মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) চার হাজার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার এবং রনজিৎ কুমার কর্মকারের সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল এ অভিযান চালিয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের তৃতীয় শ্রেণীতে নিয়োগ দেয়ার তথ্য-প্রমাণের নথি চেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানানো হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সফিউল্লাহ জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি কর্তৃক চার হাজার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের একটি টিম গতকাল মাউশি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সততা উদ্ঘাটনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন এবং সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।
দুদক জানিয়েছে, নিয়োগবিধি ১৯৯১ অনুযায়ী তাদের নিয়োগের অনুমোদন নিয়ে প্রথমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ নিলেও পরবর্তীতে ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হয়। ‘প্রদর্শক’ শ্রেণীর ক্যাটাগরির দশম গ্রেডের পদগুলোকে তৃতীয় শ্রেণী দেখিয়ে নিজেরা (মাউশি) নিয়োগ দেয়, কিন্তু পদোন্নতির বেলায় পিএসসির মাধ্যমে ২য় শ্রেণী বা দশম গ্রেড দেখিয়ে ক্যাডার সার্ভিসের সঙ্গে আত্মীকরণ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, আমাদের কাজ নিয়োগ দেই আর পিএসসির দায়িত্ব প্রমোশন দেয়া। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।
দুদক আরও জানিয়েছে, এ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, নথির নোটশিটে দশম গ্রেডের পদগুলোকে দ্বিতীয় শ্রেণী উল্লেখ করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে তা তৃতীয় শ্রেণী দেখিয়ে অনুমোদন নেয়া হয়। এ বিষয়ে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। নিয়োগবিধি এবং কমিটির কার্যবিবরণীসহ আরও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অনুরোধ করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা জানিয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে নথিপত্র দেয়া হলে সেগুলো যাচাই-বাচাই করবে দুদক। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশ করে কমিশন বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে শেরপুর জেলা কারাগারে বন্দীদের কাছ থেকে ঘুষ দারি অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদকের আরেকটি টিম। টাঙ্গাইল জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক লতিফ হাওলাদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২ , ২৬ পৌষ ১৪২৮ ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) চার হাজার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার এবং রনজিৎ কুমার কর্মকারের সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল এ অভিযান চালিয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের তৃতীয় শ্রেণীতে নিয়োগ দেয়ার তথ্য-প্রমাণের নথি চেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানানো হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সফিউল্লাহ জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি কর্তৃক চার হাজার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের একটি টিম গতকাল মাউশি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সততা উদ্ঘাটনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন এবং সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।
দুদক জানিয়েছে, নিয়োগবিধি ১৯৯১ অনুযায়ী তাদের নিয়োগের অনুমোদন নিয়ে প্রথমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ নিলেও পরবর্তীতে ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হয়। ‘প্রদর্শক’ শ্রেণীর ক্যাটাগরির দশম গ্রেডের পদগুলোকে তৃতীয় শ্রেণী দেখিয়ে নিজেরা (মাউশি) নিয়োগ দেয়, কিন্তু পদোন্নতির বেলায় পিএসসির মাধ্যমে ২য় শ্রেণী বা দশম গ্রেড দেখিয়ে ক্যাডার সার্ভিসের সঙ্গে আত্মীকরণ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, আমাদের কাজ নিয়োগ দেই আর পিএসসির দায়িত্ব প্রমোশন দেয়া। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।
দুদক আরও জানিয়েছে, এ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, নথির নোটশিটে দশম গ্রেডের পদগুলোকে দ্বিতীয় শ্রেণী উল্লেখ করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে তা তৃতীয় শ্রেণী দেখিয়ে অনুমোদন নেয়া হয়। এ বিষয়ে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। নিয়োগবিধি এবং কমিটির কার্যবিবরণীসহ আরও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অনুরোধ করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা জানিয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে নথিপত্র দেয়া হলে সেগুলো যাচাই-বাচাই করবে দুদক। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশ করে কমিশন বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে শেরপুর জেলা কারাগারে বন্দীদের কাছ থেকে ঘুষ দারি অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদকের আরেকটি টিম। টাঙ্গাইল জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক লতিফ হাওলাদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।