেয়।

জয় চৌধুরী জয়ন্ত

বুধবার, ১১ মে ২০২২ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ০৮ শাওয়াল ১৪৪৩

খেলার মাঠ প্রয়োজন

image

শৈশবের জলকাদা, আড়মোড়া ভেঙ্গে ওঠা প্রতিটা আলসে ভোর যেন স্বপ্নপুরী, শৈশবে বেড়ে ওঠা বৃষ্টির জলের সঙ্গে সখ্যতা করে। গ্রীষ্মের তাপদাহে ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরে। খেলার মাঠের দিকে ভোঁ দৌড়। হাতে ব্যাট ও বল নিয়ে। সন্ধ্যা হবে হবে এমন সময় ঘরে ফিরে মায়ের হাতে পিটুনি আর বকা না খেলে শৈশব মজার হয় নাকি!

আমাদের এই শৈশব যান্ত্রিকতার সঙ্গে, যান্ত্রিক বর্জ্যে পরিণত হয়ে গেছে। এখন শহরে নেই একটিও খেলার মাঠ। স্কুলগুলোতেও প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত মাঠের ব্যবস্থা নেই। তাহলে কোমলমতি বাচ্চারা খেলবে কী করে? তাদের মানসিক বিকাশ ও বেড়ে ওঠার শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে কীভাবে?

ইদানীং মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যাওয়ার অনেক কারণের মধ্যে এটিও একটি বিশেষ কারণ। শহরে খেলার মাঠের অভাব কিংবা শহরের কোন কোন মহল্লায় একটিও খেলার মাঠ নেই। ছেলেমেয়েরা খেলতে না পেরে টিকটক এবং বিভিন্ন মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। যেখানে একসময় শৈশব কাটতে আলিফ লায়লা এবং মিনা-রাজু দেখে। এখন সে জায়গায় বিদেশি চ্যানেলের কার্টুন দেখে দেখে এবং মোবাইলে নানা রকমের বিদেশি সংস্কৃতির ছবি দেখে বড় হচ্ছে।

আমাদের প্রতিটি শহরে নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় বা স্কুল কলেজের মাঠ বাচ্চাদের খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত। বাচ্চারা সেখানে খেলাধুলা করবে এবং তাদের মানসিক বিকাশও বৃদ্ধি পাবে। খেলার মাঠে খেলাধুলা করলে বাচ্চাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

তাই বাচ্চাদের খেলার মাঠের অভাব যত বাড়বে, ততই তারা মোবাইল ফোন বা বিভিন্ন খারাপ আসক্তির দিকে ধাবমান হয়ে উঠবে। এ ছাড়া অভিভাবকদের সঙ্গে বাচ্চাদের মনের দিক থেকে দূরত্বের সৃষ্টি হবে। বাচ্চাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ মানসিক বিকাশ ঘটবে না। তাই কর্তৃপক্ষের উচিত জেলায় জেলায় নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে বাচ্চাদের খেলার মাঠের ব্যবস্থা করে দেয়া। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে আমাদের ধিক্কার না দেয়।

জয় চৌধুরী জয়ন্ত