উল্লাপাড়ায় আধুনিক প্রযুক্তিতে রাবি-৩ জাতের স্ট্রবেরি চাষ করে লাভের মুখ দেখছে কৃষক জহুরুল ইসলাম। তার বাড়ি উল্লাপাড়া উপজেলার পাগলা বোয়ালিয়া গ্রামে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরার্মশে তিনি এবছর ৮০ শতক জমিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে স্ট্রবেরি চাষাবাদ করেছেন। এই স্ট্রবেরি থেকে তিনি খরচ বাদে প্রথম মৌসুমেই ৭ লাখ টাকা লাভের প্রত্যাশা করছেন।
জানা গেছে কৃষি বিভাগের পরার্মশে আধুনিক প্রযুক্তিতে মিশ্র ফল বাগানসহ বারো মাস বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করে অল্প দিনেই পেয়েছেন ব্যাপক সফলতা। মিশ্র ফল চাষাবাদের মধ্যে তিনি সল্প পরিসরে স্ট্রবেরি চাষাবাদ করতেন। চলতি মৌসুমে তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরার্মশে এবারই প্রথম তার ৮০ শতক কৃষি জমিতে রাবি-৩ জাতের স্ট্রবেরি চাষাবাদ করেছেন। এই জাতের অল্প কিছু চারা সংগ্রহ করে নিজ জমিতে রোপন করে তা থেকে তিনি পুরো জমির চারা তৈরি করেন। এরপর আধুনিক পদ্ধতিতে জমিতে চাষাবাদ করেন। প্রথম বছরেই তার এই স্ট্রবেরি গাছে প্রচুর ফল ধরেছে। গাছে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে লাল সাদা আকর্ষণীয় টসটসে স্টবেরি। কোনটাতে ধরেছে ফুল এবং কাঁচা স্ট্রবেরি। ইতোমধ্যে জমি থেকে আগাম স্ট্রবেরি তোলা শুরু হয়েছে। বাজারে চাহিদা এবং ভাল দাম থাকায় বিক্রি করে ভাল দাম পাচ্ছে জহুরুল ইসলাম। দূর দূরান্তের পাইকার এসে জমি থেকেই স্ট্রবেরি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু ফল নয় এর চারাও তৈরি করে বিক্রি করছেন তিনি। নিজ জমিতে রোপণের পর ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার স্ট্রবেরি ও চারা বিক্রি করেছেন। আবাহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনে ভালো অংকের টাকা লাভের আশা করছেন চাষী জহুরুল ইসলাম।
কৃষক জহুরুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে মিশ্র ফল চাষাবাদসহ সবজি চাষাবাদ করি। এবার কৃষি কর্মকর্তার পরার্মশে সাহস করে ৮০ শতক জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় লাখ টাকা। গত দুই সপ্তাহে প্রায় দেড় লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছি। প্রথম দিকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করেছি। এখন ৫০০ টাকা কেজি দরে জমি থেকেই পাইকারি স্ট্রবেরি বিক্রি করছি। জমিতে যে ফলন দেখছি তাতে সব খরচ বাদে স্ট্রবেরি বিক্রি করে ৭ লাখ টাকার লাভের প্রত্যাশা করছি।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকতা সুর্বনা ইয়াসমিন সুমি জানান, জহুরুল ইসলাম একজন সফল চাষি। তিনি মিশ্র ফল বাগানসহ বারো মাস সবজি চাষাবাদ করে। এবার আমাদের পরার্মশে তিনি ৮০ শতক জমিতে রাবি-৩ জাতের স্ট্রবেরি চাষাবাদ করেছেন। উচ্চ ফলনশীল এই চাষাবাদের প্রথম বছরেই তিনি ভাল ফলন পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি স্ট্রবেরি তুলে বিক্রি শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন চাষাবাদে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করছি। যাতে করে কৃষকরা চাষাবাদের মাধ্যমে লাভবান ও সচ্ছলতা অর্জন করতে পারে।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ
উল্লাপাড়ায় আধুনিক প্রযুক্তিতে রাবি-৩ জাতের স্ট্রবেরি চাষ করে লাভের মুখ দেখছে কৃষক জহুরুল ইসলাম। তার বাড়ি উল্লাপাড়া উপজেলার পাগলা বোয়ালিয়া গ্রামে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরার্মশে তিনি এবছর ৮০ শতক জমিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে স্ট্রবেরি চাষাবাদ করেছেন। এই স্ট্রবেরি থেকে তিনি খরচ বাদে প্রথম মৌসুমেই ৭ লাখ টাকা লাভের প্রত্যাশা করছেন।
জানা গেছে কৃষি বিভাগের পরার্মশে আধুনিক প্রযুক্তিতে মিশ্র ফল বাগানসহ বারো মাস বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করে অল্প দিনেই পেয়েছেন ব্যাপক সফলতা। মিশ্র ফল চাষাবাদের মধ্যে তিনি সল্প পরিসরে স্ট্রবেরি চাষাবাদ করতেন। চলতি মৌসুমে তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরার্মশে এবারই প্রথম তার ৮০ শতক কৃষি জমিতে রাবি-৩ জাতের স্ট্রবেরি চাষাবাদ করেছেন। এই জাতের অল্প কিছু চারা সংগ্রহ করে নিজ জমিতে রোপন করে তা থেকে তিনি পুরো জমির চারা তৈরি করেন। এরপর আধুনিক পদ্ধতিতে জমিতে চাষাবাদ করেন। প্রথম বছরেই তার এই স্ট্রবেরি গাছে প্রচুর ফল ধরেছে। গাছে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে লাল সাদা আকর্ষণীয় টসটসে স্টবেরি। কোনটাতে ধরেছে ফুল এবং কাঁচা স্ট্রবেরি। ইতোমধ্যে জমি থেকে আগাম স্ট্রবেরি তোলা শুরু হয়েছে। বাজারে চাহিদা এবং ভাল দাম থাকায় বিক্রি করে ভাল দাম পাচ্ছে জহুরুল ইসলাম। দূর দূরান্তের পাইকার এসে জমি থেকেই স্ট্রবেরি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু ফল নয় এর চারাও তৈরি করে বিক্রি করছেন তিনি। নিজ জমিতে রোপণের পর ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার স্ট্রবেরি ও চারা বিক্রি করেছেন। আবাহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনে ভালো অংকের টাকা লাভের আশা করছেন চাষী জহুরুল ইসলাম।
কৃষক জহুরুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে মিশ্র ফল চাষাবাদসহ সবজি চাষাবাদ করি। এবার কৃষি কর্মকর্তার পরার্মশে সাহস করে ৮০ শতক জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় লাখ টাকা। গত দুই সপ্তাহে প্রায় দেড় লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছি। প্রথম দিকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করেছি। এখন ৫০০ টাকা কেজি দরে জমি থেকেই পাইকারি স্ট্রবেরি বিক্রি করছি। জমিতে যে ফলন দেখছি তাতে সব খরচ বাদে স্ট্রবেরি বিক্রি করে ৭ লাখ টাকার লাভের প্রত্যাশা করছি।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকতা সুর্বনা ইয়াসমিন সুমি জানান, জহুরুল ইসলাম একজন সফল চাষি। তিনি মিশ্র ফল বাগানসহ বারো মাস সবজি চাষাবাদ করে। এবার আমাদের পরার্মশে তিনি ৮০ শতক জমিতে রাবি-৩ জাতের স্ট্রবেরি চাষাবাদ করেছেন। উচ্চ ফলনশীল এই চাষাবাদের প্রথম বছরেই তিনি ভাল ফলন পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি স্ট্রবেরি তুলে বিক্রি শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন চাষাবাদে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করছি। যাতে করে কৃষকরা চাষাবাদের মাধ্যমে লাভবান ও সচ্ছলতা অর্জন করতে পারে।