শাস্ত্রীয় নাচের শুদ্ধতায় শীতের সন্ধ্যাকে অনন্য করে তুললো নৃত্যপটিয়সী শিল্পীরা। নাচের মুদ্রার সঙ্গে তাল আর ছন্দের ব্যাকরণে শুদ্ধ নাচের আসরে ধ্যানমগ্ন হলো নৃত্যের অনুরাগিরা। কত্থক, মণিপুরী আর ভরতনট্টমের পরিবেশনায় শিল্পীরা যেন শুদ্ধতার চাদর বিছিয়ে দিলো গোটা ছায়ানট মিলনায়তনে। শিল্পের সুষমা ছড়িয়ে দিয়ে ধ্রুপদী নাচের আসরকে নান্দনিক করে তুললো রবীন্দ্রভারতী থেকে নাচের ওপর উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে আসা চার শিক্ষার্থী সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা, মারিয়া ফারিহ উপমা, হাসান ইশতিয়াক ইমরান ও মৌমিতা রায় জয়া।
প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী ও প্রশিক্ষক শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়ের নাচের দল নৃত্যনন্দনের আয়োজনে শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে বসে ‘পরম্পরা’ নামের এই ধ্রুপদী নাচের আসর। আসরে মণিপুরী নৃত্য পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা। এই নাচের মাধ্যমে তিনি কৃষ্ণরূপ বর্ণন (নাসা আঙ্গিক) ও বর্ষা প্রবন্ধন করেন। শিল্পীর পরিবেশনায় মিলনায়তনে নেমে আসে শুদ্ধার ছোঁয়া।
ভরতনট্টমের পরিবেশনায় নারায়না কৌতুনহম, পাদম ও কির্তানাম পরিবেশন করেন এই শিল্পী। এরপর কত্থক নিয়ে মঞ্চে আসেন মৌমিতা রায় জয়া। শিব বন্দনা দিয়ে নিজের পরিবেশনা শুরু করেন জয়া। এরপর ‘দিল হি তো হায়’ গজলের সঙ্গে ঝাঁপতালে তিনতাল পরিবেশন করে মঞ্চ ত্যাগ করেন এই শিল্পী। সবশেষে কত্থকের ধ্রুপদী নিয়ে মঞ্চে আসেন আসরের শেষ শিল্পী হাসান ইশতিয়াক ইমরান। গুরু বন্দনা দিয়ে শুরু করে তিন তাল ও অভিনয় (বসন্ত) পরিবেশনার মধ্য দিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন এই ইমরান। আর এর মধ্য দিয়েই শেষ হয় ধ্রুপদী নাচের এই মনোজ্ঞ আসর। অনুষ্ঠানে পোশাক কারিগর পৃথিশ সরকারকে সম্বর্ধনা প্রদান করে নৃত্যনন্দন। পৃথিশ সরকারকে নিয়ে রচিত মানপত্র পাঠ করেন বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়।
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৫ পৌষ ১৪২৬, ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক
শাস্ত্রীয় নাচের শুদ্ধতায় শীতের সন্ধ্যাকে অনন্য করে তুললো নৃত্যপটিয়সী শিল্পীরা। নাচের মুদ্রার সঙ্গে তাল আর ছন্দের ব্যাকরণে শুদ্ধ নাচের আসরে ধ্যানমগ্ন হলো নৃত্যের অনুরাগিরা। কত্থক, মণিপুরী আর ভরতনট্টমের পরিবেশনায় শিল্পীরা যেন শুদ্ধতার চাদর বিছিয়ে দিলো গোটা ছায়ানট মিলনায়তনে। শিল্পের সুষমা ছড়িয়ে দিয়ে ধ্রুপদী নাচের আসরকে নান্দনিক করে তুললো রবীন্দ্রভারতী থেকে নাচের ওপর উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে আসা চার শিক্ষার্থী সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা, মারিয়া ফারিহ উপমা, হাসান ইশতিয়াক ইমরান ও মৌমিতা রায় জয়া।
প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী ও প্রশিক্ষক শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়ের নাচের দল নৃত্যনন্দনের আয়োজনে শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে বসে ‘পরম্পরা’ নামের এই ধ্রুপদী নাচের আসর। আসরে মণিপুরী নৃত্য পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা। এই নাচের মাধ্যমে তিনি কৃষ্ণরূপ বর্ণন (নাসা আঙ্গিক) ও বর্ষা প্রবন্ধন করেন। শিল্পীর পরিবেশনায় মিলনায়তনে নেমে আসে শুদ্ধার ছোঁয়া।
ভরতনট্টমের পরিবেশনায় নারায়না কৌতুনহম, পাদম ও কির্তানাম পরিবেশন করেন এই শিল্পী। এরপর কত্থক নিয়ে মঞ্চে আসেন মৌমিতা রায় জয়া। শিব বন্দনা দিয়ে নিজের পরিবেশনা শুরু করেন জয়া। এরপর ‘দিল হি তো হায়’ গজলের সঙ্গে ঝাঁপতালে তিনতাল পরিবেশন করে মঞ্চ ত্যাগ করেন এই শিল্পী। সবশেষে কত্থকের ধ্রুপদী নিয়ে মঞ্চে আসেন আসরের শেষ শিল্পী হাসান ইশতিয়াক ইমরান। গুরু বন্দনা দিয়ে শুরু করে তিন তাল ও অভিনয় (বসন্ত) পরিবেশনার মধ্য দিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন এই ইমরান। আর এর মধ্য দিয়েই শেষ হয় ধ্রুপদী নাচের এই মনোজ্ঞ আসর। অনুষ্ঠানে পোশাক কারিগর পৃথিশ সরকারকে সম্বর্ধনা প্রদান করে নৃত্যনন্দন। পৃথিশ সরকারকে নিয়ে রচিত মানপত্র পাঠ করেন বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়।