বিজ্ঞান লেখক নাদিরা মজুমদার পেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৬

বিজ্ঞানবিষয়ক লেখায় বিশেষ অবদানের জন্য অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৪২৬ পেলেন বিজ্ঞান লেখক নাদিরা মজুমদার। গতকাল জাতীয় জাদুঘরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইব্রাহিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবী মালেকা খান। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।

নাদিরা মজুমদার বলেন, এ পুরস্কারপ্রাপ্তি আমার অভিভূত হওয়ার মুহূর্ত; এখন আমার মনে পড়ছে জন্মলগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত। যারা আমার এখানে আসার পথ তৈরি করেছেন তাদের কথা মনে পড়ছে, যার সর্বাগ্রে রয়েছেন আমার বাবা ও মা। পুরস্কারপ্রাপ্তি আনন্দজনক। এখানে দু’টি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষ পুরস্কার প্রদান করছে, অন্য পক্ষ গ্রহণ করছে। গ্রহণ পক্ষে থাকায় আমি আনন্দিত, অভিভূত।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নাদিরা মজুমদার ভিন্ন মাত্রার লেখক। বিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার মতো আর কোন লেখক বাংলা সাহিত্যে লেখেন না। এর জন্য তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিও অসাধারণ। তার লেখা অত্যন্ত প্রাণবন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যখন দেখি নাদিরা সাংবাদিকতা করছেন, তখনই মনে হয়েছিল তিনি অনেক দূর যাবেন। আসলেই তা হয়েছে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ভেঙে তিনি এগিয়ে গেছেন। বিদেশে গেলেও তিনি বাঙালি ছিলেন। বাঙালির জন্য লিখেছেন।

বাংলা ১৪০১ সাল (১৯৯৩ সাল) থেকে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়। প্রতিবছর একজন নারী সাহিত্যিককে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেয়া হয় এ পুরস্কার। এ পর্যন্ত যারা এ পুরস্কার পেয়েছেন, তারা হলেন- সেলিনা হোসেন, রিজিয়া রহমান, নীলিমা ইব্রাহিম, দিলারা হাশেম, রাবেয়া খাতুন, সনজীদা খাতুন, শহিদ জননী জাহানারা ইমাম (মরণোত্তর), নূরজাহান বেগম, রাজিয়া খান, রুবী রহমান, পূরবী বসু, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মকবুলা মনজুর, ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ, সালেহা চৌধুরী, নূরজাহান বোস, মালেকা বেগম, কাজী রোজী, নিয়াজ জামান, জাহানারা নওশিন, সোনিয়া নিশাত আমিন, বেগম আকতার কামাল, বেগম মুশতারী শফি ও আকিমুন রহমান।

image

গতকাল জাতীয় জাদুঘরে বিজ্ঞান লেখক নাদিরা মজুমদারের হাতে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৬ তুলে দেন ইমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী -সংবাদ

আরও খবর
সেনাবাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ করার কাজ করছে সরকার প্রধানমন্ত্রী
পূর্ণ প্যানেলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নীল দল
স্বাস্থ্য খাতের সিস্টেম বদলাতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা ওআইসির ইয়ুথ রাজধানী
স্বর্ণার মৃত্যুর কারণ গণধর্ষণ
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে থাকার ঘোষণা ঐক্যফ্রন্টের
ব্যয়ের নামে কোটি কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ
মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধের সুপারিশ
ছায়ানটে দৃষ্টিনন্দন ধ্রুপদী নাচ
‘ক্ষুদে শিল্পী’ প্রতিযোগীদের পুরস্কার প্রদান
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হলেন ড. কায়কাউস
প্রথম পর্যায়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
চাকরিচ্যুতির প্রতিশোধ নিতে ও টাকা লুট
ফের অনশনে রাজশাহী পাটকল শ্রমিকরা
ছাদ ধসে হতাহতের ঘটনায় মামলা হয়নি তিন দিনেও
বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডি অবরুদ্ধ

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৫ পৌষ ১৪২৬, ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বিজ্ঞান লেখক নাদিরা মজুমদার পেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৬

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল জাতীয় জাদুঘরে বিজ্ঞান লেখক নাদিরা মজুমদারের হাতে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৬ তুলে দেন ইমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী -সংবাদ

বিজ্ঞানবিষয়ক লেখায় বিশেষ অবদানের জন্য অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৪২৬ পেলেন বিজ্ঞান লেখক নাদিরা মজুমদার। গতকাল জাতীয় জাদুঘরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইব্রাহিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবী মালেকা খান। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।

নাদিরা মজুমদার বলেন, এ পুরস্কারপ্রাপ্তি আমার অভিভূত হওয়ার মুহূর্ত; এখন আমার মনে পড়ছে জন্মলগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত। যারা আমার এখানে আসার পথ তৈরি করেছেন তাদের কথা মনে পড়ছে, যার সর্বাগ্রে রয়েছেন আমার বাবা ও মা। পুরস্কারপ্রাপ্তি আনন্দজনক। এখানে দু’টি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষ পুরস্কার প্রদান করছে, অন্য পক্ষ গ্রহণ করছে। গ্রহণ পক্ষে থাকায় আমি আনন্দিত, অভিভূত।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নাদিরা মজুমদার ভিন্ন মাত্রার লেখক। বিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার মতো আর কোন লেখক বাংলা সাহিত্যে লেখেন না। এর জন্য তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিও অসাধারণ। তার লেখা অত্যন্ত প্রাণবন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যখন দেখি নাদিরা সাংবাদিকতা করছেন, তখনই মনে হয়েছিল তিনি অনেক দূর যাবেন। আসলেই তা হয়েছে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ভেঙে তিনি এগিয়ে গেছেন। বিদেশে গেলেও তিনি বাঙালি ছিলেন। বাঙালির জন্য লিখেছেন।

বাংলা ১৪০১ সাল (১৯৯৩ সাল) থেকে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়। প্রতিবছর একজন নারী সাহিত্যিককে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেয়া হয় এ পুরস্কার। এ পর্যন্ত যারা এ পুরস্কার পেয়েছেন, তারা হলেন- সেলিনা হোসেন, রিজিয়া রহমান, নীলিমা ইব্রাহিম, দিলারা হাশেম, রাবেয়া খাতুন, সনজীদা খাতুন, শহিদ জননী জাহানারা ইমাম (মরণোত্তর), নূরজাহান বেগম, রাজিয়া খান, রুবী রহমান, পূরবী বসু, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মকবুলা মনজুর, ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ, সালেহা চৌধুরী, নূরজাহান বোস, মালেকা বেগম, কাজী রোজী, নিয়াজ জামান, জাহানারা নওশিন, সোনিয়া নিশাত আমিন, বেগম আকতার কামাল, বেগম মুশতারী শফি ও আকিমুন রহমান।